
ছবি: সংগৃহীত
সুপ্রিয় দর্শক আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহু মাজার এ শব্দটি শুনবার পর কেউ গভীর শ্রদ্ধায় মাথা নুয়ে দেই গাড়ি চালানো অবস্থায় থাকলে সালাম করি অথবা স্টিয়ারিং এ সেজদা করি আবার কেউ এতটা ভয়ে আটকে উঠি যেন না জানি কি অপরাধ হয়ে গেল এই যে মাজারকে নিয়ে ইসলাম কি বলে আর আমাদের কি বার্তা দেয় এ বিষয়গুলো আজকে আমরা শুনতে চাই আকিজ প্রেজেন্স নিবেদিত জীবনবিধান অনুষ্ঠানে এই আয়োজনে আমাদের সাথে যুক্ত আছেন বিশিষ্ট আলেমে দ্বীন বিশিষ্ট ইসলামিক স্কলার আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক।
যিনি সম্পাদক মাসিক আল ইয়াতিসাম স্বাগত আপনাকে আসসালামু আলাইকুম ওয়ালাইকুম আসসালাম আমি শুরুতেই বলেছি যে, আমি জানতে চাই যে মাজার ভক্তি কি করা যাবে না বা মাজারের প্রতি একটু রেস্পেক্ট করা যাবে না। এত সুন্দর করে আমরা কবর বাঁধাই একটু দেখতে চাই এখানে আমার বাবা এখানে আমার মা এই পরিচয় ঠিকানা তো ভালোই লাগে।
ইসলামের কি আসলেই বাদ আছে কিনা বা কি বিষয় খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন, বিশেষকরে আমাদের দেশ এবং আমাদের অঞ্চলের সাথে খুবই সম্পৃক্ত একটি প্রশ্ন আমি এটির উত্তরে প্রথমত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর একটি হাদিস বলে নিতে চাই, আল্লাহর নবী বলেন, তিনি আহলে কিতাবদের কথা বা ইহুদি নাসারাদের কথা উল্লেখ করে বলছেন। যে তাদের মধ্যে যখন কোন সৎ ব্যক্তি মারা যেতান তারা ওই সৎ ব্যক্তির কবরের উপর মসজিদ তৈরি করতো এবং ওই ব্যক্তির ছবি সেখানে ঝুলিয়ে রাখতো এবং এটি করার পিছনে শয়তান তাদেরকে প্ররোচনা দিত।
যে এই সৎ ব্যক্তির কবরের উপর যদি তোমরা মসজিদ তৈরি করো এবং তার ছবি যদি, এখানে ঝুলিয়ে রাখো তাহলে তাকে দেখে তোমাদের অন্তরে আল্লাহর ভক্তি জাগবে আল্লাহ সুবহানাতায়ালার এবাদতের আগ্রহ তৈরি হবে ।এই ওয়াসওয়াসাটা শয়তান তাদের অন্তর্দিত এবং ধীরে ধীরে কি হবে হতো সময়ের পরিক্রমায় পরের প্রজন্ম তারপরের প্রজন্ম তারপরের প্রজন্ম ভুলে যেত।
যে আসলে এই কবরের উপর মসজিদটা কেন তৈরি করা হয়েছিল আর এই ব্যক্তির ছবি কেন তৈরি করা হয়েছিল ।তখন একটা সময় কি হতো ওই ছবিটা বিশাল মূর্তিতে রূপ নিত আর আল্লাহর এবাদতের পরিবর্তে ওই কবর এবং ওই মূর্তির ইবাদত শুরু হতো যা কালের পরিক্রমায় নূহ আলাইহিস সালাতু সালামের কওম করেছে যা কালের পরিক্রমায় ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু সালামের কওম করেছে যা কালের পরিক্রমায় আমাদের নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের যে জাতি ছিল কুরাইশ তারাও করেছে।
আপনি জানলে অবাক হবেন যে কাবা ঘরের মধ্যে যে ৩৬০ টি মূর্তি ছিল সেটি নবীদের মূর্তি ইসমাইল আলাইহিস সালাতু সালামের মূর্তি ইব্রাহিম আলাইহিস সালাতু সালামের মূর্তি এগুলো তৈরি করা হয়েছিল কেন এই কারণে তৈরি করা হয়েছিল যেন তাদেরকে দেখে আল্লাহর এবাদতের ভক্তি তৈরি হয় তো এখান থেকে ধীরে ধীরে ধীরে ধীরে শিফট হয়ে কি হয়েছে তাদেরই এবাদত করা শুরু হয়েছে তো এটি হচ্ছে শয়তান।
বর্তমানে যেমন হিন্দু ধর্মে যে প্রতিক্রিয়া বা প্রতিমা বানানো হয় উনারা কিন্তু অবতার অর্থাৎ বার্তাবাহক তাদের তারাও হয়তো কোন কালে নবী ছিলেন তারা সেই অবতারদেরকেই এখন পুজো করছেন পুজো করছেন তো এটি হচ্ছে শয়তানের সবচেয়ে বড় ওয়াসওয়াসা মানুষের অন্তরে মানুষকে শিরকের দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তা থেকে দূরে নিয়ে যাওয়ার জন্য এখন আপনি প্রশ্ন করতে পারেন যে তাহলে কি এই যে ব্যক্তি যারা আছে।
ধন্যবাদ আপনাকে সময় দেওয়ার জন্য দর্শক শেষ করব যাবার আগে যে কথাটি বলতে চাই দাড়ি কেন হয় সাদা শান্তির প্রতীক বলে সম্মুখ যুদ্ধে যখন আমরা লড়াইয়ে শান্তি চাই লড়াই থামিয়ে দিতে চাই তখন সাদা পতাকাই উত্তরণ করা হয়তো সে কারণেই আমাদের কাফনের কাপড় সাদা আর আমাদের চুল দাড়ি হয় সাদা যাদের আমাদের চুল আর দাড়ি হয়ে গেছে সাদা আমরা নিজেদেরকে বলি এবার থামি নতুন করে ভাবি পরপার নিয়ে নতুন করে ভাবি নতুন আগামীর জীবনকে নিয়ে আল্লাহতালা তৌফিক দান করুন আমিন ।
ফয়সাল