ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

এম নজরুল ইসলাম

বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি বাতিলের পর...

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ৪ জুন ২০২০

বাংলাদেশে সাধারণ ছুটি বাতিলের পর...

গত ২৬ মার্চ থেকে চলা সাধারণ ছুটির মেয়াদ না বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অফিস খোলা রাখার সরকারী সিদ্ধান্ত গত রবিবার থেকেই কার্যকর হয়েছে। দুই মাসের অবরুদ্ধ অবস্থা কাটিয়ে অফিস ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি গণপরিবহন ও অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট চালু হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অর্থনীতি সচল করতে স্বাস্থ্যবিধি মেনেই এসব খোলা হচ্ছে। ১৫ জুন পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে। অর্থাৎ এই খুলে দেয়াটা সম্পূর্ণভাবেই নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। খুলে দেয়ার পর পরিস্থিতি কোন দিকে মোড় নেয়, অন্তত ১৫ দিন দেখে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এই সময় স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত ১৩ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণের পাশাপাশি সবাইকে অবশ্যই মাস্ক পরে অফিসে আসতে বলা হয়েছে। তবে বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তান সম্ভবাদের এ সময় অফিসে আসা মানা। সরকারের এই সিদ্ধান্তের পর একশ্রেণীর রাজনীতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক পেশার মানুষ নতুন করে সরকারের সমালোচনায় মুখর হয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মনে করছেন, ‘করোনাভাইরাসের বিস্তারের ব্যাপক ঝুঁকির মধ্যে সব কিছু খুলে দিয়ে সরকার দেশকে চরম বিপদের দিকে ঠেলে দিচ্ছে’। মির্জা সাহেবের এই উপলব্ধি গত ৩০ মে শনিবারের। এর দিনচারেক আগে গত ২৭ মে তিনি বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সঙ্কটের গভীরতাকে উপেক্ষা করেছে’। আরেক নেতা, খাতাকলমে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে অনেকেই দলটির আবাসিক সম্পাদক বলে থাকেন। তার বয়ান হচ্ছে, ‘অফিস-আদালত, গণপরিবহন চালু করা যেন মৃত্যুর মিছিলকেই আলিঙ্গন করা। মানুষের জীবন বাঁচাতে যখন লকডাউন, আইসোলেশন ও ঘরবন্দী থাকার কথা তখনই মৃত্যুদূত করোনাকে আমন্ত্রণ জানাতে জানালা-দরজা খুলে দিয়েছে।’ এই ভদ্রলোকই গত ৬ এপ্রিল বলেছিলেন, ‘ক্ষুধা লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, সামাজিক দূরত্ব বোঝে না।’ ওদিকে দেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালকে বলেছেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে অফিস, গণপরিবহন ও অর্থনৈতিক কর্মকা- চালু করা হচ্ছে যে উদ্দেশ্যে, তা সফল না হয়ে উল্টো বিপদ আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তার মতে, ‘সরকার যত চেষ্টাই করুক না কেন, এখনকার এই লেজেগোবরে অবস্থা দিয়ে অর্থনীতি সচল করা যাবে না। কোনভাবেই সম্ভব নয়।’ দুশ্চিন্তা কি শুধু বাংলাদেশের অর্থনীতি নিয়ে? নাকি সারা বিশ্বের অর্থনীতিই টালমাটাল? জার্মানির ডের স্পিগেল পত্রিকার আট সাংবাদিক এক নিবন্ধে বলেছেন, ‘বিশ্ব অর্থনীতি এখন বড় ধরনের ঝুঁকির মুখে রয়েছে। আরও ঝুঁকির মুখে পড়বে।’ তারা বলছেন, ‘সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হচ্ছে করোনাভাইারাসের মহামারী গোটা বিশ্বকে অর্থনৈতিক মন্দার দিকে নিয়ে যেতে পারে।’ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান অক্সফোর্ড ইকোনমিকস সম্প্রতি তাদের এক পূর্বাভাসে বলেছে, করোনাভাইরাসে বিশ্ব অর্থনীতির যে ক্ষতি তা বিশ্বের মোট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ১ দশমিক ৩ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল বা আইএমএফ ধারণা করছে যে, লকডাউনের ফলে বিশ্ব অর্থনীতি এ বছর তিন শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। কিন্তু এর আগে তারা ঠিক পুরো উল্টো ধারণা করে বলেছিল যে, এ বছর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে তিন শতাংশ। নিউইয়র্কের গবেষণা প্রতিষ্ঠান এসএ্যান্ডপি গ্লোবাল রেটিংসের আশঙ্কা, ২০২০ সালের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক পর্বে অর্থাৎ এপ্রিল, মে ও জুন এই তিন মাস সময়ে অর্থনীতি নয় শতাংশ সঙ্কুচিত হবে। এসএ্যান্ডপি ধারণা করছে ২০২০ সালে অর্থনীতি ২.৪ শতাংশ হ্রাস পাবে। কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৯ শতাংশ। নিউইয়র্কের অর্থনৈতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান মুডির সর্বশেষ অর্থনৈতিক পূর্বাভাস হচ্ছে, ‘করোনাভাইরাসের ক্ষত ২০২১ সালের অর্থনীতি জুড়েও রয়ে যাবে।’ অর্থাৎ, দেশের বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অর্থনীতির লেজেগোবরে অবস্থা নিয়ে যে আতঙ্কিত হয়েছেন, তা কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সব দেশের জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য। বাংলাদেশ তো একা নয়, বিশ্বের আরও অনেক দেশ লকডাউন তুলে দিয়েছে। সীমিত আকারে চালু হয়েছে অফিস-আদালত, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এসব দেশে সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার সবসময় বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ছিল। বিবিসির এক খবরে বলা হয়েছে, ইউরোপজুড়ে লকডাউন শিথিল হতে শুরু করেছে। দোকান, রেস্তরাঁ, স্কুল খুলছে। লোকজন বাসে ট্রেনে চেপে কাজে যেতে শুরু করেছে। ব্রিটেনে গত ১১ মে থেকে লকডাউন তুলে নেয়া হয়েছে। মানুষজন নিজ পরিবারের বাইরে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন, তবে বাড়িতে গিয়ে নয়। সেই সাক্ষাত হতে হবে বাড়ির বাইরে এবং পরস্পরের মধ্যে দুই মিটার বা ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সেখানে শরীরচর্চার জন্য এখন থেকে দিনে একবারের বদলে যতবার খুশি বাইরে যাওয়া যাবে। গাড়ি চালিয়ে যতদূর খুশি যাওয়া যাবে। জার্মানিতে সবধরনের দোকানপাট খোলার অনুমতি দেয়া হয়েছে তবে স্বাস্থ্যবিধি এবং সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে তাদের। ফ্রান্সে নিজের বাড়ি থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত যাওয়ার ওপর কোন বিধিনিষেধ থাকছে না। তবে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরে যাওয়ার জন্য এখনও অনুমতি লাগবে। রাজধানী প্যারিসে ব্যস্ত সময়ে ভ্রমণ করতে হলে নিয়োগকর্তার অনুমতিপত্র দেখাতে হবে। বেলজিয়ামে এখন কোন পরিবার চাইলে সর্বোচ্চ চারজন বন্ধু বা স্বজনকে দাওয়াত করতে পারবে। তবে ওই পরিবারের সদস্যরা এবং ওই চার অতিথি পরে অন্য কারও বাড়িতে যেতে পারবে না। গণপরিবহনে ফেসমাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নেদারল্যান্ডসে পাঁচ দফায় লকডাউন শিথিল শুরু হয়েছে। ইউরোপে প্রথম যে কটি দেশ লকডাউন আরোপ করে অস্ট্রিয়া তাদের অন্যতম। কিন্তু লকডাউন শিথিল শুরু করেছে তারা প্রথমে। ১ মে থেকে সর্বোচ্চ দশজনের জমায়েতের অনুমোদন দেয়া হয়। ক্যাফে, রেস্তরাঁ খুলেছে ১৫ মে থেকে। ইতালির নাগরিকরা এখন আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িতে যেতে পারছে। তবে এক প্রদেশে থেকে অন্য প্রদেশে যাওয়া এখনও নিষিদ্ধ। ১ জুন থেকে রেস্তরাঁ-বার খুলতে পারবে। স্পেনের অর্ধেকেরও বেশি মানুষ এখন কঠোর লকডাউন থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে। আবার বিপরীতমুখী ছবিও আছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে কঠোর যেসব পদক্ষেপ, তার সবই নিয়েছিল পেরু। সবাইকে ঘরে থাকার কঠোর নির্দেশ দেয়া হয়েছিল, জারি করা হয়েছিল সান্ধ্য আইন, সীমান্তও বন্ধ করেছিল। দ্রুত বর্ধমান অর্থনীতির দেশটির সরকারী তথ্য থেকেই জানা যাচ্ছে, সেখানে হাসপাতালগুলোর ৮৫ শতাংশ আইসিইউ এখন রোগীতে ভর্তি। অন্যদিকে করোনা সঙ্কটে মানুষের স্বাভাবিক চলাচলে বড় ধরনের কোন বিধিনিষেধ আরোপ করেনি জাপান। খোলা ছিল রেস্তরাঁ, এমনকি সেলুনও। সংক্রমণ ঠেকাতে ইউরোপ-আমেরিকাজুড়ে কনট্যাক্ট ট্রেসিং এ্যাপে নির্ভরশীলতা বাড়লেও প্রযুক্তির দেশ জাপান তা মানুষের ওপর চাপিয়ে দেয়নি। জাপান এখনও পর্যন্ত শূন্য দশমিক দুই শতাংশ পরীক্ষা চালিয়েছে। অর্থাৎ, নমুনা পরীক্ষার পরিসংখ্যানেও বিশ্ব থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি। জাপানে নেই কোন সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠানও। তবু জাপানে মোট মৃত্যু এক হাজারের নিচে রয়েছে। টোকিওর মত ঘনবসতির শহরেও নতুন রোগী শনাক্তের সূচক দিন দিন পড়তির দিকে। সবাইকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন না রেখে থ্রি সি মন্ত্র মেনে কাজ করেছে জাপান। এই থ্রি সি হচ্ছে ‘ক্লোজড স্পেস’, ‘ক্রাউডেড স্পেস’ এবং ‘ক্লোজড কন্ট্যাক্ট’ থেকে দূরে থাকা। বিশ্বজুড়ে সামাজিক দূরত্ব অনুসরণের মধ্যেই জাপানের এই থ্রি সি মন্ত্র অনেক বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরাও। বিশ্বের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে বলা হচ্ছে, গ্রেট ডিপ্রেশন নামে পরিচিত উনিশ শ’ তিরিশের দশকের বিশ্ব মহামন্দা পরিস্থিতির পর এই প্রথম করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে আবার বড় রকমের ধস নেমেছে। সেই সঙ্গে এখন একমাত্র প্রশ্ন হচ্ছে, এই পরিস্থিতি কতদিন স্থায়ী হবে এবং বিশ্ব অর্থনীতি এই মন্দা পরিস্থিতি থেকে কীভাবে বের হয়ে আসবে? সে প্রশ্নের উত্তর না খুঁজে আমরা বরং বাংলাদেশের দিকে দৃষ্টি ফেরাই। গত এপ্রিলে বিশ্বব্যাংকের ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এমন আভাস দেয়া হয়েছে যে, করোনাভাইরাসের প্রভাবে চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ শতাংশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হতে পারে। অন্যদিকে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে, বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারী মোকাবেলায় সহায়তার জন্য নতুন করে ২ লাখ ৩১ হাজার ডলারের বেশি অনুদান দিচ্ছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিবি। এর আগে ৭ মে করোনাভাইরাস মহামারী প্রতিরোধে বাংলাদেশকে জরুরী সহায়তা হিসেবে ৫০ কোটি ডলার এবং ৩০ এপ্রিল ১০ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছে সংস্থাটি। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফ কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় বাংলাদেশকে ৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলারের জরুরী সহায়তা দেবে। এখন নাগরিক দায়িত্ব কী? কী দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে আমাদের? বহির্বিশ্বে লাকডাউন তুলে নেয়ার পর যেভাবে নাগরিকরা দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে, তা অনুসরণযোগ্য বলে আমরা মনে করি। নাগরিক দায়িত্বীশলতা যদি অন্য দেশকে স্বস্তি এনে দিতে পারে, আমরা কেন তা পারব না? উপরন্তু আমাদের আশা যোগাচ্ছে কৃষি ও কৃষক। মার্কিন কৃষি বিভাগ ইউএসডিএ এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ধারাবাহিকভাবে ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশ তৃতীয় বৃহত্তম চাল উৎপাদনকারী দেশ হতে যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে আমন মৌসুমে রেকর্ড উৎপাদন হয়েছে। আবার গত আউশ মৌসুমেও চালের উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। সর্বশেষ চলতি বোরো মৌসুমে সাড়ে চার লাখ টন বাড়তে পারে চালের উৎপাদন। তিন মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির সম্মিলিত ফলই বাংলাদেশ শীর্ষ তিনে চলে আসার মূল কারণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। বৈশ্বিক মহামারীর কারণে অকল্পনীয় অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এ বিপর্যয় ঠেকাতে এখনই বিশ্বব্যাপী প্রয়োজন ঐক্য আর সংহতি। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই কথাটি সমানভাবে প্রযোজ্য। করোনাভাইরাস নামের অতি মহামারী প্রতিরোধে সরকার সাধ্যের অধিক করেছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, সাধারণ ছুটির মধ্যে সহযোগিতা পেয়েছে ৬ কোটির বেশি মানুষ। এরপর আর লেজেগোবরে অবস্থা না খুঁজে, কেবলই সমালোচনার স্বার্থে সমালোচনায় না গিয়ে আসুন আমরা আমাদের সামর্থ্য নিয়ে সরকারের পাশে দাঁড়াই। আর কিছু না হোক, যার যার অবস্থান থেকে সঠিক পরামর্শ দিয়েও তো সরকারকে সহযোগিতা করা যেতে পারে। হীনম্মন্যতাবোধের পরিচয় না দিয়ে মানসিক দৈন্য কাটিয়ে ওঠার সুযোগ সবারই নেয়া উচিত। লেখক : সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অস্ট্রিয়া প্রবাসী লেখক ও মানবাধিকারকর্মী [email protected]
×