
ছবিঃ সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মঙ্গলবার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাট অঙ্গরাজ্যের হার্টফোর্ডে লেখক ও ইতিহাসবিদ হিদার কক্স রিচার্ডসনের সঙ্গে এক আলোচনায় অংশ নিতে যাচ্ছেন। এমন এক সময়ে তিনি প্রকাশ্যে আসছেন, যখন তার দল, দেশ এবং বিশ্ব গভীর অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কিছু হতাশ ডেমোক্র্যাট সমর্থক ও নেতারা ওবামার নীরবতা নিয়ে চাপা ক্ষোভ প্রকাশ করে আসছিলেন। তারা মনে করছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট এমন এক সময়ে চুপ করে আছেন, যখন ট্রাম্প প্রশাসন সরাসরি উদারনৈতিক আমেরিকার ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে।
দেশীয় প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির এক সিনেটরকে এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রীর কাছে প্রশ্ন করতে গিয়ে মাটিতে ফেলে হাতকড়া পরানো হয়েছে। অপরদিকে, এক ডেমোক্র্যাট গভর্নরকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রেফতারের হুমকি দিয়েছেন, এবং হাউস স্পিকার তাকে ‘ট্যার অ্যান্ড ফেদার’ করার হুমকি দিয়েছেন। এর মধ্যেই মিনেসোটায় এক ডেমোক্র্যাট রাজনীতিক ও তার স্বামীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই হামলায় আরও এক ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা ও তার স্ত্রী আহত হয়েছেন।
আন্তর্জাতিকভাবে পরিস্থিতি আরও জটিল। ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার উত্তপ্ত যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালাতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে, যার নির্দেশ দিতে পারেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
এমন পটভূমিতে ওবামা মঙ্গলবার রাতে কোনো শক্তিশালী বিবৃতি দেবেন কি না, তা এখনো পরিষ্কার নয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই রাজনীতি বা ট্রাম্প বিষয়ে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ্যে মন্তব্য করা থেকে বিরত রয়েছেন। তিনি বিরোধী পক্ষের নেতৃত্বে দৃশ্যমান ভূমিকাও গ্রহণ করেননি। অনেক ডেমোক্র্যাট কর্মকর্তা ও সমর্থক এই নীরবতা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন এবং চান ওবামা আরও বেশি ও সরবভাবে সমালোচনায় অংশ নিক।
হার্টফোর্ডের বুশনেল সেন্টার ফর দ্য পারফর্মিং আর্টসে মঙ্গলবারের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের জন্য ওবামা পারিশ্রমিক নিচ্ছেন। সাবেক রাষ্ট্রীয় নেতাদের মতো তিনিও বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, সামাজিক সংগঠন ও জনসাধারণের ফোরামে অর্থ নিয়ে এমন আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন।
ইমরান