ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

৩ মাসের মধ্যে আরও হাজার কোটি টাকা দিতে হবে গ্রামীণফোনকে

প্রকাশিত: ১০:৪৮, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 ৩ মাসের মধ্যে আরও হাজার কোটি টাকা দিতে হবে গ্রামীণফোনকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আগামী তিন মাসের মধ্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (বিটিআরসি) আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। এদিকে ৩৭তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ১১ জনকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সোমবার আপীল বিভাগ ও হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ এ আদেশগুলো প্রদান করে। আগামী তিন মাসের মধ্যে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে (বিটিআরসি) আরও ১ হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আপীল বিভাগ। গ্রামীণফোনের পক্ষ থেকে বিটিআরসিকে রবিবার ১ হাজার কোটি টাকার পে-অর্ডার দেয়া হয়েছে বলে জানানোর পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপীল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদালতে বিটিআরসির পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী মাহবুবে আলম ও ব্যারিস্টার খন্দকার রেজা-ই-রাকিব। গ্রামীণফোনের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিন ও মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী। সকালে এ মামলার শুনানির শুরুতে আদালতের নির্দেশে বিটিআরসিকে ১ হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা হয়েছে জানিয়ে হলফনামা দাখিল করেন গ্রামীণফোনের আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। তখন প্রধান বিচারপতি বলেন, বাকি টাকা কবে দেবেন? গ্রামীণফোনের আইনজীবী এম আমিন উদ্দিন তখন বলেন, আমাদের ৬ মাস সময় দিন। আদালত বলে, টাকা দিতেই হবে। টাকা পরিশোধ না করলে হাইকোর্টের যে স্থগিতাদেশ আছে তা আমরা প্রত্যাহার করে নেব। আপনারা টাকা দিয়ে দিন আমরা বিটিআরসিকে বলে দেব যেন আপনাদের ব্যবসা পরিচালনায় কোন ঝামেলা না করে। বাকি ১ হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে পরিশোধ করুন। তখন গ্রামীণফোনের আইনজীবীরা ৫ মাস সময় চান। কিন্তু প্রধান বিচারপতি সময় না বাড়িয়ে গ্রামীণফোনের আইনজীবীকে উদ্দেশে বলেন, আমরা চাই বিদেশী কোম্পানি এদেশে শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করুক। কিন্তু সে ব্যবসাটা করতে হবে এদেশের সকল আইন ও নিয়ম কানুন মেনে। আদেশের পর এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান চৌধুরী সাংবাদিকদের জানান, বাকি এক হাজার কোটি টাকা দিতে গ্রামীণফোনকে তিন মাস সময় দিয়েছে আপীল বিভাগ। ৩৭তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ১১ জনের নিয়োগে রুল ৩৭তম বিসিএসে সুপারিশপ্রাপ্ত ১১ জনকে কেন নিয়োগ দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে সোমবার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করে আদেশ দেন। আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ্যাডভোকেট মোহাম্মদ সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার এ বি এম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার ও এএজি সাইফুল আলম।
×