ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৮ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

এবার এরদোগানের হুঁশিয়ারিতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে মোড় ঘোরালো!

প্রকাশিত: ২১:৩৭, ১৭ জুন ২০২৫

এবার এরদোগানের হুঁশিয়ারিতে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে মোড় ঘোরালো!

মধ্যপ্রাচ্যের উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে ইরানের পাশে দৃঢ় অবস্থান নিল তুরস্ক। রোববার এক টেলিফোন আলাপে তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেব এরদোগান সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “ইরানের উপর ইসরায়েলের যেকোনো আক্রমণ তুরস্ক বরদাশত করবে না।” এমন হুঁশিয়ারির পরই নতুন মাত্রা পেয়েছে চলমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা।

আনাদোলু বার্তা সংস্থা জানায়, ১৬ জুন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান এবং সদ্য নির্বাচিত ইরানি প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজিসকিয়ানের মধ্যে এই ফোনালাপ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে এরদোগান বলেন, “তুরস্ক যেকোনো মূল্যে ইরানকে সহায়তা করতে প্রস্তুত।”

এরদোগানের এমন বার্তার পরপরই কূটনৈতিকভাবে অনেকটা আলাদা হয়ে বসেছে যুক্তরাষ্ট্রপন্থী কিছু রাষ্ট্র, বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।

ফোনালাপে প্রেসিডেন্ট এরদোগান আরও বলেন, পারমাণবিক আলোচনায় ইরানকে ফিরিয়ে আনতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে তুরস্ক। এই সংঘাত থামাতে আঞ্চলিক শান্তির জন্য যা যা প্রয়োজন, তুরস্ক তা করবে।

অন্যদিকে ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজিসকিয়ান বলেন, “ইরান কখনও যুদ্ধ শুরু করেনি, আমরাও চাই না এই যুদ্ধ দীর্ঘ হোক। তবে ইসরায়েলের হামলার কঠিন জবাব আমরা দেবোই।” তিনি আরও যোগ করেন, “যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা কেবল এই অঞ্চলের উপর ইসরায়েলের আগ্রাসনের মাত্রার ওপর নির্ভর করবে।”

এই টেলিফোনালাপ ও যৌথ বার্তার মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের একাধিক দেশ ইরানের পক্ষে প্রকাশ্যে অবস্থান নিতে শুরু করেছে। চীন, রাশিয়া এবং উত্তর কোরিয়ার পর এবার তুরস্কের সরাসরি অবস্থান ইরানকে দিয়েছে কূটনৈতিক শক্তির বড় ভরসা।

এদিকে জি-৭ সম্মেলনের ফাঁকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে বৈঠকের শুরুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, “আমি বলব ইরান এই যুদ্ধে জিতছে না। তাই তাদের এখনই আলোচনায় বসা উচিত। দেরি হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”

বিশ্লেষকদের মতে, এই অবস্থায় তুরস্কের এমন অবস্থান শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, পুরো বিশ্বের ভৌগলিক রাজনীতিতে ব্যাপক পরিবর্তন ডেকে আনতে পারে।

মিমিয়া

আরো পড়ুন  

×