সংবাদদাতা, দোহার-নবাবগঞ্জ (ঢাকা) ॥ পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে ঢাকা জেলার দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায়। গত ২৪ ঘন্টায় দুই উপজেলার অন্তত ২০ হাজার বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে। সব মিলিয়ে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে ৬০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এর মধ্যে দোহার উপজেলা পরিস্থিতি ভয়াবহ।
আজ বৃহস্পতিবার সরেজমিন পরিদর্শণে দেখা যায়, দোহার উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের রাধানগর, দেবিনগর, চর বিলাসপুর, কুলছুড়ি, আলমবাজারসহ অধিকাংশ এলাকার বাড়িঘর বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে আছে। ডুবে গেছে ইউনিয়নটির প্রধান প্রধান সড়ক সহ কয়েকটি স্কুল ও হাট-বাজার। এছাড়া সুতারপাড়া ইউনিয়নের মধুরচর, নারিশা ইউনিয়নের মেঘুলা বাজার, নারিশা জোয়ার, রানীপুর সহ মুকসুদপুর ও মাহমুদপুর ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি এলাকা গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এ সময় দোহার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে এম আল-আমিন বন্যা কবলিত বেশ কয়েকটি এলাকা পরিদর্শণ করে সরকারি সাহায্যের আশ্বাস প্রদান করেন।
এদিকে দোহার উপজেলার নয়াবাড়ি ইউনিয়নে ২১৭ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত চলমান পদ্মা বাধ প্রকল্পের দুটি পয়েন্টে বাঁধ উপচে পানি ঢুকছে। বাধের বিভিন্ন অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙন। বালুর বস্তা ফেলে বাধ মেরামতের চেষ্টা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এছাড়া নবাবগঞ্জের কাশিয়াখালী বেরিবাধের একাধিক পয়েন্ট দিয়ে পানি ঢুকছে নবাবগঞ্জের কয়েকটি এলাকায়। দোহারের ২৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও নবাবগঞ্জের অন্তত ১০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি ঢুকে পড়েছে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পাঠদান অনেকটা বন্ধ রয়েছে।
