
নিজস্ব সংবাদদাতা, টাঙ্গাইল ॥ টাঙ্গাইলের নাগরপুর সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন বন্যায় ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয় ভবন রক্ষা করা না হলে যে কোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। শিক্ষা কার্যক্রমের অনুপযোগি ভবন নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ যেমন রয়েছেন বিপাকে। তেমনি আগামীতে পিছিয়ে পড়ার মত অনিশ্চয়তায় রয়েছে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয়রা জানায়, ৪৮নং সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ১৯৩৮ সালে নির্মাণ করা হয়। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) থেকে বিদ্যালয়ে একটি পাকা ভবন করে দেয়া হয়। এরপর ২০১৬ সালের বন্যায় বিদ্যালয়ের সামনের মাটি সরে গিয়ে বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়ে পুকুরে পরিনত হয়েছে। পরবর্তীতে এই গর্তের কারণে বিদ্যালয়ের মূল ভবনের কয়েকটি শ্রেণীকক্ষ ধসে পড়ার শঙ্কায় রয়েছে। যার ফলে গত ৪ বছর যাবত ধসে পড়তে পারে এমন আশংকায় বিদ্যালয়ের মূল ভবনে ক্লাস নেন না শিক্ষকরা। এমন আতঙ্কে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত ক্লাস করতে পারে না ওই ভবনে। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠও পরিণত হয়েছে পুকুরে। এ কারণে শিক্ষার্থীরা পড়েছে বিপাকে। অপরদিকে এই বর্ষা মৌসুমেও আরো ভাঙনের আশংকা করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসি।
স্থানীয় বাসিন্দা আমিরুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। যে কোন সময় বিদ্যালয় খোলার সরকারি সিদ্ধান্ত এলে ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে কিভাবে চলবে শিক্ষা কার্যক্রম। এ কারণে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম। এছাড়াও ঝুঁকিপূর্ণ এ ভবনে কোন শিক্ষার্থীকে পাঠদান করতে পাঠাবেন না অভিভাবকরা।
সারটিয়া গাজী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোরশেদ আলম বলেন, এ বিষয়ে বার বার উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নেয়ার তাগিদ দেয়া স্বত্তেও কোন সুরাহা হয়নি। ফলে এই বর্ষা মৌসুমেও আরো ভাঙনের আশংকা করা হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে জরুরীভাবে বিদ্যালয়টি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছেন দপ্তিয়র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম. ফিরোজ সিদ্দিকী।
এ ব্যাপারে নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত-ই-জাহান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত এলে বিদ্যালয়ের কাছে অস্থায়িভাবে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেয়া হবে।