ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

মন্ত্রিসভার বৈঠক

আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ৬ মে ২০২৪; আপডেট: ০০:১১, ৭ মে ২০২৪

আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় প্রধানমন্ত্রীর সন্তোষ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সুন্দরবনের আগুন দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আসায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সেদিকে সংশ্লিষ্ট সকলকে নজর রাখতে বলেছেন তিনি। সোমবার নিজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সন্তুষ্টির কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। ১৯ বছর পর উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে।

এজন্য বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। একই সঙ্গে প্রতœসম্পদ আইন, ২০২৪’- এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করেছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে এটি অনুমোদন করা হয়নি। খসড়ার কয়েকটি জায়গায় সংশোধন করতে বলেছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, সুন্দরবনের আগুন লাগার বিষয়ে সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ বিষয়টি আরও কয়েকদিন পর্যবেক্ষণে রাখার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সচিব বলেন, বনের আগুন নেভানোর পর সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না। এ জন্য তারা এখন আগামী কয়েকদিন গভীর পর্যবেক্ষণে রাখবেন। প্রধানমন্ত্রী অবহিত হওয়ার পর কার্যক্রমের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। সুন্দরবনের আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ কর্মী ফুলটাইম কাজ করেছেন। দেড়শ’রও বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করেছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূর থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে। 
মন্ত্রিপরিষদ সচিব আরও বলেন, গভীর জঙ্গলে রাতে কাজ করা যায়নি। দিনে কাজ করতে হয়েছে। ঝুঁকিও ছিল। সব কিছু মিলিয়ে বড় একটি চ্যালেঞ্জিং টাস্ক তারা সম্পূর্ণ করেছেন, এজন্য তারা (ফায়ার সার্ভিস) ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।
তিনি বলেন, ১৯ বছর পর উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল শুরু হচ্ছে। এ জন্য বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই চুক্তির আওতায় উজেবেকিস্তানের সঙ্গে এখন সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে। ১৯৯৩ সালে একটি চুক্তির মাধ্যমে এই জার্নি শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে এটি বন্ধ হয়ে যায়।

এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। দুই পক্ষ মিলে এই খসড়া করেছে। চুক্তির আওতায় পঞ্চম স্বাধীনতা (ফিফথ ফ্রিডম) পাওয়া যাবে। পঞ্চম স্বাধীনতা হচ্ছে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে বিমান নিয়ে গিয়ে সেখান থেকে যাত্রী তোলা যাবে।
দেশে যুগোপযোগী আইন না থাকায় নানা প্রতœতাত্ত্বিক ঐতিহ্য সংরক্ষণে বিঘœ ঘটেই চলেছে। দখল ও বেহাত হয়েছে অনেক প্রতœতাত্ত্বিক স্থান ও নিদর্শন। ঐতিহাসিক অনেক অবকাঠামো ভেঙে দেওয়া হয়েছে নতুন রূপ। ব্রিটিশ আমলে প্রণীত আইনের ফাঁক হারিয়ে যাচ্ছে অনেক প্রতœসম্পদ। অমূল্য প্রতœসম্পদ এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষা ও সংরক্ষণে পুরোনো আইন রোহিত করে নতুন করে প্রতœসম্পদ গত ২০১৫ সালে এ নতুন আইন তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়।

পরবর্তী সময়ে ২০১৬-২০১৯ সময়ে নানা প্রক্রিয়া শেষে আইনটির খসড়া করা হয়। এর আগে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে কিছু পর্যবেক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। সেগুলো যাচাই-বাছাই শেষে আবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দিয়েছে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়। 
জাতীয় পরিকল্পনা ও উন্নয়ন একাডেমির (এনএপিডি) বর্তমান আইন পরিবর্তন করে নতুন আইন করার জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া উপস্থাপন করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। তবে মন্ত্রিসভা এটি প্রত্যাহার করে দিয়েছে। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, জাতীয় পরিকল্পনা উন্নয়ন একাডেমি নীলক্ষেতে আছে। এটির জন্য বিদ্যমান আইনকে পরিবর্তন করে নতুন একটি আইন করার জন্য উপস্থাপন করেছিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। কিন্তু আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে এটি প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।

×