ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে ইউএসটিসি নার্সিং অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি

প্রকাশিত: ১২:২১, ১৩ এপ্রিল ২০২০

 চট্টগ্রামে ইউএসটিসি নার্সিং অধ্যক্ষকে  হত্যার হুমকি

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এ্যান্ড টেকনোলজি চিটাগাংয়ের (ইউএসটিসি) আওতাধীন আনোয়ারা নূর নার্সিং ইনস্টিটিউট এ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে সন্ত্রাসীরা। ইউএসটিসির আওতায় থাকা বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (বিবিএমএইচ) স্টাফ আব্দুর রহমান ও দুজন অজ্ঞাত লোক এই অধ্যক্ষকে হত্যাসহ কেটে টুকরো টুকরো করার হুমকি দিচ্ছে। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের পাঁচলাইশ মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন অধ্যক্ষ মিনারা খানম। থানার ওসি বিষয়টি তদন্তের জন্য সেকেন্ড অফিসারকে দায়িত্ব দিয়েছেন। এমনকি মোবাইল নম্বরগুলো ট্রেকিং করতে বলেছেন। অভিযোগ উঠেছে, এর আগে গত ৮ এপ্রিল অতিরিক্ত কমিশনার অপরাধ ও অপারেশন আমেনা বেগমকে অধ্যক্ষ অবহিত করলে, আমেনা বেগম এ বিষয়ে ডেপুটি কমিশনারের (উত্তর) সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। আরও অভিযোগ উঠেছে, গত ৮ এপ্রিল প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ খুলশী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। কিন্তু হত্যার হুমকিদাতা আব্দুর রহমান খুলশী থানার সেকেন্ড অফিসার নূর উদ্দিনের ভাই হওয়ার কারণে ৯ এপ্রিল সেকেন্ড অফিসার জিডির নাম্বারটি বাদীর কপি থেকে ছিঁড়ে ফেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে ওসির সঙ্গে অধ্যক্ষ দেখা করলে ‘প্রতিষ্ঠানটি ভাল নয় এমনকি কোন সাহায্য সহযোগিতাও করে না’ মর্মে বিরূপ মন্তব্য করেছেন ওসি। ইউএসটিসির চেয়ারম্যানের দফতর সূত্রে জানা গেছে, বিবিএমএইচ এ ১৯ জন নার্স গত প্রায় ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে অবৈধভাবে ডিপ্লোমা ডিগ্রী ছাড়াই কাজ করছিলেন। রোগীদের নানা অভিযোগের পরও কাজ করে আসছিলেন তারা। বিভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত আরও ১৫ জন কর্মীও কাজ করে আসছিলেন দীর্ঘ সময়। এসব কর্মচারীর বিরুদ্ধে ১৪/১৫টিরও বেশি অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া স্টাফ নার্সদের বিষয়ে সরকার স্বাস্থ্য অধিদফতর ও দ্য মেডিক্যাল প্রাকটিস্ এ্যান্ড প্রাইভেট ক্লিনিক এ্যান্ড ল্যাবরেটোরিজ রেগুলেশন অর্ডিনেন্স ১৯৮২ অনুযায়ী ডিপ্লোমা ছাড়া নার্স নিয়োগ কিংবা কর্মরত থাকা যাবে না। এমনকি যেসব হাসপাতাল বা ক্লিনিকে ডিপ্লোমা বিহীন নার্স কর্মরত আছে ওইসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন বাতিলের নির্দেশনা রয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে। ফলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান তাদের কর্ম থেকে অব্যাহতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, চেয়ারম্যানের নির্দেশে মিনারা খানমকে এ ধরনের নার্স ও অভিযুক্ত কর্মচারীদের পূর্ববর্তী নথিপত্র থেকে তালিকা করতে বলা হয়। তাৎক্ষণিক এই তালিকায় হাসপাতালের স্টাফ আব্দুর রহমানসহ মোট ২৬ জনের নাম উঠে আসে। কিন্তু চেয়ারম্যান জোরপূর্বক এ তালিকা অন্যদের পরামর্শে ২৬ জন থেকে ৩৪ জনে রূপান্তর করেন। আগামী ৫ মে চূড়ান্তভাবে এদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়ে পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী চাকরি থেকে অব্যাহতির নোটিস দেয়া হয়েছে।
×