
ছবি: সংগৃহীত
যে ব্যক্তি ঈমান আনবে সেই পাবে জান্নাতের স্বাদ। তবে জান্নাতে প্রবেশ করার আগে প্রতিটি মানুষের বিচার করবেন মহান আল্লাহ। অনেকেই সরাসরি বেহেশতে যাওয়ার সুযোগ পাবেন। আবার অনেকেই জাহান্নামে থাকবেন অনন্তকাল। শাস্তি শেষে প্রতিটি ঈমান আনা ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবেন। তবে সবশেষ কে বেহেশতে প্রবেশ করবেন এ ব্যাপারে হাদিসেও স্পষ্ট বর্ণনা আছে।
জান্নাতের সৌন্দর্য কেউ চোখে দেখেনি, কানেও শোনেনি এবং কোন অন্তর তা কল্পনাও করতে পারে না। আল্লাহ তায়ালা অশেষ, অফুরান নিয়ামত রেখেছেন সেখানে। জান্নাতে যে যাবে সে সেখান থেকে কখনও বের হবে না। তবে সবাই কি জান্নাতে যেতে পারবে?
হাদীস অনুযায়ী মৃত্যুর পূর্বে কেউ ঈমান আনলে সে জান্নাতে যাবে। তবে হিসাবনিকাশ শেষে বেহেশতের স্বাদ পাবে। সেক্ষেত্রে অনেকে জাহান্নামের শাস্তি শেষে জান্নাতে যাবেন। ইবনে মাসুদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন সর্বশেষ যে ব্যক্তি জান্নাতে যাবে সে পুলসিরাত পার হতে কঠিন পরীক্ষার মুখে পড়বে। সেখানে সে একটু হাঁটবে আবার পড়ে যাবে। এভাবে পুলসিরাত পার হবার পর সে ব্যক্তি আল্লাহর প্রশংসা করবেন। অতঃপর তার সামনে একটি গাছ দেখা যাবে এবং সেই গাছের ছায়ায় দাঁড়াতে ও পানি পান করতে আল্লাহর শরণাপন্ন হবেন। আল্লাহ তাকে কোনকিছু না চাওয়ার শর্তে তা পূরণ করে দিতে চাইবেন। এ ব্যক্তিও আল্লাহর কাছে অঙ্গীকার করবেন যে সে আর নতুন কিছুই চাইবেনা। অতঃপর আল্লাহ তায়ালা তাকে গাছের ছায়ায় ও পানি পান করার সুযোগ করে দিবেন।
কিছুক্ষণ পর সে আরে একটি গাছ দেখে আগের মতো সুবিধা পেতে চাইবে। আল্লাহ তাকে তার আগের ওয়াদার কথা মনে করিয়ে দিবেন। তখন সে বলবে এটাই শেষ। আল্লাহ তায়ালা তাকে আবারও সুযোগ করে দিবেন।
তারপর জান্নাতের আওয়াজ পেয়ে ঐ ব্যক্তি প্রবেশের অধিকার চাইবেন। আল্লাহ অনুমতি দিবেন। প্রবেশ করেই ঐ ব্যক্তি দেখবে জান্নাতের সব স্থান দখল হয়ে আছে। তিনি কোথায় থাকবেন! আল্লাহ তাকে জিজ্ঞেস করবে তাকে কি দিলে সে সন্তুষ্ট হবে। আল্লাহ তাকে দুনিয়ার মতো আরো একটি দুনিয়া বানিয়ে দিতে চাইবেন। ঐ বান্দাও তাতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে। আল্লাহ তাকে আরো বেশি কিছু দিবেন এবং আরো কিছু চাইতে বলবেন। এরপর মহান স্রষ্টা তাকে তার প্রাসাদে প্রবেশের অনুমতি দিবেন। এই ব্যক্তিকে দেওয়া সবকিছুই হবে জান্নাতে দেওয়া সবচেয়ে কম।
আবীর