ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২২ মে ২০২৪, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

খাল থেকে পাওয়া গেলো বাঘের মরদেহ

স্টাফ রিপোর্টার, বাগেরহাট

প্রকাশিত: ২২:০৩, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

খাল থেকে পাওয়া গেলো বাঘের মরদেহ

সুন্দরবন

সুন্দরবনের খাল থেকে একটি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের আন্ধারিয়া খাল থেকে বাঘটির মরদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। বাঘটিকে করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম এ খবর নিশ্চিত করেন।বাঘের মরদেহ সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগ চাঁদপাই রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক রানা দেব জানান, ধারণা করা হচ্ছে, প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ বাঘটি ৬-৭ দিন আগে মারা গেছে। গায়ের চামড়া নষ্ট হয়ে লোম পড়ে গেছে। মৃত বাঘটি উদ্ধার করে সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রে আনা হয়েছে। সেখানে মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ে মরদেহের ময়নাতদন্তের কাজ শুরু করেছেন প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ও বনবিভাগ। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বার্ধক্যজনিত কারনে বাঘটির মৃত্যু হতে পারে।

করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, বাঘটির মৃত্যুর কারণ জানতে মরদেহের কলিজা, দাঁতের লালা, মাংস ও চামড়াসহ লোম সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এসব নমুনা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ঢাকায় বনবিভাগের প্রধান কার্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন। তারপরই জানা যাবে বাঘটির মারা যাওয়ার কারণ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, বাঘটির মৃত্যুর কারণ এবং কিভাবে মারা গেল, বাঘের বয়সসহ অন্যান্য বিষয়গুলো বনবিভাগ অনুসন্ধান করছে।’

বন বিভাগের সূত্র মতে, গত ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি সুন্দরবনের দুবলার চরের কাছে রুপার খাল থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করে বন বিভাগ। ২০২১ সালের মার্চে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের ভোলা নদীর ধনচেবাড়িয়ার চর থেকে মৃত অবস্থায় একটি বাঘ উদ্ধার করা হয়। ২০২০ সালের জুলাই মাসে মাত্র সাড়ে ৫ মাসের ব্যবধানে সুন্দরবন পূর্ব ও পশ্চিম বিভাগ এলাকা থেকে দুটি মৃত বাঘ উদ্ধার হয়।

২০০১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত ২৩ বছরে সুন্দরবনে নানাভাবে ৪১টি বাঘের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগে ২৫টি এবং পশ্চিম বিভাগে ১৬টি বাঘের মৃত্যু হয়। কখনো চোরা শিকারির হাতে আবার সুন্দরবন থেকে লোকালয়ে প্রবেশ করায় গণপিটুনির শিকার হয়ে বাঘ মারা পড়েছে। তাছাড়া ঝড়-জলোচ্ছাস, অসুস্থতা, বার্ধক্যজনিত কারণে অনেক বাঘ মারা গেছে। এ সময়ে প্রায় ২০টি বাঘের চামড়া উদ্ধার করা হয়েছে। 

সর্বশেষ ২০১৮ সালের সর্বশেষ জরিপ অনুসারে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি। বর্তমানে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা জানতে ক্যামেরা ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির মাধ্যমে বাঘ গণনার কাজ চলছে। 

 

শহিদ

×