স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নিউজিল্যান্ড সফরে এবার প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে টার্গেট করে মাঠে নামছে ক্যারিবীয়রা। অতিথি অধিনায়ক জেসন হোল্ডার এমনটাই জানিয়েছেন। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হচ্ছে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে নিউজিল্যান্ড চার নম্বরে, আর দশ দলের মধ্যে আটে ওয়েস্ট ইন্ডিজ! তার ওপর ভারত-পাকিস্তান, এমনকি ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিধর দেশও কিউইদের মাটিতে কখনই সুবিধা করতে পারেনি। সেখানে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের কী দশা হবে সেটি অনুমেয়! যদিও সম্প্রতি কিছুটা উন্নতির স্মৃতি নিয়ে নামছেন হোল্ডাররা। ‘আমরা ইংল্যান্ডে এবং আরব আমিরাতে পাকিস্তানের সঙ্গে দারুণ দুটি সিরিজ শেষ করেছি। জানি, ঘরের মাটিতে নিউজিল্যান্ড শক্তিশালী। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক উইলিয়ামসনকে অল্পতে ফিরিয়ে দিতে হবে। ছেলেরা আত্মবিশ্বাসী।’
গত ২২ বছরে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে কখনও টেস্ট ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। হোল্ডার তাই যতই আত্মবিশ্বাসী হোন কাজটা তাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন। আইসিসি টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের চার নম্বর ব্যাটসম্যান উইলিয়ামসন। বিরাট কোহলি, জো রুট, স্টিভেন স্মিথের সঙ্গে সাময়িক সময়ে ‘ফ্যান্টাস্টিক ফোরে’র অন্যতম সদস্য তুখোড় এই উইলোবাজ। বিশ্বের যে কোন প্রান্তে প্রতিপক্ষ দলগুলোর জন্য ভয়ঙ্কর এক ব্যাটসম্যান। সেই তিনি নিজেদের মাঠে একাই পার্থক্য গড়ে দিতে সক্ষম। ব্যাটিংয়ে অভিজ্ঞ রস টেইলরকে নিয়েও ভাবতে হবে সফরকারীদের। উইন্ডিজ অধিনায়ক হোল্ডার বলেন, ‘আমি বল করতে ভালবাসি। বিশেষ করে নিউজিল্যান্ডের মতো এমন কন্ডিশনে। আমাদের দলে একাধিক বিশ্বমানের পেসার রয়েছে। তারা যে কোন চ্যালেঞ্জ নিতে সক্ষম।’ ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভের উইকেট চিরায়ত পেসাবান্ধব। ঘাস থাকবে, বল শা-শা করে ব্যাটসম্যানের দিকে ছুটে আসবে। চ্যালেঞ্জটা তাই দু’দলের ব্যাটসম্যানদের জন্যই সমান।
টস জিতলে বোলিং নেয়াটা অবধারিত। নিউজিল্যান্ড কোচ মাইক হেসন সেটি অকপটে জানিয়েছেন, ‘বেসিন রিজার্ভে টস জিতলে যে কেউ চোখ বন্ধ করে বোলিং নেবেন। এখানে ভারত, পাকিস্তানের মতো দলগুলোও আমাদের সামনে দাঁড়াতে পারেনি। আশা করছি এবারও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, নেইল ওয়াগনারদের নিয়ে স্বাগতিকদের পেস আক্রমণ ভয়ঙ্কর। তাদের সামলাতে ক্রেইগ ব্রেথওয়েট, ইনফর্ম রোস্টন চেজ আর কাইরন পাওয়েল ছাড়া পরিচিত তেমন কেউ নেই! এটাই শেষ পর্যন্ত ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়াতে পারে। ক্যারিবীয়রা অবশ্য শাই হোপ, জার্মেইন ব্লাকউডদের কাছ থেকেও ভাল কিছু আশা করবে। অন্যদিকে উইলিয়ামসন, টেইলর, বিজে ওয়াটলিং, লুক ফার্গুুসন, হেনরি নিকোলস, টম লাথাম আছেন কিউই শিবিরে। ১৯৫১-১৯৫২ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত মুখোমুখি ৪৫ টেস্টের ১৩টিতে জয় নিউজিল্যান্ড ও সমান ১৩ ম্যাচে জয় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। ড্র হয় ১৯টি টেস্ট।
সর্বশেষ ২০১৪ সালে এমনকি নিজেদের মাটিতেও নিউজিল্যান্ডের কাছে ৩-১এ সিরিজ হেরেছিল ক্যারিবীয়রা! তার আগের বছর নিউজিল্যান্ড সফরে এসে তিন টেস্টের সিরিজে তারা হেরেছিল ০-২ ব্যবধানে। সেবার তৃতীয় টেস্টটা হয়েছিল এই ওয়েলিংটনে। যেখানে ইনিংস ও ৭৩ রানে জিতেছিল ব্রেন্ডন ম্যাককালামের নিউজিল্যান্ড।