ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

তানজিদ হাসান তামিম (১২৫*) ও আল-আমিন জুনিয়র (১০০*)

বিসিবি একাদশ-জিম্বাবুইয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র

প্রকাশিত: ১১:৫১, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

 বিসিবি একাদশ-জিম্বাবুইয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ ড্র

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানরা আতঙ্ক ছড়ান। সেই আতঙ্কের জবাব জোড়া সেঞ্চুরিতে দেন তানজিদ হাসান তামিম (১২৫*) ও আল-আমিন জুনিয়র (১০০*)। দুইজন মিলে ষষ্ঠ উইকেটে ২১৯ রানের জুটি গড়ে ব্যাটিং দাপট দেখান। বিসিবি একাদশ ও জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে দুইদিনের প্রস্তুতি ম্যাচটি ড্র হয়। ম্যাচ দুইদিনের। ড্র হওয়াটাই স্বাভাবিক। ম্যাচে আসলে ব্যাটিং-বোলিং অনুশীলন করাটাই আসল লক্ষ্য থাকে। সেই লক্ষ্য সফরকারী দলেরই বেশি থাকে। কারণ প্রস্তুতি ম্যাচে স্বাগতিক জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের তেমন দেখা যায় না। জিম্বাবুইয়ে প্রথম ইনিংসে প্রথমদিনে মঙ্গলবার ৭ উইকেটে ২৯১ রান করে। এরপর ইনিংসও ঘোষণা করে। ওপেনার কেভিন কাসুজা (৭০), চার্ল মুম্বা (৫৪*), প্রিন্স মাসভোরা (৪৫), টিমিসেন মারুমা (৩৪) ও এ্যান্সলি এনডিলোভু (২৫*) যে ব্যাটিং করেন, তাতে আতঙ্ক ছড়ায়। জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানরা বাংলাদেশ দলকে শনিবার শুরু হতে যাওয়া টেস্টেও যে ভোগাতে পারেন তাই বোঝা যায়। দ্বিতীয়দিন বুধবার বিসিবি একাদশের ব্যাটসম্যানরা ব্যাটিংয়ে নেমেও যখন ছন্নছাড়া ব্যাটিং করতে থাকেন, তখনও জিম্বাবুইয়ের শক্তিমত্তা ধরা পড়ে। কিন্তু যখনই তানজিদ আর আল-আমিনের জুটি হয় তখনই আবার জিম্বাবুইয়ের বোলিংটা যে যাচ্ছে তাই তা বোঝা যায়। তাতে করে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের জন্য যে সুবিধা আছে ধরা পড়ছে। এখন জাতীয় দলের তামিম, সাইফ, শান্ত, মুমিনুল, মুশফিক, মিঠুন, লিটনরা নিজেদের মেলে ধরতে পারলেই হয়। জিম্বাবুইয়ের দুই ব্যাটসম্যান মুম্বা ও এনডিলোভু অষ্টম উইকেটে গিয়ে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। বিসিবি একাদশের বোলাররা বিশেষ করে স্পিনার শাহাদাত হোসেন মাঝপথে ধস নামালেও শেষে গিয়ে কোন বোলারই নজর কাড়তে পারেননি। শুরুতে ১০৫ রানের জুটির পর শেষে জিম্বাবুইয়ে যে বড় একটি জুটি গড়ে তাতে জিম্বাবুইয়ে ব্যাটসম্যানরা ভাল কিছু করে দেখাতে পারেন, সেই ইঙ্গিত মিলে। বিসিবি একাদশ ব্যাট হাতে নামার পর যখন মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই ধসে পড়ে, দুই স্পিনার এনলোভু ও টিনোটেন্ডা মুতোম্বদজির ঘূর্ণি জাদু, চার্লটন টিসুমা ও মুম্বার গতিতে যে ৬৯ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে তাতে জিম্বাবুইয়ে বোলাররাও যে আতঙ্ক ছড়াতে পারেন তাও মনে করা হয়। কিন্তু তানজিদ ব্যাট হাতে নেমেই যে জিম্বাবুইয়ে বোলারদের বলগুলোকে তুলোধুনো করতে থাকেন, তাতে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন তানজিদ। দেখতে দেখতে মুহূর্তেই সেঞ্চুরি করে ফেলেন। শেষ পর্যন্ত ৮৭ বলে সেঞ্চুরি করার পর ৯৯ বলে ১৪ চারে ৫ ছক্কায় ১২৫ রান করে অপরাজিতও থাকেন। আল-আমিনের পরে ব্যাটিংয়ে নামেন তানজিদ। তবে আল-আমিনের আগেই সেঞ্চুরি করে ফেলেন। তানজিদ সেঞ্চুরির পর আল-আমিনও ১৪৫ বলে ১৬ চারে ১০০ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুইজন মিলে দলকে যখন ২৮৮ রানে নিয়ে যান দিন শেষ হয়। পুরোদিন খেলা হয়নি। ম্যাচ ড্র হয়। তানজিদ যুব বিশ্বকাপ জয়ী দলের অন্যতম সদস্য। তিনি সবসময়ই ওপেনিংয়ে খেলেন। কিন্তু জিম্বাবুইয়ের বিরুদ্ধে প্রস্তুতি ম্যাচে সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে দ্রুত সেঞ্চুরি করেন। দলে সিনিয়র ক্রিকেটাররা থাকাতেই তানজিদের এত পরে নামতে হয়েছে। তানজিদ ও আল-আমিনের সেঞ্চুরিতে অভয় পেতে পারেন মুমিনুলবাহিনী। তারা যে কড়া জবাব দিয়েছেন। স্কোর ॥ বিসিবি একাদশ-জিম্বাবুইয়ে প্রস্তুতি ম্যাচ-বিকেএসপি জিম্বাবুইয়ে প্রথম ইনিংস ২৯১/৭; ৯০ ওভার; ইনিংস ঘোষণা; মাসভোরা ৪৫, কাসুজা ৭০, মুদজিঙ্গানইয়ামা ১৭, আরভিন ১০, মারুমা ৩৪, চাকাভা ১৩, মুতুম্বদজি ০, মুম্বা ৫৪*, এনডিলোভু ২৫*; শাহাদাত ৩/১৬, আল-আমিন জুনিয়র ২/৪০, শরিফুল ১/৪৫। বিসিবি একাদশ প্রথম ইনিংস ২৮৮/৫; ৫৯.৩ ওভার; নাঈম ১১, ইমন ৩৪, মাহমুদুল ১, শাহাদাত ২, আল-আমিন জুনিয়র ১০০*, আকবর ১, তানজিদ ১২৫; এনডিলোভু ২/৫১।
×