ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ০৭ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট, কলেজশিক্ষক কারাগারে 

প্রকাশিত: ১২:০২, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফেসবুকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট, কলেজশিক্ষক কারাগারে 

কলেজশিক্ষক কারাগারে 

ময়মনসিংহে ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট শেয়ার ও কমেন্ট করার অভিযোগে সুনীল চন্দ্র ঘোষ নামের এক কলেজশিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সুনীল চন্দ্র ঘোষ নগরীর শম্ভুগঞ্জ জিকেপি কলেজের জীববিজ্ঞান বিভাগের প্রদর্শক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি মুক্তাগাছার মহিষাদিয়া গ্রামের সতেন্দ্র চন্দ্র ঘোষের ছেলে। বর্তমানে নগরীর বাঘমারা এলাকায় বসবাস করতেন।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাতে নিজের ফেসবুকে ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক একটি পোস্ট শেয়ার ও কমেন্ট করেন সুনীল। এ নিয়ে স্থানীয় মুসল্লিদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়ভাবে প্রতিবাদ শুরু হলে বুধবার (২৪ এপ্রিল) কলেজ কর্তৃপক্ষ জরুরি সভা ডেকে শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়।

কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, ফেসবুকে ধর্মবিরোধী অপপ্রচার ও মন্তব্যের কারণে এলাকাসহ সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ায় কলেজ গভর্নিং বডির সদস্যদের নিয়ে এক জরুরি সভায় শিক্ষক সুনীলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত  করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বরখাস্তের সিদ্ধান্তের পর বিকেলেই জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) শিক্ষক সুনীলকে গ্রেপ্তার করে।

কলেজের অধ্যক্ষ সুলতানা পারভীন বলেন, ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট দেওয়ার পর স্থানীয়ভাবে পরিবেশ প্রতিকূল দিকে যেতে শুরু করে। পোস্ট শেয়ার ও কমেন্ট করার কথা স্বীকারও করেছেন ওই শিক্ষক। পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে শিক্ষককে সাময়িকভাবে বুধবার বহিষ্কার করে কেন স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে না ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে।

পরে মঙ্গলবার রাতে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা হয়। শম্ভুগঞ্জ বায়তুল আমান জামে মসজিদের ইমাম মো. আবদুল কাইয়ুম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় বলা হয়, ইসলাম ধর্ম নিয়ে বিদ্বেষমূলক পোস্ট শেয়ার ও তাতে কমেন্ট করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করেছেন সুনীল।

কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন, ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক পোস্ট শেয়ার ও কমেন্ট করায় স্থানীয়ভাবে অসন্তোষ শুরু হয়। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তারের পর পরিস্থিতি শান্ত হয়েছে। শিক্ষকের কাছ থেকে ফোন ও অন্যান্য আলামত উদ্ধার করা হয়েছে। মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 এবি

×