স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ জ্যামাইকান স্প্রিন্টার উসাইন বোল্ট। ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডের জীবন্ত কিংবদন্তি। অমরত্বের ইতিহাস গড়ে ২০১৭ সালেই ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ডকে বিদায় বলে দেন তিনি। কিন্তু ক্রীড়ার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেমের বন্ধন ছিড়তে পারেননি ১০০ এবং ২০০ মিটারে বিশ্ব রেকর্ড গড়া এই জ্যামাইকান। যে কারণে ট্র্যাক ছেড়ে দিয়েও পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বুনতে থাকেন ৩২ বছর বয়সী এই এ্যাথলেট।
সেই স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত করতে হেঁটেছেন দীর্ঘ পথ। উড়ে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়াতেও। সেই দেশের দল সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের সঙ্গে অনুশীলনও করেছিলেন তিনি। প্রায় দুই মাস ঘাম ঝরিয়েছেন বোল্ট। কিন্তু বিধি বাম! শেষ পর্যন্ত তার পেশাদার চুক্তিটা ব্যয়বহুল হওয়ায় প্রয়োজন পড়ে পৃষ্ঠপোষকের। কয়েকবার চেষ্টা করেও পৃষ্ঠপোষক মেলেনি বোল্টের ভাগ্যে। ফলে নবেম্বরে অস্ট্রেলিয়া ছেড়ে যেতে হয় বোল্টকে। এরপর চরম হতাশ হয়েছেন তিনি। যে কারণে সিদ্ধান্ত বদল করতে বাধ্য হলেন বোল্ট। ‘খেলাধুলার জীবন’কে ইতি টানলেন তিনি। পাকাপাকিভাবে ছয় মাস না হতেই কেন এমন সিদ্ধান্ত? তা বোল্ট জানালেন নিজেই, ‘আমি বলব না যে আমার সময়টা খুব একটা খারাপ গিয়েছে, কিংবা আমি মানিয়ে নিতে পারিনি। তবে যেমনটা চেয়েছি, ঠিক তেমনটা হয়নি। তবে ফুটবল জীবনটা আসলেই খুব ভাল একটা অভিজ্ঞতা। একটা দলের সঙ্গে এভাবে থাকতে পারা আসলেই অনেক বড় অভিজ্ঞতা। ট্র্যাক এ্যান্ড ফিল্ড থেকে এটা অনেক আলাদা। যতদিন ছিলাম ততদিন খুবই উপভোগ করেছি। আমি অনেক কিছুই করতে চেয়েছি, করেছি। তবে আমার মাঠের জীবনটা এখানেই শেষ।’
তবে মাঠের পরের জীবনে কী করবেন বোল্ট? সেটাও জানিয়ে দিলেন অকপটে। হ্যাঁ, এখন ব্যবসায় মনোযোগ দিতে চলেছেন এই কিংবদন্তি স্প্রিন্টার। তিনি বলেন, ‘আমি এখন ব্যবসায় মনোযোগ দিচ্ছি। মাঠের খেলা বাদেও আরও অনেক কিছু করার মতো আছে জীবনে। সামনে অনেক সম্ভাবনা আছে। তবে আমি ব্যবসাটাই বেছে নেব।’
বোল্ট যে শুধু সেন্ট্রাল কোস্ট মেরিনার্সের সঙ্গেই খেলতে চেয়েছেন তা নয়। তার নামের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের সর্বকালের সেরা ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং জার্মান বুন্দেসলিগার জায়ান্ট ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডও। কিন্তু এক্ষেত্রে দুর্ভাগ্যই বলতে হবে বোল্টের। কোন ক্লাবেই ঠাঁই হয়নি তার। তবে নতুন ভূমিকায় কতটুকু সফল হবেন জ্যামাইকান কিংবদন্তি? ক্রীড়ামোদীদের অপেক্ষা এখন সেটাই দেখার।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: