ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়র খোকনের বক্তব্য

দোষীদের ছাড় নয়, তবে নিরপরাধীরা যেন হয়রানির শিকার না হন

প্রকাশিত: ১০:৪৪, ২১ অক্টোবর ২০১৯

  দোষীদের ছাড় নয়,  তবে নিরপরাধীরা যেন হয়রানির  শিকার না হন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দোষীদের কোন প্রকার ছাড় দেয়া যাবে না, তবে নিরপরাধ কোন কাউন্সিলর যেন হয়রানির শিকার না হন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। একইসঙ্গে যিনি অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত নন এমন কাউন্সিলরদের জনসেবায় বিঘ্ন না ঘটাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান। রবিবার সকালে বিশ্ব হাত দোয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র এসব কথা বলেন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন (এলআইইউপিসি) প্রকল্প এ কর্মসূচীর আয়োজন করে। ডিএসসিসি মেয়র বলেন, যে অন্যায় করে তার শাস্তি হবে। আমরা তাকে শাস্তি দেয়ার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করব। যদি কারও বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ উত্থাপিত হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে। আমাদের যদি কোন সাহায্য-সহযোগিতা কামনা করে, অবশ্যই ডিএসসিসি সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করবে। সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে আমি অবশ্যই বলব নিরপরাধ বা যিনি এসব কাজের সঙ্গে জড়িত নন, এমন কাউন্সিলরের বিষয়ে যেন যাচাই-বাছাই করে পদক্ষেপ নেয়া হয়। মেয়র বলেন, যারা জনগণের কাজ ও সেবায় নিয়োজিত রয়েছেন, তাদের যদি কোন উদ্দেশ্যমূলকভাবে হেনস্তা করতে অপব্যাখ্যা দেয়া হয়, তাহলে আমি বলব, আমরা সবাই যেন সতর্কতার সঙ্গে ব্যবস্থা নিই। কারণ, এর সঙ্গে জনসম্পৃক্ততা ও জনসেবা জড়িয়ে আছে। একজন কাউন্সিলর যদি বিনা কারণে হয়রানির শিকার হন, তাহলে এলাকাবাসী তার সেবা থেকে বঞ্চিত হবেন। দোষীকে কোনভাবে ছাড় নয়, যিনি নিরপরাধ তাকে কোনভাবেই হয়রানি নয়, আমরা এই নীতিতে সামনে চলব। একজন কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করা হয়েছে, তার স্থানে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, আমাদের কাছে মন্ত্রণালয়ের চিঠি আসার পরপরই আইন অনুযায়ী তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কাউন্সিলর থাকেন, তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। চিঠি এলেই ওই ওয়ার্ডের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পাশের ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলরকে নিয়োগ দেয়া হবে। সাঈদ খোকন বলেন, আমাদের শতাধিক কাউন্সিলর রয়েছেন। এর মধ্যে একজন এ কাজে (ক্যাসিনো) জড়িয়েছেন। এতে জড়িত থাকার বিষয়ে দুই-চার জনের নাম পত্রপত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। সেটাকে যাচাই-বাছাই করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নেবে। পত্র-পত্রিকায় কিছু লিখে দিলেই সিটি কর্পোরেশন সেটা গ্রহণ করতে পারে না। কিংবা কোন কাউন্সিলরকে আমরা অভিযুক্ত করতে পারি না, যতক্ষণ পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ না করছে।
×