ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

শিরোপা লড়াইয়ে নেপালের প্রতিপক্ষ বাহরাইন নেপাল ৪-১ মালদ্বীপ

মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে নেপাল

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ২০ জানুয়ারি ২০১৬

মালদ্বীপকে বিধ্বস্ত করে ফাইনালে নেপাল

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ তুলনামূলক শক্তিশালী প্রতিপক্ষ মালদ্বীপকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে নেপাল। মিডফিল্ডার নবযুগ শ্রেষ্ঠা জয়ী দলের হয়ে হ্যাটট্রিক করেন যা চলতি টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিক। আগামী ২২ জানুয়ারি নেপাল ফাইনালে মুখোমুখি হবে বাহরাইনের বিপক্ষে বিকেল পাঁচটায়। মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে খেলার ১১ মিনিটে গোলপোস্টের নিচে একা পেয়েও মালদ্বীপ গোলরক্ষক ফয়সাল মোহাম্মদকে গোল দিতে পারেনি নেপাল। মাঠ বড় করে খেলা মালদ্বীপ কখনও দুই প্রান্ত কখনও মাঝমাঠ দিয়ে প্রতিপক্ষ শিবিরে আক্রমণ করে। তবে ইমাজ আহমেদ, ইয়াসা ইসমাইল ও হাসান নাইজের ’ফিনিশিং টাচ’ ছিল না বলে গোল খরায় ভোগে মালদ্বীপ। ম্যাচের ৩০ মিনিটে বাঁ প্রান্তে রবিন শ্রেষ্ঠা ওভারল্যাপ করে থ্রু বাড়িয়ে দেন বিমল ঘারতি মাগারের সামনে। বিশাল কয়েক গজ এগিয়ে নেন বাঁ পায়ের জোরালো শট। সাইড পোস্টে লেগে বল ফিরে আসে নবযুগ শ্রেষ্ঠার পায়ে। বল পেয়ে সেটা জালে জড়ান তিনি (১-০)। ৪৪ মিনিটে ২০ গজ দূর থেকে জোরালো ভলিতে মালদ্বীপ ফরোয়ার্ড ইয়াসা ইসমাইলের শটটি দর্শনীয় ভঙ্গিতে পেছনের দিকে শরীর ভাসিয়ে বল পাঞ্চ করে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন কুঠু। ৫২ মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে মিডফিল্ডার অঞ্জন বিস্তা বল নিয়ে এগিয়ে যান। মালদ্বীপের দু’জন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে অঞ্জন বল ঠেলে দেন বিশালের উদ্দেশে। পুরোপুরি আনমার্কে ছিলেন বিশাল। বল পেয়ে বাঁ পায়ের চমৎকার শটে বল জালে জড়ান তিনি (২-০)। ৬১ মিনিটে বিমল ঘারতি বাঁ প্রান্তে নিখুঁত পাস দেন নবযুগ শ্রেষ্ঠাকে। তিনি ডান পায়ের শটে গোল করে ব্যবধান বাড়ান (৩-০)। ৭৫ মিনিটে মালদ্বীপের নাশিধ আহমেদ এক গোল শোধ করেন (১-৩)। এর চার মিনিটে পর বদলি ফরোয়ার্ড ইবরাহিম আনসারের শট সাইডপোস্টে লেগে প্রতিহত না হলে ব্যবধান আরও কমাতে পারতো মালদ্বীপ। ম্যাচের অতিরিক্ত সময় মালদ্বীপের জালে আরেকবার বল পাঠান নবযুগ শ্রেষ্ঠা (৪-১)। সেই সঙ্গে টুর্নামেন্টের প্রথম হ্যাটট্রিকের দেখা পান তিনি। এ নিয়ে ১৫ বারের মোকাবেলায় মালদ্বীপ জিতেছে ৭ বার, নেপাল জিতেছে ৪ বার। বাকি ৪ ম্যাচ ড্র হয়। মালদ্বীপের ২০ গোলের বিপরীতে নেপাল করেছে ১৯টি। এই টুর্নামেন্টে ‘এ’ গ্রুপে নেপাল তাদের প্রথম ম্যাচে গোলশূন্য ড্র করে মালয়েশিয়া একাদশের সঙ্গে। দ্বিতীয় ম্যাচে ১-০ গোলে হারায় শ্রীলঙ্কাকে। তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে ০-০ স্কোরে। ৩ ম্যাচে ১ জয়, ২ ড্রতে তাদের সংগ্রহ ৫ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে সমান পয়েন্ট হয় বাংলাদেশেরও। তবে গোল পার্থক্যে পিছিয়ে পড়ায় নেপাল গ্রুপ রানার্সআপ হয় (অপরাজিত) এবং শেষ চারে উন্নীত হয়। গ্রুপে সবচেয়ে কম গোল করে নেপাল, ১টি এবং একমাত্র দল হিসেবে তারা কোন গোল হজমও করেনি! পক্ষান্তরে ‘বি’ গ্রুপে মালদ্বীপ নিজেদের প্রথম ম্যাচেই ৩-২ গোলে কম্বোডিয়াকে হারিয়ে শুভ সূচনা করে। পরের ম্যাচেও জয়যাত্রা অব্যাহত রাখে তারা। এবার তাদের কাছে পরাভূত হয় বাংলাদেশ অলিম্পিক ফুটবল দল (২-০)। তৃতীয় ও শেষ গ্রুপ ম্যাচে ১-১ গোলে ড্র করে বাহরাইন অনুর্ধ-২৩ দলের সঙ্গে। ৩ ম্যাচে ২ জয় ও ১ ড্রতে ৭ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে নাম লেখায় তারা।
×