অনলাইন রিপোর্টার ॥ কপিরাইট আইন প্রয়োগে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও তা যথেষ্ট নয় বলে মন্তব্য করেছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর।
তিনি বলেন, যাদের জন্য কপিরাইট তাদের মধ্যেও এ বিষয়ে কোনো সচেতনতা নেই। আমরা কপিরাইট অফিস ও এর কার্যক্রমকে তাদের সামনে সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারিনি। যদি পারতাম তাহলে সংস্কৃতি অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে যেতে পারত।
রবিবার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আন্তর্জাতিক কপিরাইট দিবস উপলক্ষে 'মেধাসম্পদ সুরক্ষায় কপিরাইট আইনের ভূমিকা : বাংলাদশ পরিপ্রেক্ষিত' শীর্ষক সেমিনারের আয়োজন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কাপিরাইট অফিস। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী একথা বলেন।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব ইব্রাহীম হোসেন খান। কপিরাইট অফিসের রেজিস্ট্রার জাফর রাজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও কপিরাইট বোর্ডের সভাপতি মশিউর রহমান। আলোচনায় অংশ নেন লিরিসিস্ট কম্পোজার পারফর্মার অ্যাসোসিয়েশনের (বিএলসিপিএস) প্রধান নির্বাহী সুজিত মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক আতিক রহমান, পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির পরিচালক খান মাহবুব প্রমুখ।
সংস্কৃতিমন্ত্রী বলেন, আমরা অচিরেই একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করতে চাই। এ কমিটি সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে কপিরাইট আইনের প্রয়োগ, জনসচেতনতা সৃষ্টি ও আইনের দুর্বলতা নিরূপণ করে তা সংশোধনে ফলপ্রসূ ব্যবস্থা নেবে।
ইব্রাহীম হোসেন খান বলেন, বিদ্যমান কপিরাইট আইনের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে তা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নতুন আইনটির খসড়া প্রণীত হয়েছে।
মূল প্রবন্ধে মশিউর রহমান বলেন, কপিরাইট নিবন্ধন ঐচ্ছিক হওয়ায় বাংলাদেশে সৃজনশীল ব্যক্তিরা তাদের সৃজিত কর্মের নিবন্ধন করতে আগ্রহী হন না। এ অসচেতনতার কারণে বাংলাদেশে কপিরাইট আইনের সঠিক প্রয়োগ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সুজিত মোস্তফা বলেন, উন্নত দেশে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ রাজস্ব আসে মেধাসম্পদ থেকে। আমাদের দেশেও মেধাসম্পদের অভাব নেই। সচেতন হলে এ ক্ষেত্রে আমরাও এগিয়ে যেতে পারি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: