ছবিঃ সংগৃহীত
গলে আবারও সুখস্মৃতির সম্ভাবনা। হতাশার ছায়া সরিয়ে এবার দিনের সূর্য যেন আলোর বার্তাই নিয়ে এসেছে। টেস্টের প্রথম দিন শেষেই বাংলাদেশের মুখে হাসি—নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে স্বস্তিতে দিন শেষ করেছে টাইগাররা।
প্রথম দিনের খেলা শেষে ৯০ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৯২ রান। অপরাজিত রয়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত (১৩৬) ও মুশফিকুর রহিম (১০৫)। এ দুজনের জুটি থেকে এসেছে ২৪৭ রানের অনবদ্য পার্টনারশিপ, যা কঠিন পরিস্থিতি থেকে দলকে টেনে তুলেছে।
দিনের শুরুটা অবশ্য মনঃপূত ছিল না। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশ ইনিংসের শুরুতে হারায় দুই ওপেনারকে। এনামুল হক বিজয় ১০ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। আসিথা ফার্নান্ডোর শিকার হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। অন্যদিকে সাদমান ইসলামও ইনিংস বড় করতে ব্যর্থ হন—৫০ বলে ১৪ রানে থারিন্ডু রত্নানায়েকের বলে আউট হন ।
এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে খেলছিলেন মুমিনুল হক, কিন্তু ২৯ রানের বেশি যেতে পারেননি। কাট করতে গিয়ে প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন রত্নানায়েকের দ্বিতীয় শিকার হয়ে। ৪৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে বাংলাদেশ।
তখনই দৃঢ়তার প্রতীক হয়ে দাঁড়ান শান্ত ও মুশফিক। অধিনায়ক শান্ত ২১ ইনিংস ও প্রায় দেড় বছরের অপেক্ষার পর তুলে নেন সেঞ্চুরি। সবশেষ ২০২৩ সালের নভেম্বরে সিলেটে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে করেছিলেন শতক। এটি তার টেস্ট ক্যারিয়ারের ৬ষ্ঠ শতক।
অন্যদিকে, অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমও দেখালেন কেন তিনি এখনও দলের অন্যতম স্তম্ভ। প্রায় ১০ মাস পর তার ব্যাট থেকে এল ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
সিরিজের প্রথম টেস্টে প্রথম দিন শেষে বল হাতে চাপে শ্রীলঙ্কা, আর ব্যাট হাতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গলে ইতিহাসের পাতায় যোগ হতে পারে আরও এক স্মরণীয় অধ্যায়—প্রত্যাশা রইলো শান্ত-মুশফিকদের ব্যাটে সে গল্প আরও রঙিন হবে।
আলীম
