ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইউরোপে বাইসাইকেল রফতানিতে বাংলাদেশ তৃতীয়

প্রকাশিত: ০৪:০৭, ২৫ জুলাই ২০১৭

ইউরোপে বাইসাইকেল রফতানিতে বাংলাদেশ তৃতীয়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে আমদানিকৃত বাইসাইকেলের ১১ শতাংশই বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে। এছাড়া ওই দেশগুলোর আমদানিকৃত বাইসাইকেলের ২৪ শতাংশ সরবরাহ করেছে তাইওয়ান, কম্বোডিয়া সরবরাহ করেছে ১৮ শতাংশ আর ফিলিপাইন সরবরাহ করেছে ১০ শতাংশ। সেই হিসেবে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে বাইসাইকেল রফতানিতে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়। বাংলাদেশে উৎপাদিত বাইসাইকেল মূলত যুক্তরাজ্য, জার্মানি, হল্যান্ড, ইতালি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, বেলজিয়াম ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, পর্তুগালে রফতানি হচ্ছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের তথ্য মতে, ২০১৬ সালে সংস্থাটির ২৮টি দেশ মোট ১ কোটি ৭০ লাখ বাইসাইকেল আমদানি করেছে। এর মধ্যে ৫৮ শতাংশই সদস্য দেশগুলো থেকে আমদানি করেছে ওই ২৮ দেশ। আর বাকি ৪২ শতাংশ আমদানি করেছে ইউনিয়নের বাইরে থেকে। এছাড়া এই সময়ে ওই ২৮ দেশ ১ কোটি ১০ লাখ বাইসাইকেল রফতানি করেছে বলে ইউনিয়ন প্রকাশিক তথ্যে দেখা গেছে। এদিকে সাইকেল রফতানিতে বাংলাদেশের বড় বাজার ইউরোপের দেশগুলো। প্রতি মাসে দেশ থেকে গড়ে ৮০-৮৫ কোটি টাকার সাইকেল রফতানি হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, বাংলাদেশের শ্রমবাজার সস্তা হওয়ায় তাইওয়ানের কোম্পানি আলিতা বাংলাদেশ লিমিটেড স্বল্প পরিসরে সাইকেল রফতানি শুরু করে। পরে এ ধারায় যুক্ত হয় মেঘনা গ্রুপ ও আরএফএল গ্রুপ। এখন আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও সাইকেল উৎপাদন করছে। এর মধ্যে এইস বাইসাইকেল লিমিটেড, ট্রান্সওয়ার্ল্ড বাইসাইকেল কোম্পানি, সিরাজ বাইসাইকেল লিমিটেড, জার্মানি-বাংলাদেশ বাইসাইকেল, নর্থ বেঙ্গল সাইকেল ইন্ডাস্ট্রিজসহ অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে মাউন্টেন বাইক, সিটি বাইক, ফ্রি স্টাইল, ট্র্যাকিং, ফোল্ডিং, বিচ ক্রুসার ও কিডস বাইক জাতীয় সাইকেল তৈরি হচ্ছে। এর একটি অংশ দেশের বাজারে ও বাকি অংশ রফতানি হচ্ছে। বর্তমানে ফ্রিস্টাইল, মাউন্টেন ট্র্যাকিং, ফোল্ডিং, চপার, রোড রেসিং, টেন্ডমেড ধরনের বাইসাইকেল রফতানি হচ্ছে। এসব সাইকেলের কিছু যন্ত্রাংশ আমদানি করা হলেও বেশির ভাগ যন্ত্রাংশই দেশে তৈরি হচ্ছে। বিশেষত চাকা, টিউব, হুইল, প্যাডেল, হাতল, বিয়ারিং, আসন তৈরি করছে দেশীয় এইসব প্রতিষ্ঠান। পোকা পাওয়ায় আম রফতানিতে ধস অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ইউরোপের দেশগুলো কিনবে ১ হাজার টন আম। তাই আশায় বুক বেঁধেছিলেন আমচাষীরা। কিন্তু রফতানির জন্য উৎপাদিত আমে পোকা পাওয়ায় তা নেমে গেছে মাত্র ৫৪ টনে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বলছে, যেসব আমে পোকা পাওয়া গেছে সেগুলোতে মানা হয়নি উত্তম কৃষি চর্চার কৌশল। ব্যবহার করা হয়েছে শুধুই ব্যাগ। যা দেশের কোন স্বীকৃত প্রযুক্তি নয়। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন আমচাষীরা। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আমের রফতানি বাড়াতে হলে কৃষক, ব্যবসায়ী ও সরকারকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে। আমে ব্যাগিং করলে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হবে, রং থাকবে ভাল, রফতানি করা যাবে বিদেশে। ফলে লাভবান হবেন চাষীরা। আশা দেখানো হয়েছিল এমনই। কিন্তু সেই আশার গুড়েবালি। এবার ব্যাগিং করা আমেও পোকার অস্তিত্বের অভিযোগ করল ইউরোপ। ফলে এক হাজার টন আম রফতানির কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত পাঠানো গেছে মাত্র ৫৪ টন। কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, উত্তম কৃষি চর্চা করে যেসব আম পাঠানো হয়েছে, সেসব আমে কোন পোকা পাওয়া যায়নি। যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সে যে তিন কোম্পানির চালানে পোকা মিলেছে, সেগুলো ব্যাগিং করা আম। অবশ্য এরইমধ্যে এসব কোম্পানিকে পণ্য রফতানির ওপর ছয় মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের এই পরিচালক বলছেন, ব্যাগিং করা আম রফতানি হবে, এমন ঘোষণা কখনই দেয়নি সরকার। যারা এমন কথা বলেন, তারা কৃষকদের সঙ্গে প্রতারণা করেন।
×