স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ নতুন ইতিহাস গড়লেন নিক স্কেলটন। ১৯০৮ সালের পর ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী এ্যাথলেট হিসেবে অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ড গড়লেন তিনি। স্থানীয় সময় শুক্রবার শো জাম্পিংয়ে ৪২.৮২ সেকেন্ড টাইমিংয়ে স্বর্ণ জয়ের স্বাদ পান তিনি। সেই সঙ্গে রিও অলিম্পিকেও এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বয়সী অলিম্পিয়ান হিসেবে স্বর্ণপদক জয়ের রেকর্ড গড়েন নিক স্কেলটন। শো জাম্পিংয়ে স্বর্ণ জিততে ৫৮ বছর বয়সী পেছনে ফেলেছেন সুইডেনের পেডের ফ্রেড্রিকসনকে। দ্বিতীয় হয়ে রৌপ্য জিতেছেন যিনি। আর এ ইভেন্টে ব্রোঞ্জ জয়ের স্বাদ পেয়েছেন কানাডার এরিক লামাজে।
অথচ ১৬ বছর আগেই অবসর নিয়ে নিয়েছিলেন নিক স্কেলটন। ২০০০ সালে নাকে মারাত্মক আঘাত পাওয়ার পরই ঘোড়দৌড় থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে সেই চোট থেকে সুস্থ হয়ে আবারও প্রতিযোগিতায় নামেন গ্রেট ব্রিটেনের এই তারকা। চার বছর আগে লন্ডন অলিম্পিকেও শো জাম্পিংয়ে স্বর্ণপদক জেতেন তিনি। এবার রিও অলিম্পিকে ব্যক্তিগত শো জাম্পে স্বর্ণপদক জিতে প্রমাণ করলেন বয়সের কাছে নিজেকে বেঁধে রাখতে নারাজ তিনি। সেই সঙ্গে ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সের দিক দিয়ে দ্বিতীয় এ্যাথলেট হিসেবে স্বর্ণপদক জয়ের বিস্ময়কর কীর্তি গড়লেন। তার আগে এ রেকর্ডটা দখল করে রেখেছিলেন জেরি মিলনার। ১৯০৮ অলিম্পিকে শূটিংয়ে স্বর্ণপদক জিতেছিলেন তিনি। সে সময় তার বয়স ছিল ৬১। সেই মিলনারের পর স্কেলটনই ব্রিটেনের সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে অলিম্পিক স্বর্ণজয়ের স্বাদ পেলেন।
তবে অসামান্য এ কীর্তির জন্য তার ঘোড়াকেই (বিগ স্টার) কৃতিত্ব দিচ্ছেন নিক স্কেলটন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ঘোড়া নিয়ে আমি খুবই সন্তুষ্ট। ২০১৩ সালে সে সর্বশেষ প্রতিযোগিতামূলক ইভেন্ট জিতেছিল। সেবার তার স্বাস্থ্যগত দিক থেকে নানান সমস্যার মধ্যে ছিল। এবার রিওতেও দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। এখন পর্যন্ত আমার দেখা ঘোড়াগুলোর মধ্যে সেই সেরা। প্রকৃতপক্ষে সে দুর্বার। কি হতে যাচ্ছে এবং কখন কোনটা করা গুরুত্বপূর্ণ সেটাও তার বেশ ভাল জানা।’ তবে টোকিও অলিম্পিকে বিগ স্টারের বয়স হবে ১৭। আর স্কেলটনের বয়স বেড়ে দাঁড়াবে ৬২ তে। ২০২০ অলিম্পিকেও কী যাচ্ছেন স্কেটলন? এমন প্রশ্নের উত্তরে এখনও সিদ্ধান্ত নেননি বলে জানিয়েছেন গ্রেট ব্রিটেনের এই এ্যাথলেট।
শো জাম্পিংয়ের ব্যক্তিগত ইভেন্টে লন্ডনে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলেন সুইজারল্যান্ডের স্টিভ গুয়েরদাত। এবার চতুর্থ স্থানে থেকে প্রতিযোগিতা শেষ করেছেন তিনি। আর ২০০৮ সালের স্বর্ণজয়ী কানাডার এরিক লামাজে সন্তুষ্ট এবার ব্রোঞ্জেই। এছাড়া রৌপ্য জিতেছেন সুইডেনের পেডের ফ্রেড্রিকসন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: