কোষ্ঠকাঠিন্য হলো ১২ সপ্তাহ ধরে (পর পর নাও হতে পারে) এক বছর সময় মলত্যাগ বাধাপ্রাপ্ত হওয়াকে বোঝায়। যদি নিচের দুটি লক্ষণ থাকে তবে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলা যাবে-
০ যদি মলত্যাগের সময় জোর দিয়ে মলত্যাগ করা হয় এবং সময় বেশি লাগে (২৫ শতাংশের বেশি সময় যদি তাই ঘটে)।
০ অসমাপ্ত মলত্যাগের অনুভূতি যদি থাকে।
০ মলত্যাগের পথে যদি বাধাপ্রাপ্ত হওয়ার অনুভূতি থাকে।
০ যদি সপ্তাহে তিনবারের কম মলত্যাগ করা হয়।
চিকিৎসা
০ রোগীকে নিশ্চিন্ত করা।
০ নরমাল মলত্যাগে অনুপ্রাণিত করা।
০ লো-কমোটে হাঁটুগেড়ে বসা।
০ প্রতিদিন একই সময় মলত্যাগ করা অর্থাৎ সকালে ও খাওয়ার পরপরই।
০ পানি বেশি খাওয়া।
০ আঁশ জাতীয় খাদ্য বেশি করে খাওয়া।
০ শাক-সবজির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়া।
০ রীতিমতো ব্যায়াম করা।
০ মল নরম রাখার ওষুধ ল্যাকটোলজ বা ম্যাগফিন জাতীয় ওষুধ প্রতিদিন দুই বার সেবন করা।
আঁশ জাতীয় খাদ্য
পাতাকপি
পাতাকপিতে ৪ গ্রাম প্রতি কাপে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৬ কাপ।
মটরশুঁটি
৮ গ্রাম প্রতিকাপে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৩ কাপ।
গাজর
৫ গ্রাম প্রতি কাপে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৫ কাপ প্রতিদিন।
কলা
৩ গ্রাম প্রতি কলায়, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৮টি কলা প্রতিদিন।
আপেল
৪ গ্রাম প্রতি খন্ড আপেলে, দরকার ২৪ গ্রাম অর্থাৎ ৬ খন্ড আপেল প্রতিদিন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: