ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

বদলে যাওয়ার টাইগারদের প্রশংসায় ভিল্লাভারায়ন

প্রকাশিত: ০৬:৫২, ১১ জুলাই ২০১৭

বদলে যাওয়ার টাইগারদের প্রশংসায় ভিল্লাভারায়ন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রায় বছর খানেক আগে দীর্ঘ সময় ধরে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন ক্রিকেটাররা। গত বছর সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ সফরে এসেছিল আফগানিস্তান। দীর্ঘ সময় পর সেটাই ছিল জাতীয় দলের প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ব্যস্ততা। তার আগে লম্বা সময় ধরে ক্রিকেটারদের ফিটনেস পরখ করতে পেরেছিলেন স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন। আবারও লম্বা সময় মাশরাফি বিন মর্তুজা, মুশফিকুর রহীমদের ফিটনেস পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের সুযোগ পাচ্ছেন এ লঙ্কান ট্রেনার। সোমবার থেকে শুরু হওয়া ফিটনেস ক্যাম্পের প্রথম দিনেই ক্রিকেটারদের শারীরিক অবস্থা দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। ক্রিকেটাররা লম্বা ছুটি পাওয়ার পরেও নিজেরা অনুশীলনে থেকে ফিটনেস ধরে রেখেছেন। এর ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তিনি। আর এই বদলে যাওয়ার মানসিকতার কারণেই দলের পারফর্মেন্সে উন্নতি হয়েছে বলে মনে করেন ভিল্লাভারায়ন। সোমবার ফিটনেস ক্যাম্পের প্রথম দিন ২২ ক্রিকেটারকে পেয়েছেন ট্রেনার ভিল্লাভারায়ন। নিয়েছেন ব্লিপ টেস্ট। জিমে মাশরাফি-মুশফিকরা অনুশীলন করেন এবং পরবর্তীতে ইনডোরে দুপুর পর্যন্ত কাটিয়েছেন। এভাবে ফিটনেস ধরে রাখার ক্যাম্পটা চলবে প্রায় তিন সপ্তাহব্যাপী। কারণ, ২৮ জুলাই প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহে আসার পরই শুরু হবে স্কিল ট্রেনিং। ততদিন পর্যন্ত নিজের মতো করে ক্রিকেটারদের আসন্ন ব্যস্ত ক্রিকেট মৌসুমের জন্য শারীরিকভাবে প্রস্তুত করতে পারবেন ভিল্লাভারায়ন। প্রথম দিনের অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর তিনি বলেন, ‘ওদের মধ্যে বদলে যাওয়ার মানসিকতা আছে। এমন মানসিকতা ওরা আগামীতেও ধরে রাখতে চায়। তারা কঠোর পরিশ্রম করতে দ্বিধাবোধও করেনা।’ আনুষ্ঠানিকভাবে ফিটনেস ক্যাম্প সোমবার শুরু হলেও ৩/৪ দিন আগে থেকেই বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার নিজ থেকে মাঠে নেমে গেছেন। দীর্ঘ ছুটিতে থাকার কারণে শারীরিক যে জড়তা সেটা কাটিয়ে উঠতেই তারা আগেভাগে নেমে পড়েন মাঠে। এ বিষয়টি দারুণ আনন্দিত করেছে ভিল্লাভারায়নকে। তিনি বলেন, ‘বড় ব্যাপার হলো ফিটনেস ধরে রাখতে ওরা নিজেদের অনুশীলনটা এখন নিজেরাই করে। মূলত এজন্যই ওরা বদলেছে। আপনি ওদের গত ৮ মাসের পারফর্মেন্স দেখলে উন্নতিটা বুঝতে পারবেন। ব্যাট হাতে ওরা ভাল রান করেছে। সেটা ঘরোয়া এবং আন্তর্জাতিক দুই পর্যায়েই।’ অতীতে অনেকবারই দেশের ক্রিকেটারদের ফিটনেস নিয়ে সমালোচনা হয়েছে। নিয়মিত ইনজুরিতে পড়া, ক্রিকেট ম্যাচে ফিল্ডিং ব্যর্থতা ইত্যাদিন পেছনে ফিটনেস ঘাটতিকেই দুষেছেন সবাই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটাররা এক্ষেত্রে সবসময়ই দারুণ দৃষ্টান্ত। এই দেশগুলোর ক্রিকেটারদের ফিটনেস সবসময়ই দুর্দান্ত এবং অনুসরণীয়। তাদের পর্যায়ে যাওয়া কি সম্ভব হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের? ভিল্লাভারায়ন বলেন, ‘কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকানরা ভীষণ পেশাদার। তাদের ফিটনেসের মানও উঁচু। তার মানে এইনা যে আমরা তাদের ধারেকাছেও নেই। যেটা করতে হবে সেটা হলো, আমাদের ছেলেদের মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে আরও। বর্তমান ভাবধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সম্ভব হবে।’ সর্বশেষ ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ফিটনেস ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এরপর প্রায় ১১ মাস পর আবারও নিজেদের পরখ করে নিতে মিশনে নেমেছে টাইগাররা। মারিও বলেন, ‘ফিটনেস নিয়ে কাজ হয়েছিল অনেকদিন আগে। ক্রিকেটারদের ফিটনেস কেমন আছে তা এই ক্যাম্পের মাধ্যমে বুঝতে পারব।
×