স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সমতা ফেরালেও পয়েন্ট হারানোর শঙ্কায় পড়েছিল জুভেন্টাস। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা হতে দেননি সুপারস্টার ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। ম্যাচ শেষের দুই মিনিট আগে পেনাল্টি থেকে গোল করে জিতিয়েছেন দলকে। অর্থাৎ রবিবার রাতে ইতালিয়ান সিরি’এ লীগের এ্যাওয়ে ম্যাচে স্বাগতিক ল্যাজিওকে ২-১ গোলে হারিয়েছে সফরকারী জুভেন্টাস।
এর ফলে আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত জুভেন্টাস ২১ ম্যাচে ১৯ জয় ও দুই ড্রয়ে ৫৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। ১১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আছে নেপোলি। তৃতীয় স্থানে থাকা ইন্টার মিলানের পয়েন্ট ৪০। নয় জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে ল্যাজিও। তারকায় ঠাসা থাকলেও ল্যাজিও মাঠে শুরু থেকেই বেকায়দায় পড়ে জুভেন্টাস। স্বাগতিকদের একের পর এক আক্রমণে তারা কোণঠাসা হয়ে পড়ে। তবে তাদের সামনে বাধার দেয়াল হয়ে ছিলেন জুভ গোলরক্ষক স্ট্যাসনি। পোলিশ এই গোলরক্ষকের অসাধারণ দৃঢ়তায় প্রথমার্ধে জাল অক্ষত থাকে টানা সাতবারের চ্যাম্পিয়নদের। ম্যাচের প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগটি ল্যাজিও পায় ১৯ মিনিটে। প্রায় ২০ গজ দূর থেকে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এ্যাঞ্জেল কোররেয়ার শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান স্ট্যাসনি। খানিক পর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার লুইস আলবের্তোর জোরালো শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় রুখে দেন তিনি।
৩৮ মিনিটে ইতালিয়ান মিডফিল্ডার মার্কো পারোলোর শটও রুখে দেন স্ট্যাসনি। চার মিনিট পর চিপ শটে আগুয়ান গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়েছিলেন ল্যাজিও’র ইতালিয়ান ফরোয়ার্ড চিরো ইম্মোবিলে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ছুটে গিয়ে দলকে বাঁচান ডিফেন্ডার ডানিয়েলে রুগানি। বিরতির পর শুরুটা দারুণ হতে পারতো জুভেন্টাসের। কিন্তু ডগলাস কোস্টার বাড়ানো বলে পা লাগাতে ব্যর্থ হন রোনাল্ডো। দুই মিনিট পর আলবের্তোর শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে হতাশা বাড়ে স্বাগতিকদের। অবশেষে ৫৯ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে কাক্সিক্ষত গোলের দেখা পায় ল্যাজিও। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল ঠেকাতে গিয়ে নিজেদের জালে পাঠান জুভেন্টাসের মিডফিল্ডার এমরে কান। পাঁচ মিনিট পর ম্যাচের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি পান ইম্মোবিলে। কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও অবিশ্বাস্যভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট শট নেন তিনি। কিছুক্ষণ পর মিডফিল্ডার মিলিনকোভিচ-সাভিচের শট অল্পের জন্য বাইরে যায়।
খেলার ধারার বিপরীতে ৭৪ মিনিটে সমতায় ফেরে জুভেন্টাস। রড্রিগো বেন্টানকুরের পাস পেয়ে পাওলো দিবালার শট ফিরিয়ে দেন স্বাগতিক গোলরক্ষক। কিন্তু বল চলে যায় ফাঁকায় দাঁড়ানো কাভাকো কানসেলোর পায়ে। ঠা-া মাথায় গোলটি করেন তিন মিনিট আগে কোস্টার বদলি নামা পর্তুগীজ ডিফেন্ডার। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে স্পট কিকে দলের জয়সূচক গোলটি করেন রোনাল্ডো। আগের গোলদাতা কানসেলোকে ডি বক্সে রোমানিয়ার ডিফেন্ডার স্টেফান ফেলে দিলে পেনাল্টিটি পায় জুভেন্টাস। স্পট কিকে গোল করতে ভুল করেননি সিআর সেভেন। চলতি লীগে পর্তুগীজ ফরোয়ার্ড এই নিয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৫টি গোল করলেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: