ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৯ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

প্রথম ধাপে আগ্রহ কম ভোটারদের

প্রচার শেষ, কাল ভোট

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ৬ মে ২০২৪

প্রচার শেষ, কাল ভোট

গণসংযোগ করছেন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী

প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে সোমবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে প্রচার। আগামীকাল বুধবার অনুষ্ঠিত হবে ভোট। এ উপলক্ষে নির্বাচবন কমিশন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে নেওয়া হয়েছে নানা পদক্ষেপ। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের।

যশোর
প্রথম ধাপে আগামী ৮ মে কেশবপুর ও মণিরামপুর উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা জানান, মাঠে বোরো ধান, চাষাবাদ ও ধান তোলায় বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ত, গরমজনিত সমস্যা, সব দল অংশ না নেওয়া সব মিলিয়ে ভোটার উপস্থিত হতে পারে কম। ভোটারদের অনেকের অভিমত, প্রার্থীরা সব জায়গায় প্রচার কাজ সম্পন্ন করতে পারেনি। 
উপজেলা দুটি নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আনিছুর রহমান বলেন, নির্বাচনের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলা দুটির মধ্যে কেশবপুর উপজেলার ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ৯৫৪ জন। এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৫ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মণিরামপুর উপজেলায় ভোটার ৩ লাখ ৬০ হাজার ৭৩৫ জন।

এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি আরও বলেন, উপজেলার ২টির ২৮টি ইউনিয়নে ২৬০টি ভোট কেন্দ্রে ১৬০১টি ভোট কক্ষে ভোটগ্রহণ হবে। এই ভোটগ্রহণে নিরাপত্তার স্বার্থে  ১৭৬৮ পুলিশ ও  ৩১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন।’
কেশবপুর বাসস্যান্ড এলাকার সালাম শেখ বলেন, ভোট দিয়ে সাধারণ জনগণের লাভ কি? সাধারণ মানুষের চাওয়া এলাকার উন্নয়ন। দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত সমাজ গঠন এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠা। এসব ক্ষেত্রে জনপ্রতিনিধিরা তেমন কার্যকর ভূমিকা পালন করেন না, তারা বরং আখের গোছানোর কাজে ব্যস্ত থাকেন। শহীদুল ইসলাম বলেন, যে টাকা খরচ করে জনপ্রতিনিধি হয়, সেই টাকা উঠিয়ে আবার পরের নির্বাচনের জন্য টাকা গোছাতে গোছাতেই সময় শেষ। কাজ করবে কখন তারা।

তিনি আরও বলেন, সব দল অংশ না নেওয়া ভোটরদের আগ্রহ কম ভোট দিতে।’ মণিরামপুরে গোলাম রব্বানী বলেন, মাঠে বোরো ধান রয়েছে। এর মধ্যে ভোট। ধান তোলায় বেশিরভাগ মানুষ ব্যস্ত, গরমজনিত সমস্যা, সব দল অংশ না নেওয়া সব মিলিয়ে ভোটার উপস্থিত হতে পারে কম।’

বাকেরগঞ্জ 
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থীদের শেষ মুহূর্তের প্রচার উৎসবমুখর হয়ে উঠেছে। উপজেলার ১৪টি ইউনিয়ন পোস্টার-ব্যানারে ছেয়ে গেছে। নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে জনমনে। তাই প্রার্থীদেরও দৌড়ঝাঁপের কমতি নেই। প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি নিয়ে শেষবারের মতো হাজির হয়েছেন ভোটারের দুয়ারে। শেষ মুহূর্তে সকাল থেকেই প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা যাচ্ছেন ভোটারদের কাছে। চাচ্ছেন ভোট। এ ছাড়া বিগত সময়ের ভুলত্রুটি সংশোধনের জন্য ক্ষমা প্রার্থনাও করছেন তারা। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
ভোটকে কেন্দ্র করে পাড়া-মহল্লা, অলিগলিতে চায়ের দোকানে বেড়েছে বেচা-বিক্রি। দোকানিদের মাঝেও চলছে উৎসাহ। ভোটাররাও চান তাদের পছন্দের প্রার্থীকে বেছে নিতে। প্রথম ধাপে বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাচন ৮ মে অনুষ্ঠিত হবে। ৬ মে রাত ১২টা থেকে প্রার্থীদের সব ধরনের প্রচার বন্ধ হয়ে যাবে। উপজেলা নির্বাচনে বাকেরগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ ছাড়াও নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন দুজন।

মোট ৯ প্রার্থী রয়েছে নির্বাচনী মাঠে। বুধবার ব্যালট পেপারের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ১২শ’ ১১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৫২ হাজার ৯৭৩ জন। নারী ভোটার ১ লাখ ৪৮ হাজার ২৩৫ ও হিজরা ৩ জন। ১১৩টি কেন্দ্রে আগামী ৮ মে  ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। 
উপজেলা সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাচন অফিসার রফিকুল ইসলাম  বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে কমিশনের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনী নিয়োজিত থাকবে। সব প্রার্থীকে সমান গুরুত্ব দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ নিরপেক্ষ রাখতে আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আফজাল হোসেন জানান ৭ মে সকাল থেকে প্রত্যেক কেন্দ্রে সাদা পোশাকধারী ও ইউনিফর্ম পরিহিত পুলিশ মোতায়েন করা হবে।

মনোহরগঞ্জ
প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে প্রচারের শেষ দিনে সোমবার ব্যাপক শোডাউন ও গণসংযোগের মধ্য দিয়ে ব্যস্ত দিন পার করেছেন প্রার্থীরা। বিভিন্ন প্রার্থীর পক্ষে খ- খ- মিছিল এবং মাইকিং ও গান-বাজনায় মুখর ছিল পুরো উপজেলা। আগামীকাল বুধবার নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোটাররা বলছেন, এলাকার উন্নয়নে যিনি কাজ করবেন এবং ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিত যোগ্য প্রার্থীকেই বেছে নেবেন। শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চান তারা।

যদিও এখন পর্যন্ত  বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর খবর পাওয়া যায়নি। চেয়ারম্যান পদে তিন প্রার্থীর মধ্যে মনোহরগঞ্জ  উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন (আনারস) উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান চৌধুরীর (ঘোড়া) মধ্যেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মনে করছেন ভোটাররা। পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আমিরুল ইসলাম (তালা) মনিরুজ্জামান (টাইপ রাইটার), মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শিরিন আক্তার মুক্তার (প্রজাতির) ও বিলকিস আক্তারের (ফুটবল) প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার উজালা রানী চাকমা বলেন, অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

নালিতাবাড়ী
নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আগামী ২১ মে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপের এই নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই জমজমাট প্রচারে জমে উঠেছে নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ ও ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা এই তিনটি পদে চারজন করে মোট ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই প্রার্থীদের পক্ষে উপজেলার আনাচে-কানাচে মাইক বাজিয়ে চলছে প্রচারণা। পোস্টারে ছেয়ে গেছে উপজেলার হাটবাজারসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন অঞ্চল। একসঙ্গে ভোট প্রার্থনায় প্রার্থীরা ব্যস্ত সময় পার করছেন পথসভা ও উঠান বৈঠক করে। এলাকার ভোটাররা জানান, চেয়ারম্যান পদে নালিতাবাড়ীতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে মোকছেদুর রহমান লেবু (আনারস) ও হাজী মোশারফ হোসেন (ঘোড়া) এর মধ্যে। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নালিতাবাড়ী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে চারজন, ভাইস চেয়ারম্যান পুরুষ পদে চারজন ও ভাইস চেয়ারম্যান মহিলা পদে মোট ১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 
চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবু (আনারস), উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাজী মোশারফ হোসেন (ঘোড়া) বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক হাজী আমিনুল ইসলাম (দোয়াত কলম) এবং সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আছমত আরা আছমা (মোটরসাইকেল)। এই চারজন প্রার্থীই আওয়ামী লীগের। তারা সবাই নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পদে সম্পৃক্ত।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ, শহর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান রাজন, ডিশ ব্যবসায়ী বাবুল হোসেন ও মাদ্রাসা শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। উপজেলার ভোটাররা জানান, এ পদে শেখ ফরিদ ও মেহেদী হাসান রাজনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী হলেন- বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আশুরা বেগম, ওয়ার্কার্স পার্টি শেরপুর জেলা শাখার সম্পাদক রাজিয়া সুলতানা, আদিবাসী নেত্রী ক্লডিয়া নকরেক কেয়া ও আরেক আদিবাসী নেত্রী এবং আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য নোহেলিকা দিব্রা।

ডোমার ও ডিমলা 
আগামীকাল বুধবার ডোমার ও ডিমলায় ভোট। এতে আনুষ্ঠানিক প্রচারের শেষ দিন ছিল সোমবার। ফলে শেষ দিনের প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থীরা। বিশেষ করে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বড় ধরনের শোডাউন করে নিজের জয়ের ব্যাপারে আশার কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে ভোটারদের কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রার্থীরা।

তবে নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের আপন ভাতিজা ও ডিমলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ডিমলার চেয়ারম্যান প্রার্থী (আনারস) ফেরদৌস পারভেজ দম্ভোক্তি করে বলেছেন,  ভোটে জয়ী হতে হলে নরমালে যদি না হয়, সিজার করে করা হবে। মাথার ওপরে এমপির হাত আছে। তার এমন বক্তব্যে উপজেলাজুড়ে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়। অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান এমপির ভাতিজা ফেরদৌস পারভেজের বক্তব্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, সরকার যেখানে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, সেখানে এমপির ভাতিজার এমন বক্তব্য এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ তৈরি করেছে। ডোমার  উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৮ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। চেয়ারম্যান পদে ৮ প্রার্থী হলেন সরকার  ফারহানা আক্তার সুমি (টেলিফোন), মনোয়ার হোসেন (হেলিকপ্টার) মঞ্জুরুল হক চৌধুরী (কাপ পিরিচ), আব্দুল মালেক সরকার  (ঘোড়া), তোফায়েল আহমেদ (আনারস), রাকিবুল হাসান প্রধান (কৈ মাছ) এহসানুল হক (দোয়াত কলম) এবং  মদন মোহন সিংহ (মোটরসাইকেল)।

অপরদিকে ডিমলা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩ জন রয়েছেন। চেয়ারম্যান পদে ৪ প্রার্থী হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. তবিবুল ইসলাম (কাপ পিরিচ), বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান (মোটরসাইকেল), আনোয়ারুল হক সরকার মিন্টু (ঘোড়া) ও মো. ফেরদৌস পারভেজ (আনারস)। 
এদিকে ডোমার উপজেলার ৭৫টি ভোট কেন্দ্রের ৫৮৫টি কক্ষ ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৭ হাজার ৫৭১ ও ডিমলার ৯৩টি কেন্দ্রের ৬২৭টি কক্ষে ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ২৭ হাজার ৯৯৩।  এ ছাড়া ডোমারে ৭৫টি ভোট কেন্দ্রর মধ্য অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৪টি, ঝুঁকিপূর্ণ ৪৮টি ও সাধারণ ১৩টি এবং ডিমলা উপজেলার ৯৩টি ভোট কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসাব ঘোষণা দিয়েছে পুলিশ।

বন্দর
বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কাল বুধবার। এ নির্বাচনে ১ লাখ ৩১ হাজার ৫৬৪ ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোটাররা উৎসবের আমেজে একজন চেয়ারম্যান, একজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার প্রস্তুতি নিয়েছেন। সোমবার প্রচারের শেষ দিনে চার চেয়ারম্যান প্রার্থী, চার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও দুই মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দিনভর গণসংযোগ, উঠান বৈঠক ও লিফলেট বিলিসহ নানাভাবে প্রচার চালিয়েছেন।

জানা যায়, বন্দর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ রশিদ (দোয়াত-কলম), নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলার চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মুকুল (চিংড়ি মাছ), জেলা জাতীয় পার্টির নেতা মাকসুদ হোসেন (আনারস) ও তার ছেলে মাহমুদুল হাসান (হেলিকপ্টার) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সোমবার ছিল প্রচারের শেষ দিন। এদিন দিনভর চার চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে তিনজন নানাভাবে প্রচার চালিয়েছেন। একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী তার বাবার নির্বাচনী প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচার চালিয়েছেন।

অপরদিকে একই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থীও শেষ দিনে প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করেছেন। এরা হলেনÑ মোশাঈদ রহমান (তালা), সানাউল্লাহ সানু (উড়োজাহাজ), আলমগীর (মাইক) ও শাহিদুল ইসলাম জুয়েল (টিউবওয়েল)। একই উপজেলায় মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহমুদা আক্তার (কলস) ও ছালিমা হোসেন (ফুটবল) প্রচারের শেষ দিনে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করেছেন। উল্লেখ্য, কাল বুধবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বন্দর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। 

মনোহরদী
মনোহরদী উপজেলা নির্বাচনে উৎসবমুখর পরিবেশে প্রার্থীরা ও তাদের কর্মীÑসমর্থকরা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। জনসভা ও উঠান বৈঠকের পাশাপাশি গ্রাম-পাড়া-মহল্লায় প্রচারে ব্যস্ত সময় পার করছেন। স্থাপন করেছেন প্রার্থীদের নির্বাচনী ক্যাম্প। প্রার্থীরা ভোটারদের দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি। জানা যায়, দ্বিতীয় ধাপের তফসিল ঘোষণার পর মনোহরদী উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

তাদের মধ্যে  নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নজরুল মজিদ মাহমুদ স্বপন আনারস প্রতীক নিয়ে, মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ অ্যাডভোকেট ফজলুল হক ঘোড়া প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান রঙ্গু টেলিফোন প্রতীক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু প্রিয়াশীষ রায় মোটরসাইকেল প্রতীক ও অ্যাডভোকেট মাসুদুর রহমান হেলিকপ্টার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।

এদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সাবেক ছাত্রনেতা তৌহিদ সরকার, সৈয়দ মাহমুদ জাহান লিটু, সফিকুল ইসলাম বাদল, দেলোয়ার হোসেন পাবেল, আব্দুল কাদির মৃধা, আবদুল্লাহ আল মামুন ও মাহমুদুল হাসান। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রুতদ্বন্দ্বিতা করছেন বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা সুলতানা রুবী, বেদেনা আক্তার, শিল্পী আক্তার ও মরিয়ম বেগম।

বাউফল
বাউফল উপজেলা নির্বাচনে গণসংযোগ করে ব্যস্ত সময় পার করছেন চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। সোমবার আনারস মার্কার প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোসারফ হোসেন খান, উড়োজাহাজ মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আ স ম ফিরোজ এমপির সাবেক এপিএস আনিচুর রহমান ও হাঁস মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মরিয়ম আক্তার নিশু কালাইয়া বন্দর ও বাউফল শহরের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ করেছেন।

নারী-পুরুষ সবার কাছে ভোট প্রার্থনা করেছেন। প্রচারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ঘোড়া মার্কার প্রার্থী আবদুল মোতালেব হাওলাদার, কাপ-পিরিচ মার্কার প্রার্থী খ ম মশিউর রহমান লাভলু ও  দোয়াত-কলম মার্কার প্রার্থী সজল হালদার। পিছিয়ে নেই তালা মার্কার ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদ মাহমুদ রাহাদ জামসেদ ও প্রজাপতি মার্কার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ঝর্ণা আক্তারও।

×