
ছবি: সংগৃহীত
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার সংলাপে সব রাজনৈতিক দল অংশ নিলেও আলোচনা থেকে নিজেদের বিরত রেখেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই সংলাপ শুরু হয়। ৩০টি রাজনৈতিক দল বৈঠকে অংশ নিলেও জামায়াতের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের পাশের আসনটি জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরের জন্য নির্ধারিত থাকলেও তা খালি ছিল।
বৈঠকে মধ্যাহ্নভোজের বিরতিতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,
“জামায়াত আলোচনায় অংশ নেয়নি—এ বিষয়ে মন্তব্য করার এখতিয়ার আমাদের নয়। এটি ঐকমত্য কমিশনের বিষয়।”
তিনি আরও জানান, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন নিয়ে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল একমত হয়েছে। বিশেষ করে আস্থা ভোট এবং অর্থ বিল ছাড়া অন্যান্য বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীনভাবে ভোটদানের সুযোগ রাখার পক্ষে ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন,
“বেশ কয়েকটি দল সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাবে নিজেদের সুপারিশ যুক্ত করেছে। আমরাও লিখিত প্রস্তাবে উল্লেখ করেছি, জাতীয় নিরাপত্তা ও যুদ্ধকালীন সময়ে সংসদ সদস্যরা স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারবেন না। এই দুটি ব্যতিক্রম ছাড়া অন্য সব বিষয়ে স্বাধীনতার পক্ষে ঐক্য হয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, আস্থা ভোট ও অর্থ বিল জাতীয় সনদে উল্লেখ থাকবে এবং এতে সব দল স্বাক্ষর করবে। তবে বাকি প্রস্তাবগুলোর ক্ষেত্রে বিএনপি তাদের অবস্থান যুক্ত করে পরবর্তী দায়িত্ব পেলে তা অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি সমন্বিত অবস্থান গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা আগামী দিনের রাজনৈতিক রূপরেখায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ফারুক