ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

জেলা পরিষদের ভবন ধস: তদন্ত কমিটি গঠন ও আর্থিক সহযোগিতা

পার্বত্যাঞ্চল প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি

প্রকাশিত: ১৩:১০, ৯ অক্টোবর ২০২২; আপডেট: ১৩:২৬, ৯ অক্টোবর ২০২২

জেলা পরিষদের ভবন ধস: তদন্ত কমিটি গঠন ও আর্থিক সহযোগিতা

টানা সাত ঘণ্টা পর শেষ হয়েছে উদ্ধার অভিযান

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সম্প্রসারিত ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে পড়ে শ্রমিক হতাহতের ঘটনায় উদ্বার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১১ টায় ফায়ার ব্রিগেড এন্ড সিভিল ডিফেন্স, রাঙামাটি সার্কেল এর সহকারী পরিচালক মো. দিদারুল আলম এ উদ্বার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করেন। ধ্বংস স্তুপ থেকে নতুন করে আর কোনো মৃতদেহ পাওয়া যায়নি।

এদিকে, শ্রমিক হতাহতের অনাকাঙ্খিত ঘটনার কারণ উদঘাটন ও দায়-দায়িত্ব নির্ধারণে  শনিবার রাতেই খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কল্যাণ মিত্র বড়ুয়াকে প্রধান করে গঠিত কমিটিকে সাত কার্যদিবসে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন, খাগড়াছড়ি গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও খাগড়াছড়ি এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী। 

অপরদিকে, নিহতদের এখ লাখ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দিবে পার্বত্য জেলা পরিষদ। এছাড়া আহত ছয় জনের সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসার ব্যয়বারও বহন করবে এ প্রতিষ্টানটি। তবে এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনো মামলা করা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্মানাধীন সম্প্রসারিত ভবনের কেন্ডিলিবারের ছাদ ধসে দুই নির্মাণ শ্রমিক নিহত ও অপর পাঁচজন আহত হন। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত ছয় জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠালে সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন মারা যান। তিনি খাগড়াছড়ি পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডে কলেজ গেট এলাকার মো. আমিনের ছেলে বলে জানা গেছে। অপরজন বাগেরহাট জেলার চিতলমারী উপজেলার কলিগাতী গ্রামের সোহরাব শিকদারের ছেলে সাইফুল ইসলাম শিকদার । 

অভিযোগ রয়েছে, শনিবার বন্ধের দিন হওয়ায় ছাদ ঢালাইয়ের সময় ঘটনাস্থলে কোনো ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন না। ঢালাইয়ে লোহার খুটির পরিবর্তে বাঁশ দিয়ে ঠেস দেওয়া হয়েছিল। সেন্টারিং সিস্টেম ছিল ক্রটিপূর্ণ। ঘটনার পর জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী তৃপ্তি শংকর চাকমার নাম্বারে একাধিকবার কল দিলেও তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া গেছে। সহকারী প্রকৌশলী প্রশান্ত কুমার এবং জিকু চাকমার মোবাইলে কল দিলে তাদের নাম্বারও বন্ধ পাওয়া যায়। 

তবে ভবনের শেড নির্মাণের ঠিকাদারকে এখনও জানা যায়নি। এ বিষয়ে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীকে একাধিকবার প্রশ্ন করা হলে তিনিও, ঠিকাদারের নাম বলতে পারেনি।

খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার রাজেশ বড়ুয়া বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, ছাদটি নির্মাণের যে সেন্টারিং তৈরি করা হয়েছে সেটি দুর্বল ছিল। ঢালাই কাজ চলাকালীন বাঁশে সেন্টারিংটি ভার নিতে পারেনি। তাই দুর্ঘটনা ঘটেছে।
 

এমএইচ

×