ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

লাবুশানে জানতেন বাউন্সার আসবে

প্রকাশিত: ১২:২৩, ২১ আগস্ট ২০১৯

লাবুশানে জানতেন বাউন্সার আসবে

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জোফরা আর্চারের বাউন্সার স্টিভেন স্মিথের হেলমেটের ফাঁক গলে আঘাত করল মাথার পেছন দিকে। মাঠেই লুটিয়ে পড়লেন তুখোড় অস্ট্রেলিয়ান উইলোবাজ। স্মিথকে কোনরকম সান্ত¡না না দিয়ে বরং আর্চারের হাসি নিয়ে চলছে ব্যাপক সমালোচনা। তাতে করে লর্ডসে বহুল আলোচিত এ্যাশেজের দ্বিতীয় টেস্টে অনেকটা ঢাকা পড়ে গেছে ইতিহাসের প্রথম ‘বদলি’ হিসেবে ব্যাটিংয়ে নামা মার্নাস লাবুশানের বিষয়টি। অথচ মুখোমুখি আর্চারের দ্বিতীয় বলটা সরাসরি তার হেলমেটও কাঁপিয়ে দিয়েছিল। স্মিথের মতো সুপার ব্যাটসম্যান ওভাবে লুটিয়ে পড়ে মাঠ ছাড়ার পর অমন অভিজ্ঞতা লাবুশানের মনে নিশ্চিত করেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে। কিন্তু মাত্র ৫ টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে মাঠে নামা ২৫ বছর বয়সী ঠিক ঠাওরে নিয়েছেন। জবাব দিয়েছেন ঠা-া মাথায়। জোফরার তোপ সামলে সফরকারীরা যে ম্যাচ ড্র করেছে তাতে প্রথম ইনিংসে স্মিথের ৯২ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে লাবুশানের ৫৯ রান ছিল মহামূল্যবান। আর্চারের বাউন্সার লাবুশানের হেলমেটের সামনে বাঁদিকের গ্রিলে প্রচ- আঘাত করে। চোট পাওয়ার পর তিনি আদৌ সংজ্ঞা হারিয়েছেন কি না সেটি পরীক্ষার জন্য ফিজিও জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কোথায় আছ?’ লাবুশানের উত্তর, ‘আমি জানি আমি কোথায় আছি। এখন ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনের বক্সি রিংয়ে দাঁড়িয়ে আছি।’ তারপরই হেসে বলেন, ‘হেভিওয়েট বক্সিং চ্যাম্পিয়ন উইলি প্যাস্ট্রানো একবার রিংয়ে আহত হওয়ার পর এই উত্তরটি দিয়েছিল।’ আর্চারের বাউন্সারে কিছুটা ভয় পেলেও উইকেট ছুড়ে দেননি লাবুশানে। ক্রিজ কামড়ে দলকে বাঁচিয়েছেন হার থেকে। ১০০ বলে খেলেছেন ৫৯ রানের লড়াকু এক ইনিংস। উল্টো দিক থেকে আসা আর্চারের ১৫৪ কিলোমিটার গতির বল কিভাবে সামলেছেন তরুণ এই অস্ট্রেলিয়ান?, ‘হেলমেটে আঘাত পাওয়ার পর ফিজিওকে বললাম, আমাকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। আমি শতভাগ ফিট। হ্যাঁ ভয় তো একটু লেগেছিলই, স্মিথ আহত হওয়ার পর এমন বাউন্সার। কিন্তু লর্ডসে প্রথমবার এ্যাশেজে মাঠে নামার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি। ক্রিকে থিতু হওয়ার পর আর্চারকে খেলতে বরং ভালই লাগছিল।’ লাবুশানে বলেন, ‘ঐতিহাসিক লর্ডসে এ্যাশেজ অভিষেক। স্মিথ আহত হওয়ার পর অমন আঘাতে শুরুতে কিছুটা হলেও ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। তবে আমি জানতাম এমনটা হতে পারে। পরে নিজেকে সামলে নিয়ে নিজের খেলাটা খেলার চেষ্টা করেছি।’ প্রথমবারের মতো প্রবর্তিত ‘কঙ্কাশান সাব’ অর্থাৎ পরিবর্তিত হিসেবে খেলা কতটা কঠিন?, ‘লাবুশানের উত্তর, ‘সত্যি বেশ কঠিন। শনিবার পর্যন্ত কোন ধারণা ছিল না যে আমি এই ম্যাচে নামতে পারি। লর্ডসের নেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাট করছিলাম। রবিবার হঠাৎ জানতে পারলাম আমি স্মিথের পরিবর্তে খেলছি। স্মিথের জায়গাতেই ব্যাট করতে নামব। তখন কিছুটা স্নায়ুর চাপ অনুভব করি। কিন্তু বাইশ গজে কিছুটা সময় থাকার পর আর ভয় লাগেনি।’ নির্দেশ পাওয়ার পরে কিভাবে নিজেকে তৈরি করলেন লাবুশানে? বলছিলেন, ‘বিষয়টি জানার পরই স্টার্ক ও প্যাটিনসনকে অনুরোধ করি আমাকে ব্যাটিং অনুশীলন করানোর জন্য।
×