ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

বিমানবন্দর ও বন্দর সুবিধা গ্রহণে নেপালের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রকাশিত: ১১:০৩, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

  বিমানবন্দর ও বন্দর সুবিধা গ্রহণে নেপালের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর সুবিধা গ্রহণের জন্য নেপালের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সফররত নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রদীপ কুমার গয়ালি বুধবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে (পিএমও) সৌজন্য সাক্ষাতকালে তিনি এই আহ্বান জানান। খবর বাসসর। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সবসময়ই প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতাকে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে।’ বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বৈঠকে তারা দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি, বিদ্যুতখাতে সহযোগিতা এবং ব্যবসা-বাণিজ্যের সম্প্রসারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপনের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার সৈয়দপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে আঞ্চলিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলছে। ‘নেপাল এবং ভুটান সৈয়দপুর বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে পারস্পরিক সুবধার স্বার্থে ব্যবহার করতে পারে,’ যোগ করেন তিনি। এই অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপন এবং বিবিআইএন সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সর্বদা নেপালকে ট্রানজিট দেয়ার পক্ষে ছিলেন। বিদ্যুতখাতে সহযোগিতার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালের ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগে নেপালে জলবিদ্যুত উৎপাদনের প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই ভারত থেকে বিদ্যুত ক্রয় করছে। বাংলাদেশ শীতকালে নেপালে তরিতরকারি এবং মাছও রফতানি করতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় নেপালের সমর্থনের কথাও স্মরণ করেন। বৈঠকে প্রদীপ কুমার গেওয়ালী বলেন, নেপাল বাংলাদেশের সঙ্গেও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি নতুন মাত্রা দিতে চায়। নেপালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের দ্রুত আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃতের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, নেপালও উন্নতি করছে কেননা এ বছর দেশটি ৭ দশমিক ১ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশ এবং নেপাল জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে সবথেকে ঝুঁকির মুখে রয়েছে। সফররত নেপালী মন্ত্রী তার সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন এবং বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে বিস্তারিত এবং ফলপ্রসূ বৈঠক সম্পর্কেও প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউস, নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাশাফি বিনতে শামস এবং বাংলাদেশে নেপালের রাষ্ট্রদূত ড. বংশীধর মিশ্র এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×