ছবি- দৈনিক জনকণ্ঠ
নড়াইল-১ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী গণসংযোগ কার্যক্রম চালিয়েছেন। তিনি জামায়াতের জেলা শাখার সেক্রেটারি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
গত শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তিনি রঘুনাথপুর, পুরুলিয়া মোড়, চাঁচুড়ী, বাবরা মোড়, বারইপাড়া, কাঞ্চনপুর ও শুক্তগ্রাম এলাকাজুড়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে ভোটপ্রার্থনা করেন।
গণসংযোগ চলাকালে ওবায়দুল্লাহ কায়সার পথচারী, দোকানি, শ্রমজীবী, ব্যবসায়ী ও যানবাহনের চালকদের সঙ্গে কথা বলেন। অনেককে তিনি বুকে জড়িয়ে ধরে শুভেচ্ছা জানান, যা জনমানুষের কাছে তার আন্তরিকতা ও মানবিক মনোভাবের স্পষ্ট প্রতিফলন।
স্থানীয় ভোটারদের একজন বলেন, “তিনি আমাদের কাছে শুধু একজন রাজনৈতিক প্রার্থী নন, একজন জনদরদি মানুষ।”এই নির্বাচনী প্রচারণায় জামায়াতে ইসলামীর অন্যান্য নেতারাও অংশগ্রহণ করেন। উপস্থিত ছিলেন,কালিয়া উপজেলার সেক্রেটারি আলমগীর হোসাইন,নায়েবে আমির সবেদ মন্ডল,কালিয়া পৌর আমির নওশের আলী,সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম,সদর উপজেলার সহকারী সেক্রেটারি মইনুল গাজী এবং আরও বহু নেতাকর্মী। তাদের উপস্থিতি প্রচারণার গুরুত্ব ও সংগঠনের শক্তিকে প্রতিফলিত করে।
নড়াইল-১ এলাকার বেশিরভাগ ভোটার মাওলানা কায়সারকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করছেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই এলাকাজুড়ে ধর্মীয়, সামাজিক ও জনসেবামূলক কাজে যুক্ত থাকায় তার প্রতি মানুষের আস্থা জন্মেছে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।
নির্বাচনে সাফল্যের জন্য ভোটারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মাওলানা ওবায়দুল্লাহ কায়সার তার নির্বাচনী কৌশলে এটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছেন। তিনি নিজেই প্রতিটি এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করছেন, যা তাকে অন্যান্য প্রার্থীদের চেয়ে আলাদা পরিচিতি দিচ্ছে।
এই গণসংযোগ কার্যক্রম শুধু একটি প্রচারণামূলক পদক্ষেপ নয়, এটি জামায়াতে ইসলামীর সাংগঠনিক প্রস্তুতিরও প্রতিফলন। বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দলীয় ঐক্যের বার্তা দিচ্ছে এবং আগামী নির্বাচনে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরি করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
নোভা
