বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচিত ইশরাক হোসেন সম্প্রতি এক বক্তব্যে বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের দেশের প্রতি দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, "বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদের কতজন প্রকৃতপক্ষে বাংলাদেশে অবস্থান করেছেন সেটা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।"
দেশের সার্বভৌমত্ব ও জনগণের অধিকার রক্ষার প্রতি তাঁর দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে ইশরাক বলেন, "বাংলাদেশের মালিক জনগণ। আমরা এই দেশে থাকব, আমরা বিদেশে গিয়ে বসবাস, সেটেল হব না। আমার অন্য দেশের পাসপোর্টও নাই।"
বর্তমান উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি আরও বলেন, “এই উপদেষ্টাদের অনেকেই বাস্তবে বাংলাদেশে থাকেন না। যাঁরা ভাড়া করে আনা বিদেশি সরকার হয়ে পোর্ট নির্ধারণ করবে, করিডোর নির্ধারণ করবে, আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে, যেভাবে চাবে তাদের প্রভুদেরকে খুশি করবে —এই রাজনীতির দিন শেষ। এখন আমাদের স্লোগান একটাই—‘সবার আগে বাংলাদেশ।’”
তিনি বলেন, "আমরা বাংলাদেশের স্বার্থে যেটা হবে, বাংলাদেশের স্বার্থে যদি মনে হয় করিডোরটা প্রয়োজন বা বাংলাদেশের জন্য ভালো হবে, সেটা হবে কিন্তু সেটা নিতে হবে পার্লামেন্টে, আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে। নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের আলোচনার ভিত্তিতে। এভাবে বললে হবে না।"
এই বক্তব্যগুলো উঠে আসে গত ৬ জুন প্রধান উপদেষ্টার ঈদ শুভেচ্ছা ভাষণে দেওয়া নির্বাচনী রোডম্যাপ জানানোর পর। যেখানে বলা হয় , "আমি আজ দেশবাসীর কাছে ঘোষণা করছি যে আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের প্রথমার্ধের যেকোনো একটি দিনে অনুষ্ঠিত হবে। এই ঘোষণার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত সময়ে আপনাদের কাছে নির্বাচনের বিস্তারিত রোডম্যাপ প্রদান করবে"।
প্রধান উপদেষ্টা ভাষণে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন বন্দর ও রোহিঙ্গা করিডোর বিষয়ে । যা নিয়েও বি এনপি নেতাকর্মীদের বিরোধ দেখা দিয়েছে।
সানজানা
