ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

ঢাকায় এসেছে মেঘদূত, ডিসেম্বরে আসছে ময়ূরপঙ্খী

প্রকাশিত: ০৫:৩১, ২৮ নভেম্বর ২০১৫

ঢাকায় এসেছে মেঘদূত, ডিসেম্বরে আসছে ময়ূরপঙ্খী

স্টাফ রিপোর্টার। বহুল প্রতীক্ষিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্র্যান্ড নিউ ৫ম বোয়িং ৭৩৭-৮০০ (মেঘদূত) শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। গত বুধবার এটি যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। আগামী ২২ ডিসেম্বর আসছে বিমানের ৬ষ্ঠ বোয়িং ময়ূরপঙ্খী। নতুন নতুন এসব উড়োজাহাজের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে ক্রমান্বয়ে বন্ধ হয়ে যাওয়া রুটসহ আরও অন্যান্য নতুন রুট চালু হবে। সিয়াটলের বোয়িং কারখানা থেকে রওনা হয়ে তেই শ’ ঘণ্টায় এটি ঢাকায় পৌঁছে। পথিমধ্যে আইসল্যান্ডের ক্যাসল্যাভিক এয়ারপোর্ট, লন্ডনের হিথরো এয়ারপোর্ট ও কুয়েত এয়ারপোর্টে নেমে জ্বালানি সংগ্রহ করে। সিয়াটল থেকে বিমানের ভারপ্রাপ্ত এমডি ক্যাপ্টেন মোসাদ্দিক আহমেদ ও প্রকৌশল বিভাগের পরিচালক উইং কমান্ডার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে মেঘদূত ঢাকায় আনা হয়। শুক্রবার সন্ধ্যায় মেঘদূতের অবতরণকালে বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন বিমানের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ নেওয়াজ ও পরিচালক ডক্টর শফিকুর রহমানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। মেঘদূত ঢাকায় অবতরণের পর সেটিকে আপাতত বিমানবন্দরেই অব্যবহৃত রাখা হবে। বিমানের চেয়ারম্যান এয়ার মার্শাল জামাল উদ্দিন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, আগামী মাসে অপর বোয়িং ৭৩৭ ময়ুরপঙ্খী আসার পর একত্রে দুটোই শুভ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিমান বহরে এ ধরনের ব্র্যান্ড নিউ উড়োজাহাজ অবশ্যই বাণিজ্যিক সফলতার মুখ দেখবে। নতুন বছরে নতুন দুটো উড়োজাহাজ অবশ্যই বিমানের জন্য বেশ আনন্দের। যাত্রীদেরও সেই আনন্দের ফুয়ারায় রাখা হবে। ইতোপূর্বে ২০১১ সালে ‘পালকি ও অরুণ আলো’ নামে বিমানের ১ম ও ২য় বোয়িং ৭৭৭-৩০০ই আর বিমান বহরে যুক্ত হয়। ২০১৪ সালে আকাশ প্রদীপ এবং রাঙাপ্রভাত নামে বিমানের ৩য় ও ৪র্থ বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর বিমান বহরে যুক্ত হয়। উল্লেখ্য, নতুন প্রজন্মের সম্পূর্ণ নতুন ১০টি উড়োজাহাজ সংগ্রহের জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০০৮ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং এয়ারক্রাফট কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। এই চুক্তির আওতায় ৪টি সুপরিসর বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, দুটি ৭৩৭-৮০০ এবং ৪টি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার পর্যায় ক্রমে বিমান বহরে যুক্ত হবে।
×