ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রাম-২ ও ৫ আসনে দুই ভাই, চাচা-ভাতিজি মনোনয়ন প্রত্যাশী

৩৫ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

প্রকাশিত: ০৬:৪৫, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

৩৫ জনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ

নিজস্ব সংবাদদাতা, ফটিকছড়ি, ১৩ নবেম্বর ॥ চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) এবং চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনেও বইছে ভোটের হাওয়া। এই দুই আসনে মোট মনোনয়ন প্রার্থী গ্রহণকারীর সংখ্যা ৩৫ জন। প্রথম থেকে চতুর্থ দিনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। ফটিকছড়ির ইতিহাসে এত সংখ্যক নেতা অন্য কোন নির্বাচনে এভাবে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেননি। এ নিয়ে এই আসনে ভোটের মাঠে চাঞ্চল্যতা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের মধ্যে সহোদর ও চাচা-ভাতিজি রয়েছেন। সহোদরের মধ্যে রয়েছেন হেলাল উদ্দিন নূরী ও তাঁর ছোট ভাই বেলাল উদ্দিন নূরী, অপরদিকে রয়েছেন সাবেক প্রয়াত এমপি আলহাজ রফিকুল আনোয়ারের ছোট ভাই আলহাজ ফকরুল আনোয়ার এবং রফিকুল আনোয়ারের একমাত্র মেয়ে খাতিজাতুল আনোয়ার সনি। তাদের এ মনোনয়ন গ্রহণ করা নিয়ে উপজেলাজুড়ে হাস্য-রসের সৃষ্টি হয়েছে। এবার ফটিকছড়ি থেকে যারা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন তাঁরা হচ্ছেন- সাবেক উপজেলার পরিষদ চেয়ারমান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তৌহিদুল আলম বাবু, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আফতার উদ্দিন চৌধুরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ফখরুল আনোয়ার, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোহাম্মদ শাহজাহান, খাদিজাতুল আনোয়ার সনি, সাবেক ছাত্রনেতা এইচ এম আবু তৈয়ব, চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম, জানে আলম শিপন, ব্যারিস্টার কাজী মোহাম্মদ তানজীবুল আলম, সৈয়দা রাজিয়া মোস্তাফা, সাদাত আনোয়ার সাদী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আখতার উদ্দিন মাহমুদ পারভেজ, বেলাল উদ্দীন নূরী, হেলাল উদ্দীন নূরী, ড. ফয়সল কামাল, ইঞ্জিনিয়ার রাজীব বড়ুয়া, মিজানুর রহমান, শাহ আলম সিকদার, রিফাত আক্তার নিশু, এ্যাডভোকেট ছালামত উল্লাহ চৌধুরী শাহীন, আশিষ কান্তি দে ও মাহাবুবুল আলম। ফটিকছড়ি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা ৫ থেকে ৬ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও হঠাৎ করে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তৃণমূল পর্যায়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। যে কেউ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করে আলোচনায় আসার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগের মতো প্রাচীন রাজনৈতিক সংগঠনের জন্য তা কোনভাবে মানানসই হচ্ছে না। যাদের এলাকায় কোন গ্রহণযোগ্যতা নেই, পরিচিতি নেই, এমনকি অনেকেই ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পরাজিত হলেও তারা সংসদ সদস্য পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাওয়াটা উচিত নয় বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন। অপরদিকে আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত তরিকতের চেয়ারম্যান ও বর্তমান এমপি আলহাজ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী এবং যুক্তফ্রন্ট থেকে সাবেক এমপি ও তৎকালীন চাকসুর ভিপি মজহারুল হক শাহ চৌধুরীও রয়েছেন। সবমিলে আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত দলের মনোনয়নপত্র সংগ্রহকারীর সংখ্যা ২৫ জন। উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাজিম উদ্দিন মুহুরী বলেন, রাজনীতিতে একবারে জুনিয়র ও অপরিচিত অনেকেই একটি মর্যাদাসম্পন্ন দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম নিচ্ছেন এ নিয়ে আমরা অস্বস্তি বোধ করছি যা অত্যন্ত দুঃখজনক। চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী) আসনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার জন্য এ যাবৎ ১২ প্রার্থী মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। তারা হলেন- চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম. এ সালাম, অধ্যাপক মাঈনুদ্দীন মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, ইউনুস গণি চৌধুরী, শাহজাহান চৌধুরী, নাসির হায়দার করিম, এ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, মনজুরুল আলম চৌধুরী ও মাসুদুল আলম, বাসন্তী প্রভা পালিত, জাফর আহমেদ এবং মোঃ মহিউদ্দিন। তাছাড়া আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত জাতীয় পার্টি থেকে এ আসনের বর্তমান ও খুব জনপ্রিয় এমপি ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ রয়েছেন। অপরদিকে বিএনপিসহ ঐক্যফ্রন্ট থেকে মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ ইব্রাহীম বীর প্রতীক, এসএম ফজলুল হক, সাবেক প্রয়াত এমপি ও হুইপ সৈয়দ ওয়াহীদুল আলমের কন্যা ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা ও ব্যারিস্টার মীর হেলাল প্রার্থী হতে পারেন।
×