ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১

তথ্যভাণ্ডার ফেসবুক

প্রকাশিত: ০৯:২৩, ২১ নভেম্বর ২০১৯

তথ্যভাণ্ডার ফেসবুক

ইন্টারনেট আমাদের এই শতাব্দীর সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি আমার কাছে মনে হয়। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের ব্যবহার বলতে গেলে একটা বিপ্লব সাধন করেছে। মোবাইল ফোনে ইন্টারনেটের বদৌলতে আবার চালু হয়েছে ফেসবুক। বর্তমান সময়ে সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম ফেসবুক। আমি বন্ধুদের দেখতাম ফেসবুক চালায়। তখন অতটা বুঝতাম না। এর আকর্ষণ বা প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতাম না। আমার এক আত্মীয় ইতালি থেকে স্মার্টফোন পাঠিয়েছে। তারপর আমি ফেসবুক এ্যাকাউন্ট খুলি। ফ্রেন্ড লিস্টে এক হাজার বন্ধু রয়েছে। কিন্তু এর আগে হাতেগোনা আট দশজন বন্ধুর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে কষ্ট হতো। এখন বন্ধুত্বে কোন ভাটা পড়ে না। প্রযুক্তির ভাল-মন্দ দুটো দিক থাকে। এর ব্যবহারের ওপর নির্ভর করে, ভাল-মন্দ আসলে নিজের কাছে। তাহলে কি আমরা আধুনিকতা গ্রহণ করব না? নতুন নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে পরিচিত হয়ে সভ্যতাকে এগিয়ে নেব না? অবশ্যই নেব। আমরা তো কোন কাজে পিছিয়ে থাকতে পারি না। ফেসবুক একটি বড় তথ্যভা-ার বলা চলে। এখানে বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন তথ্য পেয়ে আমরা সমৃদ্ধ হতে পারি। আমাদের চিন্তা-চেতনার শেয়ার করতে পারি। অজানাকে জানতে পারি। সৃজন ক্ষমতার বিকাশে সহায়তা করে। আমি যখন ডেঙ্গুজ¦রে আক্রান্ত হয়ে পিজি হাসপাতালে ভর্তি হই। তখন ফেসবুকে এই ম্যাসেজ পেয়ে ফেসবুকের বহু বন্ধু এসে হাসপাতালে জড়ো হয় আমাকে দেখতে। এ ম্যাসেজ পাঠাতে আমার মাত্র দু’ এক টাকা খরচ হয়েছে। দু’ এক মিনিট সময় লাগে আমার সংবাদটি পৌঁছাতে। তারা আমাকে বিভিন্ন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়। অসুস্থ হাসপাতালে তখন মনে হয়, আমাকে বাঁচতে হবে, বেঁচে উঠতে হবে। বন্ধুদের জন্যই এই সুন্দর পৃথিবীতে আমি বাঁচব, ভালভাবে বাঁচব। তারপর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠি। আমি ফেসবুকে আমার কবিতা, গল্প, বিভিন্ন নারী কলাম, কোন চিন্তাশীল লেখা লিখে থাকি। বন্ধুরা লাইক দেয়, কমেন্ট করে, এই কমেন্ট জেনে আমার লেখার পথ খুঁজে পাই। লেখা সমৃদ্ধ হয়। জরিপ নিয়ে দেখা গেছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর শতকরা আশি ভাগ মানুষ ফেসবুক ব্যবহার করে থাকে। ইন্টারনেট এবং ফেসবুক এখন এদেশে প্রায় সমার্থক শব্দ। হঠাৎ করে বাংলাদেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে সাড়ে চার কোটি হয়ে গেছে। এটা অত্যন্ত শুভ সংবাদ। আমি জরুরী কাজ ফেলে অযথা ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠি না। সব কিছুরই একটা সীমাবদ্ধতা থাকা উচিত। ফেসবুকের ভাল দিকগুলো আমরা গ্রহণ করব আর খারাপ দিকগুলো আমরা বর্জন করব। তাহলে আমরা উপকৃত হব ফেসবুক দ্বারা। রামপুরা, ঢাকা থেকে
×