ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাঁচামালের দাম বাড়তে থাকলে ওষুধের দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না ॥ পাপন

প্রকাশিত: ০৯:৪৮, ৩ ডিসেম্বর ২০১৯

 কাঁচামালের দাম বাড়তে থাকলে ওষুধের দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব হবে না ॥ পাপন

স্টাফ রিপোর্টার, মুন্সীগঞ্জ ॥ বিসিবি সভাপতি ও বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান বলেছেন, সরকার সব সময় ওষুধের দাম স্থিতিশীল রাখার চেষ্টা করেছে। তবে সব সময় তা সম্ভব হয় না। ৯৫ ভাগ ওষুধের দামই স্থিতিশীল ছিল। তবে এভাবে কাঁচামালের দাম বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে ওষুধের দাম কমিয়ে রাখা সম্ভব নয়। একটি এ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রাম ইন্টারফেস (এপিআই) ইন্ডাস্ট্রি করার জন্য আমরা অনেকদিন যাবৎ বলে আসছি। আমরা ৯৮ ভাগ ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করি। এটা আমাদের একটা বড় শক্তি। কিন্তু, ওষুধের কাঁচামালের ৯৫ ভাগ আমরা আমদানি করি। এদিক থেকে আমরা পিছিয়ে। অবশ্য, এটা আমাদের জন্য মাথাব্যথা ছিল না। কারণ, বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানি করাই লাভজনক ছিল। সোমবার বিকেল ৫টায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার এপিআই ওষুধ শিল্প পার্কে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন বিসিবি সভাপতি, ওষুধ শিল্প সমিতির সভাপতি ও বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালের ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজমুল হাসান, এমপি। এর আগে এপিআই ওষুধ শিল্প পার্কে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) কার্যক্রমের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন পাপন। আরও বলেন, বাংলাদেশের বাজার অত বড় নয়। তাই বাইরে থেকে আমদানি করাই লাভজনক। বিশ্বে চীন সবচেয়ে বড় এপিআই ম্যানুফেকচারার। তবে, কিছুদিন আগে পরিবেশ রক্ষার ইস্যুতে আড়াই হাজারের মতো এপিআই বন্ধ হয়ে গেছে। সেজন্য কাঁচামালের দাম অনেক বেড়ে গেছে। যেটা ছিল ১২০/১২৫ ডলার সেটা ৩০০ ডলার হয়ে গেছে। চাহিদা বেশি থাকলে দাম তো বাড়বেই। কাজেই আমাদের এপিআই যত দ্রুত উৎপাদনে যাবে তত ভাল। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ আগে সস্তায় ওষুধ তৈরি করতে পারত। কিন্তু, এখন তা আর থাকবে না। প্রত্যেক জিনিসের দাম যখন বাড়ে তখন ওষুধের দাম আর কত জোর করে কমিয়ে রাখতে পারব? অন্যদিকে ডলারের দামও বেড়ে গেছে। সেজন্য কাঁচামালের দামও বেড়েছে। আমরা প্যাটেন্টেড ওষুধ বানাতে পারছি না। ২০৩২ সাল পর্যস্ত আমাদের প্যাটেন্ট মুক্ত থাকার কথা। কিন্তু, তিন বছরের এক্সটেনশনসহ ২০২৭ সাল পর্যন্ত আমরা প্যাটেন্টমুক্ত থাকতে পারব। তবে, এক্সটেনশন নাও হতে পারে। সেক্ষেত্রে ২০২৪ সালেই আমাদের প্যাটেন্টেড ওষুধ বানাতে হবে। ২৭ কোম্পানি এখানে ওষুধের কাঁচামাল তৈরি করবে। আমি বলব এখানে প্যারাসিটামল তৈরি করে লাভ নেই। যে সকল ওষুধের দাম বেশি সে সকল ওষুধ তৈরি করার অনুরোধ করব। তিনি বলেন, যারা (যে সকল দেশ) এপিআই করে তারা নিজেরাই ৬০ ভাগ কনজিউম করে। আর আমরা যদি রফতানি করতে চাই, করতে পারি। এপিআই পার্ক হওয়ার পর ওষুধ রফতানি না করার কোন কারণ দেখি না। তবে কিছু সমস্যা আছে। কারণ, আমাদের এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফার্মেসি আছে কিন্তু, এখনও ওষুধের কাঁচামাল তৈরির কোন স্কুল নেই। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মোঃ মোসতাক হাসান, ভারতের রামকি গ্রুপের চেয়ারম্যান অযোধ্যা রামি রেড্ডি।
×