ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে..

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২২ মে ২০১৭

হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচতে..

অনলাইন ডেস্ক ॥ প্রচণ্ড গরমের কারণে সাধারণত ‘হিট স্ট্রোক’ হয়। তাপমাত্রা বেড়ে গেলেও শরীর চেষ্টা করে দেহের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে। এ জন্য গরম বাড়লে শরীরও ঘামতে শুরু করে। ঘাম বাষ্পীভূত হলে শরীর ঠাণ্ডা হয়। কিন্তু শরীরে ঘামার মতো যথেষ্ট পানি না থাকলে অসুস্থতা দেখা দেয়। শিশু ও বৃদ্ধদের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা কম। তাই এদের হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি। হিট স্ট্রোকের লক্ষণ প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ক্লান্ত হয়ে পড়া, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া, মাথা ঘুরতে থাকা, মাংসপেশিতে ব্যথ্যা ইত্যাদি। তাত্ক্ষণিক চিকিৎসা না নিলে রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে উঠে যায়। হৃদযন্ত্র বিকল হলে রক্তচাপ কমতে থাকে। ফুসফুসের ওপর চাপ পড়ায় শ্বাস-প্রশ্বাস কমে যায়। কিডনি কাজ না করায় প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যায়। হিট স্ট্রোক প্রতিরোধে ১. গরমের সময় সারা দিনই একটু পর পর প্রচুর পানি পান করুন। প্রচণ্ড গরমে এর পরিমাণ হতে পারে তিন লিটারেরও বেশি। ২. প্রচণ্ড রোদ ও গরম পরিহার করুন। কাজ করুন খোলা হাওয়া কিংবা স্বস্তিকর পরিবেশে। ৩. ঢিলেঢালা ও হালকা রঙের সুতির পোশাক পরুন। এমন পোশাক পছন্দ করুন, যার ভেতর বাতাস ঢুকতে পারে। ৪. একাধিকবার গোসল করুন। রোদে গেলে ছাতা ব্যবহার করুন। ৫. শিশু ও বয়স্কদের বেলায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। ৮. প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিলে সঙ্গে সঙ্গে সতর্ক হোন। প্রস্রাবের রং খেয়াল করুন। গাঢ় রঙের হলে আরো বেশি করে পানি খান। হিট স্ট্রোক হলে করণীয় ১. রোগীকে ফ্যানের বা এসির নিচে ঠাণ্ডা পরিবেশে আনতে হবে। রাস্তাঘাটে ফ্যান/এসি পাওয়া না গেলে জোরে বাতাস করতে হবে। ২. সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে পর্যাপ্ত পানি পান করাতে হবে। ৩. শরীরের তাপমাত্রা কমানো জরুরি। এ জন্য মাথা ও শরীরে পানি ঢালা যেতে পারে। ৪. দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। টাইমস অব ইন্ডিয়া অবলম্বনে ওমর শরীফ পল্লব
×