ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

পাপনের আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি

প্রকাশিত: ০৬:৩৮, ৫ নভেম্বর ২০১৬

পাপনের আশ্বাস বাস্তবায়ন হয়নি

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। যখন তিনি ক্রিকেট সম্পর্কিত কোন বিষয় বলেন, কোন আশ্বাস দেন, তখন সেটি বাস্তবায়ন না হওয়ার কোন অপশনই নেই। সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত খারাপ আচরণ করা নিরাপত্তা সমন্বয়ক মোহাম্মদ আলীকেও নিরাপত্তা বলয় থেকে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন বিসিবি সভাপতি। কিন্তু সেটির কোন বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। বিসিবিতে সভাপতির কথাও তাহলে বাস্তবায়ন হয় না। দিব্যি মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আলী। তাও আবার বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের (বিপিএল টি২০) এ্যাক্রেডিটেশন কার্ড গলায় ঝুলিয়ে। যেখানে তাকে সরিয়ে নেয়ার কথা ছিল। সেখানেই দাপটেই মিরপুরে বিচরণ করছেন আলী। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের মূল সিরিজ শুরুর আগেই প্রস্তুতি ম্যাচে ফতুল্লায় একটি ইংরেজী পত্রিকার সাংবাদিকের সঙ্গে অসদাচরণ করেন আলী। এরপর তাকে নিরাপত্তা বলয় থেকে সরিয়ে দেয়ার দাবি ওঠে। সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কোনভাবেই আলীকে যেন দেখা না যায়, সেই দাবি ওঠে। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে সাংবাদিকদের তিন সংগঠন ক্রীড়া লেখক সমিতি (বিএসপিএ), বিএসজেএ (বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশন) ও বিএসজেসির (বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট কমিউনিটি) সভাপতিসহ কয়েকজন সিনিয়র সাংবাদিক এ নিয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে আলোচনাও করেন। সেই আলোচনাতেই বিসিবি সভাপতি আশ্বাস দেন, ইংল্যান্ড সিরিজের পর আলীকে তার পদ থেকে সরিয়ে ফেলা হবে। কিন্তু বাস্তবায়ন কিছুই হচ্ছে না। শুধু মিরপুর স্টেডিয়ামেই নয়, বিপিএলের সংবাদ সম্মেলনগুলোতে আলীকে দেখা গেছে। কেন এমনটি হলো? বিসিবি সভাপতির আশ্বাস কেন এখনও বাস্তবায়ন হলো না? প্রশ্নগুলো করা হয় বিসিবির সিইও নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজনকে। তিনি বলেন, ‘আমি যতদূর জানি, উনি (পাপন) বলেছিলেন, ‘ইংল্যান্ড সফরটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। খেলাটা চলছে। সিরিজ চলাকালে তার চলাফেরায় সীমাবদ্ধতা থাকবে। খেলাটার পরে এ ব্যাপারে আলোচনা হবে। তখন সিদ্ধান্ত হবে।’ ইংল্যান্ড সিরিজটা আসলে শেষ হয়েছে ১ তারিখ। এটাই সিরিজ সমাপ্ত হওয়ার শেষ তারিখ ছিল। তারপর ব্যাক টু ব্যাক আরেকটা টুর্নামেন্ট চলে আসছে। বেশি সময় মিলেনি হাতে। তাই এটা নিয়ে আলোচনা করার সুযোগও হয়নি। এটাই হচ্ছে পরিস্থিতি। এর বাইরে কিছু বলতে পারব না। এখন উনি এর মধ্যে বিসিবিতে আসুক। উনার সঙ্গে কথা বলে দেখি কি হয়।’ বিসিবি সিইও বললেন, বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজের পর আলোচনা হবে। আসলে সাংবাদিকদের সংগঠনের সভাপতিদের সঙ্গে আলোচনার সময় বিসিবি সভাপতি সরাসরিই বলেছিলেন, আলীকে সরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু মুখে সভাপতি এমন আশ্বাসের বাণী শোনালেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে না।
×