ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

‎লক্ষীপুর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে রাস্তা, চলাচলে ভোগান্তি

‎তারেক মাহমুদ,কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ‎লক্ষীপুর

প্রকাশিত: ২১:৪৮, ১৭ জুন ২০২৫

‎লক্ষীপুর নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে রাস্তা, চলাচলে ভোগান্তি

‎লক্ষীপুরের বানিজ্যিক এলাকা মজুচৌধুরীরহাট ফেরীঘাট থেকে আশ্রয়নকেন্দ্র পর্যন্ত মেঘনার পাড়ের গ্রামীন সড়কটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। গত বেশ কয়েক মাস ধরে বিলীন হচ্ছে রাস্তা,  ফসলিজমি। ভাঙনঝুঁকিতে রয়েছে নদীর পাশে বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি । এতে রাস্তা ভাঙনে আতঙ্কে রয়েছে চর রমনী ইউনিয়নের ৪-৫ নং ওয়ার্ডে মানুষ।

‎সরেজমিনে দেখা যায়, সদর উপজেলার ২০ নং চর রমনী মোহন ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ঐ সড়কটি ৩ কিলোমিটার জুড়ে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।। এতে প্রতিনিয়ত ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে  এলাকার প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দাদের। ফলে ব্যাহত হচ্ছে তাদের শিক্ষা কিংবা চিকিৎসা সেবা। ভাঙ্গনের কারনে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় হেটেই পাড়ি দিতে হয় গন্তব্যস্থান। 

‎তবে, সড়কটি ভাঙনে বিআইডব্লিওটিএ এর চলমান ড্রেজিং ও বালু উত্তোলনকে দায়ী করেন তারা। 


‎স্থানীয় বাসিন্দা সজিব হোসেন বলেন, আমাদের এ রাস্তা দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত। কিন্তু সরকারি ড্রেজিং এর অপরিকল্পিত ভাবে বালু উত্তোলনের কারনে রাস্তাটি ভেঙে যাচ্ছে। আমরা দ্রুত একটি বেড়িবাঁধ চাই। নাহয় আমাদের বাড়িঘর বিলীন হয়ে যাবে। 

‎আরিফ হোসেন নামে একজন জানান, সড়কটি মেঘনা নদীর তীর হওয়ায় বিআইডব্লিওটিএর চলমান ডেজিংয়ের কারণে বিভিন্ন স্থানে ভেঙে তলিয়ে গেছে।শুধু সরকার বালু উত্তোলন নয়, ব্লাকহেড থেকে বালু আনলোডের কারনেও রাস্তার ক্ষতি হয়েছে। এতে আমাদের কোনো রোগী তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে পারিনা। বাচ্চারা স্কুল কলেজে যেতে সমস্যা পোহাতে হয়। হেঁটে বাজারে যাওয়া লাগে। 


‎আজ (১৭জুন) ভাঙন রোধে বাধ নির্মান ও তিন কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের দাবী বিক্ষোভে মিছিল ও মানববন্ধণ করেছে স্থানীয়রা। ফেরীঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করেন তারা। এসময় বিআইডব্লিওটিএ চলমান ড্রেসিং ও বালু উত্তোলন বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 
‎ 
‎মানববন্ধন শেষে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করেন। 

Jahan

×