মাহফিলের গুরুত্ব হলো ইসলামের শিক্ষা প্রচার, ঈমান ও তাওহিদ মজবুত করা, নৈতিক ও সামাজিক উন্নতি ঘটানো, এবং মানুষের আত্মশুদ্ধি ও সমাজ সংস্কারে ভূমিকা রাখা। এটি ইসলামী মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা ও মুসলিম উম্মাহর মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করে। তাই একটি আদর্শ মাহফিলের ৮টি অনন্য বৈশিষ্ট্য হলো:
১. গভীর রাত পযন্ত মাহফিল না হওয়া: মাহফিল যেন সময়মতো শেষ হয়, যাতে অংশগ্রহণকারীদের কোনো ধরনের কষ্ট বা অসুবিধা না হয়।
২. দ্বীনি বইয়ের জন্য বুক স্টল: মাহফিলে ইসলামী জ্ঞান ও শিক্ষা বিস্তারের জন্য দ্বীনি বইয়ের স্টল স্থাপন করা।
৩. মহিলাদের জন্য শোনার দারুণ ব্যবস্থা: মহিলাদের জন্য আলাদা, শালীন ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শুনার ব্যবস্থা করা।
৪. দর্শকদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসা: উপস্থিতদের জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার সুবিধা প্রদান, যাতে জরুরি পরিস্থিতিতে দ্রুত সাহায্য পাওয়া যায়।
৫. পর্যাপ্ত শৌচাগারের ব্যবস্থা: মাহফিলের জায়গায় পর্যাপ্ত ও পরিচ্ছন্ন শৌচাগারের ব্যবস্থা রাখা, যাতে উপস্থিত সবাই আরামদায়ক পরিবেশে থাকতে পারেন।
৬. শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিবেশ: মাহফিলের পরিবেশ সুশৃঙ্খল এবং পবিত্র রাখা, যেন এতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা অশোভন আচরণ না ঘটে।
৭. গান-বাজনা ও অনৈতিক কার্যকলাপের বর্জন: মাহফিলে সকল ধরনের গান, বাজনা বা অশ্লীলতার পূর্ণ বিরোধিতা করা।
৮. ইসলামী মূল্যবোধের প্রচার: মাহফিলের মাধ্যমে শ্রোতাদের ইসলামিক নৈতিকতা ও মূল্যবোধ সম্পর্কে সচেতন করা এবং তাদের আত্মশুদ্ধির দিকে ধাবিত করা।
এ বৈশিষ্ট্যগুলো একটি মাহফিলকে আদর্শ ও ফলপ্রসূ করে তোলে, যা অংশগ্রহণকারীদের শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উপকারে আসে।
শায়খ আহমাদুল্লাহ
বিশিষ্ট আলেম ও ইসলামিক বক্তা
মহি
