ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাকা আবাহনী-ব্রাদার্স, চট্টগ্রাম আবাহনী-শেখ জামাল ধানমন্ডি প্রথমদিনে মাঠে নামছে

সোমবার থেকে ফের শুরু বিপিএল ফুটবল

প্রকাশিত: ০৫:১৮, ১ অক্টোবর ২০১৭

সোমবার থেকে ফের শুরু বিপিএল ফুটবল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ যুব সাফ ফুটবলের বিরতির পর সোমবার থেকে আবারও মাঠে গড়াচ্ছে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের খেলা। নবম রাউন্ডে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বিকাল সাড়ে ৪টায় বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর প্রতিপক্ষ ব্রাদার্স ইউনিয়ন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় চট্টগ্রাম আবাহনী খেলবে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের বিপক্ষে। ৮ ম্যাচে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে এখনও লীগ শিরোপা না জেতা চট্টগ্রাম আবাহনী। তাদের চেয়ে ২ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে তিনবারের লীগ চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। কালকের নিজ নিজ ম্যাচে জিতলে পয়েন্ট টেবিলে নিজেদের অবস্থান সুসংহত থেকে যাবে দল দুটির। সমান ১৭ পয়েন্ট পেলেও গোলগড়ে নবাগত সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব তিনে, আবাহনী আছে চার নম্বরে। ৫ পয়েন্ট নিয়ে গোপীবাগের ব্রাদার্সের অবস্থান নাজুক, একাদশ নম্বরে। দুই অঙ্কের পয়েন্ট আছে শেখ রাসেল (১১) ও রহমতগঞ্জের (১০)। বেকায়দায় আছে মোহামেডান (৮ পয়েন্ট), আরামবাগ (৭), মুক্তিযোদ্ধা (৬), বিজেএমসির (৬)। ৪ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে এক বছর নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে ফেরা ফরাশগঞ্জ। মজার ব্যাপার হচ্ছে, তাদের একমাত্র জয়টিই হচ্ছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর বিরুদ্ধে (১-০)। এ পর্যন্ত অষ্টম রাউন্ড শেষে ৪৮ ম্যাচে গোল হয়েছে ৯৯টি। ব্যক্তিগত গোলদাতার লড়াইটাও হচ্ছে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। চট্টগ্রাম আবাহনীর তৌহিদুল আলম সবুজ এবং আরামবাগের নাইজিরিয়ান বুকোলা ওলালেকান দুজনেই করেছেন সর্বাধিক ৬টি করে গোল। ৫টি করে গোল করে যুগ্মভাবে দ্বিতীয় স্থানে শেখ জামালের গাম্বিয়ান ফরোয়ার্ড সলোমন কিং কানফর্ম এবং সাইফের কলম্বিয়ান ফরোয়ার্ড হেম্বার ভ্যালেন্সিয়া। শেখ জামালের মমোদৌ বাও এবং ঢাকা আবাহনীর ল্যান্ডিং ডার্বোয়ে ৪ গোল নিয়ে যুগ্মভাবে আছেন তৃতীয় স্থানে। দুজনেই গাম্বিয়ান। লীগের একমাত্র হ্যাটট্রিকটি করেছেন হেম্বার ভ্যালেন্সিয়া (বিপক্ষ ব্রাদার্স, ২৬ আগস্ট, ফল ৫-০)। সবচেয়ে বেশি গোলের যোগানদাতাদের তালিকায় আছেন এনামুল হক। জামালের এই মিডফিল্ডার এ পর্যন্ত ৪টি গোলের এসিস্ট করেছেন। সাইফের জুয়েল রানাও ৪টি এসিস্ট করে যুগ্মভাবে শীর্ষে। ৩টি এসিস্ট করে তিনে চট্টগ্রাম আবাহনীর জাহিদ হোসেন। সবচেয়ে বেশি কার্ড দেখেছেন যুগ্মভাবে তিনজন। একজন অনীক হোসেন। মোহামেডানের এই ডিফেন্ডার এ পর্যন্ত ৪টি হলুদ এবং ১টি লালকার্ড দেখে মাঠ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছেন। একই অবস্থা ফরাশগঞ্জের ফারুক হোসেন এবং মোহাম্মদ উদ্দিন সুজনের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২টি হলুদ ও ১টি লালকার্ড দেখেছেন ব্রাদার্সের আরিফ খান জয় এবং মোহামেডানের ফয়সাল মাহমুদ। তৃতীয় সর্বাধিক ১টি হলুদ ও ১টি লালকার্ড দেখেছেন সাইফের তপু বর্মণ এবং শেখ জামালের এনামুল হক।
×