ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১১ মে ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১

বনানীর ওসির বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ

প্রকাশিত: ০২:৩৬, ২১ মে ২০১৭

বনানীর ওসির বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ বনানীতে দ্য রেইনট্রি হোটেলে আটকে রেখে দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগের ঘটনায় বনানী থানার ওসির কর্তব্যকাজে গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি। ওই দুই অভিযোগকারীকে থানায় বসিয়ে রেখে হয়রানিও করা হয়েছে। মামলা গ্রহণে গড়িমসি করে আসামিদের কাছ থেকে আর্থিক সুবিধা গ্রহণ করেছেন। বনানীর ওসি ফরমান আলীর বিরুদ্ধে গঠিত তদন্ত কমিটি বুধবার ডিএমপি কমিশনারের কাছে রিপোর্ট জমা দেবে। তদন্ত কমিটির প্রধান হিসেবে রয়েছেন ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) মিজানুর রহমান। ইতোমধ্যে কমিটি বনানী থানার ওসি ফরমান আলীকে কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই কমিটিও ইতোমধ্যে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে। এর মধ্যে একটি কমিটি মামলা নিতে গড়িমশি, প্রাথমিক তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ পেয়ে বনানী থানার ওসিকে কয়েকদফা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। বনানী থানার ওসি অভিযোগের মৌখিক ও লিখিত জবাব দিয়েছে তদন্ত কমিটিকে। তদন্ত কমিটির একটি সূত্র জানায়, ওসি ৪ মে ও ৫ মে অভিযোগকারীদের মামলা গ্রহণ করেননি। ৬ মে বিকাল থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত অভিযোগকারী দুই ছাত্রীকে থানায় বসিয়ে রাখেন। রাত ৯ টার পর গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আব্দুল আহাদ থানায় যান। কেন একজন অভিযোগকারীকে দুই দিন ধরে থানায় হয়রানি করা হচ্ছে- অতিরিক্ত উপ-কমিশনারের এমন প্রশ্নের মুখে ওসি মামলা গ্রহণ করতে বাধ্য হন। ঐ দিন রাত ১০ টায় ওসি থানায় মামলা গ্রহণ করেন বলে তদন্ত কমিটি তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে অনেকের বক্তব্য নিয়েছি। বিষয়টির বিভিন্ন দিক আমরা খতিয়ে দেখছি। তদন্তে এ ঘটনায় কারো গাফিলতির প্রমাণ মিললে, কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।’ এই কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন-ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় ও যুগ্ম ‍কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।
×