ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৮ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

ইসির পর্যবেক্ষণে শিক্ষিত ভোটাররা ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন: সিইসি

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ১৭ অক্টোবর ২০২২

ইসির পর্যবেক্ষণে শিক্ষিত ভোটাররা ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন: সিইসি

কাজী হাবিবুল আউয়াল

৫৭ জেলা পরিষদের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে বেলা ২টা পর্যন্ত। সকল কেন্দ্রে ভোট হয় ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে)। প্রতিটি ভোটকক্ষে ছিল সিসিটিভি। ভোটচলাকালে সিসিটিভিতে নিবিড় পর্যবেক্ষণ করে নির্বাচন কমিশ (ইসি)। সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার বাহিনী।

এভাবে আগাম সতর্কতা অবলম্বন এ নির্বাচনে বিচ্ছিন্ন ক’টি ঘটনা ছাড়া তেমন কোন বিশৃংখলা হয়নি। সিসিটিভিতে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ শেষে জেলা পরিষদ নির্বাচন সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফিয়কালে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, শিক্ষিত ভোটাররা ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন। তাই অত্যন্ত সুশৃংখল ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

তিনটি পার্বত্য জেলা ছাড়া সোমবার দেশের ৬১টি জেলা পরিষদের  নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ভোলা ফেনী জেলা পরিষদে চেয়ারম্যানসহ সব পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হওয়ায় এবং আদালতের নির্দেশে নোয়াখালী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পরিষদের নির্বাচন নির্দেশ স্থগিত থাকায় এ ৪টি ছাড়া বাকি ৫৭টি জেলা পরিষদের ভোট হয়। 

স্থানীয় সরকার আইন অনুসারে সংশ্লিষ্ট জেলার অধীনে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা এ নির্বাচনের ভোটার। মোট ভোটার ৬৩ হাজার ১৫৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৪৮ হাজার ২৩৬ জন এবং নারী ১৪ হাজার ৯২৩ জন।নির্বাচনে কেন্দ্র ছিল ৪৬৫টি এবং ভোট কক্ষ ছিল ৯৩১টি। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ছিলেন ৯২ জন। এ ছাড়া  সাধারণ সদস্য পদে এক হাজার ৪৮৫ জন এবং সংরক্ষিত নারী সদস্য পদে ৬০৩ জন প্রার্থী ছিলেন। তবে আগেই ২৬ জন চেয়ারম্যান, ৬৯ জন সাধারণ সদস্য এবং ১৯ জন সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
 
সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে সিইসি বলেন, আমরা নির্বাচন ভবনে বসে সিসিটিভির মাধ্যমে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেছি। নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তুষ্ট। কোথাও থেকে কোনো অনিয়ম, সহিংসতা, গোলযোগের তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটাররা শিক্ষিত ও মার্জিত। তারা ভদ্রভাবে ভোট দিয়েছেন। 

তিনি বলেন, আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি স্বচ্ছ নির্বাচন চাই, শুধু ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে গোপন কক্ষে কোনো দ্বিতীয় ব্যক্তি যাননি। আমরা নির্বাচনের শুরু থেকেই মনিটরিং সেলে অবস্থান করেছি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণের যে পদ্ধতি সিসি টিভি মাধ্যমে এটা আমাদের জন্য এক নতুন অভিজ্ঞতা নির্বাচন পরিচালনায়। 
 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×