
পশুহাট
কোরবানির প্রধান অনুষঙ্গ গরু-ছাগলে ভরে উঠছে ঢাকার ২০টি পশুর হাট। আজ বুধবার থেকে বিপুল-উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হবে। তবে শৌখিন কোরবানিদাতারা একটু আগে-ভাগে বিভিন্ন হাট থেকে গরু-ছাগল কিনে বাসার সামনে রশি দিয়ে বেঁধে রেখেছেন। ঢাকার অলিগলিতে এখন দেখা মিলছে মাঝারি ও বড় সাইজের গরু-ছাগলের। কোরবানির গরুর গলায় শোভা পাচ্ছে ফুলের মালা! ছোট্র শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক নগরবাসীরাও একনজর দেখে নিচ্ছেন কোরবানির পশু। এসব পশু কোরবানি করা হবে আগামী ১০ জুলাই পবিত্র ঈদ-উল-আজহার দিনে।
নগরবাসীর সবার আগ্রহ এখন কোরবানির পশু নিয়ে। কে কত দাম দিয়ে পশু কিনবেন সেই খোশগল্পে সময় কাটছে ঢাকাবাসীর। হঠাৎ করে করোনার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। জাল টাকার বিস্তাররোধ, চাঁদাবাজি, ছিনতাইকারী, ছিচকে চোর ও অজ্ঞানপার্টির তৎপরতা নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে হাটগুলোতে। এছাড়া ব্যবসায়ী ও বেপারিদের স্বার্থে কোরবানির হাটএলাকাগুলোতে সব ধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংক শুক্র ও শনিবার বন্ধের দিন রাত্রি ৮ টা পর্যন্ত সেবা প্রদান করবে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।
এদিকে মতিঝিলের মধুমিতা সিনেমা হলের পাশের রাস্তা থেকে থেকে শুরু হয়েছে কমলাপুর-গোপীবাগ-মুগদাপাড়ার কোরবানির গরু-ছাগলের হাট। সরেজমিনে দেখা যায়, সিনেমা হলের পাশের রাস্তাটি এখন ভর্তি কোরবানির গরুতে। শুরু হয়েছে বেচাকেনাও। এখানকার বেশিরভাগ বেপারি কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর থেকে খামারে পালিত বিভিন্ন সাইজের গরু নিয়ে এসেছেন। এছাড়া দেশের অন্যান্য জেলার গরু ব্যবসায়ীারও এই হাটে তাদের পশু নিয়ে এসেছেন। বেপারিরা জানালেন, তাদের আরও গরু পথে রয়েছে। কোরবানির দিন ভোররাত পর্যন্ত প্রয়োজনে তারা বেচাকেনা করবেন।
মেহেরপুর থেকে দশটি গরু নিয়ে কমলাপুর হাটে এসেছেন আব্দুল খালেক শরীফ। এ প্রসঙ্গে তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, হাটে এখনও বেচাকেনা সেভাবে শুরু হয়নি। তবে অনেক ক্রেতা এসে দরদাম করছেন। দাম শুনে চলে যাচ্ছেন। এবার গরুর দাম কিছুটা বেশি কারণ গো-খাদ্যের দাম বেড়ে গেছে। ওই হাটে গরুর খোঁজ করছিলেন, মানিক নগরের বাসিন্দা আকতার হোসেন মজুমদার। তিনি জানান, গরু দেখতে এসেছি। তবে এবার মনে হয় দাম বেশি হবে। দামে পটলে একটি গরু কেনা হবে। বেপারিদের অভিযোগ ক্রেতারা বেশি দাম দিতে চাচ্ছে না, অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, দাম গতবারের অনেক বেশি। তবে হাটে ক্রমে গরু-ছাগলের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।
ঢাকার ২০ হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা ॥ আজ বুধবার থেকে ঢাকার দুটি স্থায়ী গাবতলী ও সারুলিয়াসহ ২০টি হাটে পশু বেচাকেনা শুরু হবে। এর মধ্যে ঢাকায় ১৮টি অস্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, এবার উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় বসছে আটটি অস্থায়ী পশুর হাট। অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসছে ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট। এছাড়া ডিএনসিসির গাবতলী ও ডিএসসিসির সারুলিয়া স্থায়ী হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসারে এবং ডিএনসিসির তত্ত্বাবধানে ই-ক্যাব ও বিডিএফ অনলাইন হাট পরিচালনা করেছে।
গতবছর ডিজিটাল হাট প্ল্যাটফর্মে ১ হাজার ৮৪৩টি হাট অনলাইনে যুক্ত হয়। এ বছর এই লক্ষ্যমাত্রা আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র। এদিকে ঢাকার অস্থায়ী ১৮ পশুর হাট এখন সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আজ বুধবার থেকে এসব হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হবে। এ বছর অস্থায়ী ৮টি হাট বসানোর জন্য দরপত্র আহ্বান করে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন। উত্তর সিটির যে ৮ স্থানে বসবে অস্থায়ী হাট- কাওলা শিয়ালডাঙ্গা, উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ এর খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদ নগর), বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং, আফতাবনগর ব্লক ই থেকে এইচ পর্যন্ত এলাকা, মোহাম্মদপুর বছিলার ৪০ ফুট রাস্তা সংলগ্ন খালি জায়গা, ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের ৩০০ ফুট সড়ক সংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন ৬ এর খালি জায়গা এবং ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁচপুরা বেপারি পাড়ার রহমান নগর আবাসিক প্রকল্প এলাকায় অস্থায়ী এই ৮টি হাট বসবে।
এছাড়া মহাখালী টিএ্যান্ডটি মোড় খেলার মাঠ এবং তেজগাঁও পলিটেকনিক্যাল মাঠসহ আশপাশের খালি জায়গায় পৃথক দুটি হাট বসানোর জন্য আবেদন জানিয়েছেন কাউন্সিলররা। এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মাহে আলম জানান, আজ বুধবার থেকে থেকে হাটগুলোতে আনুষ্ঠানিকভাবে পশু বেচাকেনা শুরু হবে। এবার ইজারা প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে এবং সর্বোচ্চ দরদাতাকেই হাটের ইজারা দেয়া হয়েছে। এ বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবে ১০টি অস্থায়ী হাট। দক্ষিণ সিটির যে ১০ স্থানে বসবে অস্থায়ী হাট- খিলগাঁও রেলগেট বাজারের মৈত্রী ক্লাব সংঘ মাঠ, হাজারীবাগ ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজ মাঠ, পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসহ আশপাশের খালি জায়গা, মেরাদিয়া বাজার সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব সংলগ্ন খালি জায়গাসহ কমলাপুর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকা, যাত্রাবাড়ী দনিয়া কলেজ সংলগ্ন আশপাশের এলাকা, ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা, লালবাগ রহমতগঞ্জ ক্লাব সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা, শ্যামপুর কদমতলী ট্রাকস্ট্যান্ড সংলগ্ন খালি জায়গা এবং আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গায় এবার ডিএসসিসির নির্ধারিত অস্থায়ী হাটগুলো বসবে।
এই হাটগুলোর মধ্যে সবগুলোর ইজারা ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়ে গেছে। যারা হাটগুলো ইজারা পেয়েছেন তারা হাটে বাঁশ, সামিয়ানা, হাসিল প্যান্ডেল, গরু রাখার স্থান নির্মাণের কাজ শেষ করেছেন। হাটে পশু আসা শুর হয়েছে।
হাটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা ॥ ক্রেতা-বিক্রেতা এবং ব্যবসায়ীদের স্বার্থে এবার কোরবানির পশুর হাটে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। হাটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের বৈঠকও হয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের দুটি স্থায়ী ও ১৮টি অস্থায়ী পশুর হাটে গোয়েন্দা নজরদারি ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। হাটগুলোতে পুলিশ ও র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হচ্ছে। এছাড়া হাটে যে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন ও ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। পশুর হাটে অজ্ঞানপার্টি ও ছিনতাই চক্র প্রতিরোধে ইউনিফর্মের পাশাপাশি সাদা পোশাকেও বিপুলসংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে। অন্যদিকে জাল টাকার বিস্তার রোধ ও পশুর হাটে অজ্ঞানপার্টি, মলমপার্টি, পকেটমার ও অন্যান্য অপরাধীর তৎপরতা বন্ধ করতে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পশুর হাটকেন্দ্রিক মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা থাকবে। থাকবে জাল নোট শনাক্ত করার মেশিন। এ প্রসঙ্গে ডিএমপির দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তোফায়েল আহমেদ বলেন, রাজধানীর অন্যতম বড় কোরবানির পশুর হাট গাবতলী।
ইতোমধ্যে এই হাট এলাকায় গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া সার্বিক আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিদ্যমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কোরবানির পশুর হাটে মাস্ক পরে ঢুকতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। ঢাকায় ২০টিসহ সারাদেশে ৪ হাজার ৪০৭টি পশুর হাট বসবে। তিনি বলেন, হাটগুলোতে প্রয়োজন অনুযায়ী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত থাকবে। পশুর হাটের টাকা পুলিশের সহযোগিতায় বহন করতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।
কোরবানির পশু হাট এলাকায় বন্ধের দিন রাত ৮টা পর্যন্ত ব্যাংক খোলা ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আজহা উপলক্ষে রাজধানীর পশুর হাটগুলোর আশপাশের ব্যাংকের কার্যক্রমের সময় বাড়ানো হয়েছে। সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত এসব ব্যাংকে চলবে লেনদেন। একই সঙ্গে আগামী শুক্র ও শনিবারও এসব এলাকার ব্যাংক খোলা থাকবে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বলা হয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত কোরবানির পশুর হাটগুলোতে বিপুল পরিমাণ অর্থের লেনদেন হয়।
হাটগুলোর নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা-উপশাখা ব্যবহার করে পশু বিক্রির অর্থ লেনদেন করে থাকেন ব্যবসায়ীরা। এজন্য ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের তালিকাবুক্ত হাটগুলোর নিকটবর্তী ব্যাংকের শাখা-উপশাখায় বিশেষ ব্যবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত লেনদেন চলবে। এছাড়া ঈদ-উল-আজহার আগের দুদিন শুক্র-শনিবারও এসব ব্যাংকের শাখা-উপশাখাগুলোতে সকাল ১০টা হতে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে কার্যক্রম।
হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে ॥ করোনার প্রকোপ ফের বেড়ে যাওয়ার কারণে হাটে স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপর জোর দেয়া হয়েছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা মাস্ক, স্যানিটাইজার ও প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে পশু কেনাবেচা করবেন। এছাড়া কোরবানির পশুর বর্জ্য ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ এবং কোরবানির স্থান পরিষ্কার করার জন্য সব সিটি কর্পোরেশন এবং সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কোরবানির পশুর হাট বসানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, পশুরহাট, বাজার ব্যবস্থাপনা, দ্রুততম সময়ে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও জনসাধারণকে পাশে দাঁড়াতে হবে। সড়ক-মহাসড়কের পাশে যেখানে যান চলাচল বিঘœ হতে পারে সেখানে কোনভাবেই পশুর হাট বসানো যাবে না। এ নির্দেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কোরবানির পশু নিয়ে দ্রুত ঢাকায় ঢুকছে ট্রাকের পর ট্রাক ॥ স্টাফ রিপোর্টার মুন্সীগঞ্জ থেকে জানান, ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে কোরবানির পশু ভর্তি ট্রাক ঢুকছে ঢাকাতে। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে শতাধিক গরুভর্তি ট্রাক ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সিরাজদিখান উপজেলার নিমতলা কুচিয়ামোড়া ও ধলেশ^রী টোলপ্লাজা পার হতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে ক্লান্তিহীন খামারিরা খুশিতে আত্মহারা। আগে এই গরুর ট্রাক নিয়ে কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হতো মাওয়া ফেরিঘাটে। এখন আর সেই ভোগান্তি নেই।
মোটকথা অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটা নতুন দিগন্ত উন্মোচন করে দিয়েছে পদ্মা সেতু। বর্তমানে এ সেতু বিশেষ করে বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে যারা কোরবানির পশু লালন-পালন করে দক্ষিণবঙ্গে ২১টি জেলায়। কোরবানির পশু নিয়ে এক সময় ঘাটে এসে দুই-তিন দিনও অপেক্ষা করতে হতো। পদ্মা সেতু দিয়ে যারা ঢাকা ও দেশের অন্যান্য জায়গায় কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন তাদের জন্য পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে অভাবনীয় সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ইতোমধ্যে। এতে একদিকে যেমন কোরবানির জন্য সম্প্রসারিত জায়গা হচ্ছে, অন্যদিকে রাস্তা-ঘাটে ভয়ঙ্কর অবস্থা তৈরি হচ্ছে না।
পদ্মা সেতুর কারণে ফেরিঘাট কেন্দ্রিক খামারিদের বিড়ম্বনা এখন নেই। পদ্মা সেতুর কারণে কোরবানির পশু পারাপার সহজ হয়েছে। পথে অনেক সময় পশু ক্লান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে যেত, অনেক সময় মারাও যেত। সেই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ হয়েছে। এটা খামারি, বিপণনকারী ও ভোক্তাদের জন্য সুযোগ সৃষ্টি করেছে। এভাবে পদ্মা সেতু কোরবানির আয়োজনে অকল্পনীয় সুযোগ করে দিয়েছে। কোরবানির অর্থনীতিতেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়েছে এমনটাই জানিয়েছেন খামারিরা।