ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ জুন ২০২৫, ১৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

গোসলের পর অজু করতে হবে কি না, যা আছে কোরআন হাদিসে

প্রকাশিত: ২০:১৩, ৩১ মে ২০২৫

গোসলের পর অজু করতে হবে কি না, যা আছে কোরআন হাদিসে

অজুর প্রতীকী ছবি

ইসলামের বিধান অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ গোসল (ফরজ গোসল) করলে নতুন করে অজু করার প্রয়োজন নেই। হাদিস শরিফে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বর্ণনা রয়েছে। হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, "রাসুলুল্লাহ (সা.) গোসলের পর নতুন করে অজু করতেন না" (সুনানে নাসায়ি)।

ইসলামিক স্কলারদের মতে, গোসলের সময় অজুর সমস্ত ফরজ আদায় হয়ে যায়। গোসলের তিনটি ফরজের মধ্যে কুলি করা ও নাকে পানি দেওয়ার মাধ্যমে মুখ ধোয়ার কাজটি সম্পন্ন হয়। পুরো শরীর ধোয়ার সময় হাত-পা ও মাথা ধুয়ে ফেলা হয়, যা অজুর শর্ত পূরণ করে। ফতোয়ায়ে আলমগিরিতে (১/১৪) স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, "গোসলই অজুর জন্য যথেষ্ট।"

তবে গোসলের আগে অজু করে নেওয়া সুন্নত। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, "নবীজি (সা.) গোসলের আগে অজু করতেন" (সুনানে তিরমিজি)। বিশেষজ্ঞ আলেমরা বলছেন, গোসলের পর নতুন করে অজু করা জরুরি নয়, তবে কেউ করলে তা মুস্তাহাব বলে গণ্য হবে।

এ বিষয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গবেষক ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, "ফরজ গোসল সঠিকভাবে সম্পাদন করলে তা অজুর বিকল্প হিসেবে গণ্য হয়। তবে গোসলের পর যদি অজু ভঙ্গ হয় (প্রস্রাব-পায়খানা বা ঘুমানোর মাধ্যমে), তাহলে নামাজের জন্য নতুন করে অজু করতে হবে।"

মুফতি মুহিউদ্দীন কাসেমী তাঁর এক ফতোয়ায় উল্লেখ করেন, "যারা গোসলের পর বারবার অজু করেন, তারা অনর্থক কষ্ট করেন। হাদিসের সুস্পষ্ট নির্দেশনা অনুযায়ী গোসলই যথেষ্ট।"

ইসলামিক স্কলারদের মতে, এ বিষয়ে বিভ্রান্তি দূর করতে কোরআন-হাদিসের স্পষ্ট বর্ণনাই যথেষ্ট। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, "আর যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে পবিত্রতা অর্জন করো" (সূরা মায়িদা: ৬)। এ আয়াতে গোসলকেই পবিত্রতার পূর্ণাঙ্গ মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

সাব্বির

×