
ছবিঃ সংগৃহীত
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইন তার ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে বলেন, "পাকিস্তান-চীনের কাছে দা’ব’ড়া’নি খেয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে যু’দ্ধে’র উ’স্কা’নি দিচ্ছে ভারত!"
তিনি তার পোস্টের কমেন্টে এ সম্পর্কিত একটি ভিডিও লিংক পোস্ট করেছেন। লিংক: https://youtu.be/ttR_hRhHB-A?si=xUqWZgS3n_veKsq6&sfnsn=wa
ভিডিও নিউজে বলা হয়েছে, কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কর্তৃক একাধিকবার বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা ও ড্রোন উড্ডয়নের ঘটনায় সীমান্ত এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
গত ২৭ মে রাতে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সাহেবের আলগা বিওপি এলাকায় স্থানীয়রা বাংলাদেশ আকাশসীমায় তিনটি ড্রোন দেখতে পান। স্থানীয় ইউপি সদস্য হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, রাত আনুমানিক ১০টা ৪৪ মিনিটে তিনটি ড্রোন বাংলাদেশ ভূখণ্ডে প্রবেশ করে এবং কয়েকবার চক্কর দিয়ে ভারতের শিশু মারা বিএসএফ ক্যাম্পে ফিরে যায়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, এই ড্রোনগুলো বাংলাদেশের ভেতরের ছবি ও তথ্য সংগ্রহ করছে, যা দেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকিস্বরূপ।
এর আগে, একই দিনে ভোরে কুড়িগ্রামের বড়াইবাড়ি সীমান্ত দিয়ে বিএসএফ ১৪ জন নারী-পুরুষকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পুশইন করার চেষ্টা করে। এ সময় বিজিবি বাধা দিলে বিএসএফ গুলি চালায়। বিজিবি জানিয়েছে, তারা চার রাউন্ড গুলির আওয়াজ পেয়েছে। এই ঘটনার পর বিজিবি ও স্থানীয়রা সীমান্তে কড়া অবস্থান নেয়।
এদিকে, ২৯ মে বুধবার ভোরে লালমনিরহাট জেলার তিন উপজেলার পাঁচটি সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে অন্তত ৩৮ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশইনের চেষ্টা করে বিএসএফ। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাটগ্রাম উপজেলার আমবাড়ি, পচাভান্টার ও ধবরগড়ি সীমান্ত, হাতিবান্ধা উপজেলার বনচৌকি, এবং আদিতমারী উপজেলার চওড়াটারি সীমান্ত দিয়ে এই পুশইনের চেষ্টা হয়। বিজিবি ও স্থানীয়দের তৎপরতায় পুশইন ব্যর্থ হয় এবং ভারতীয় নাগরিকরা সীমান্তের ওপারে ভারতের খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করতে বাধ্য হন।
সাবেক সেনা কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোহাম্মদ শামস কামাল বলেন, “এই ধরনের ড্রোন ও গুলিবর্ষণের ঘটনা একটি আতঙ্ক সৃষ্টির কৌশল। এর মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় সাধারণ মানুষকে ভীত করা হচ্ছে যাতে তারা সীমান্ত এলাকায় তৎপর না থাকে এবং বিএসএফ তাদের উদ্দেশ্য সফল করতে পারে।”
স্থানীয় গ্রামবাসী ও সংশ্লিষ্টরা সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না দেখার অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় এখনই প্রয়োজন কঠোর কূটনৈতিক ও সামরিক উদ্যোগ।
সীমান্ত পরিস্থিতি নিয়ে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং স্থানীয় জনগণও পুশইনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/16hDPzSwEn/
মারিয়া