ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ১১:২০, ১০ জানুয়ারি ২০২০

উবাচ

প্রয়োজনে লড়বেন! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রয়োজনে খালেদার জামিনেও লড়তে চেয়েছেন ড. কামাল হোসেন। ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন তাহলে এত দিনেও কি প্রয়োজন অনুভব করেননি। আর প্রয়োজন অনুভব করলে তো নিশ্চয়ই তিনি আদালতে গিয়ে বেগম জিয়ার জামিন চাইতেন। ড. কামাল হোসেন বলেন, আমিসহ আমরা সবাই আছি তাঁর (খালেদা জিয়া) জামিনের বিষয়ে। তাঁর জামিনের বিষয়ে আমাদের চেষ্টা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে। তিনি নিজে এই জামিন আবেদন নিয়ে আদালতে যাবেন কিনা, এমন প্রশ্নে বলেন, অবশ্যই যে কারও প্রয়োজন হলে আমার পেশাগত কাজ, এটা আমি করব। সর্বোচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আর কোন সুযোগ আছে কিনা, তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, অবশ্যই আছে। জামিন যতবার আমরা চাইতে পারি। রিভিউর ব্যাপার আছে, রিভিউ ছাড়া ফ্রেশ এ্যাপ্লিকেশন করা যায়। ইয়েস ম্যান স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে জিয়া পরিবারের ‘ইয়েস ম্যান’ বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দিকে ইঙ্গিত করে এক অনুষ্ঠানে ফখরুল বলেছিলেন, বাংলাদেশের রাজনীতি এখন পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে। ওবায়দুল কাদের এর জবাবে বলেছেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কোন পরিবারের নেতা, আমরা জানতে চাই। বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো একটি পরিবার থেকে এসেছে। এটা বেগম জিয়া ও তার সন্তান; তারাই তো হর্তাকর্তা, বিধাতা। এখানে মির্জা ফখরুল তো তাদেরই ইয়েস ম্যান হিসেবে কাজ করে। কাদের বলেন, আজ পর্যন্ত তাদের সম্মেলন করতে পারেনি। তারা মিটিং আহ্বান করে, সেই মিটিং একটা ফ্লপ মিটিং। সেখান থেকে কর্মীরা কিছু পায়নি, কর্মসূচী নিতে পারেনি। তাদের কোন ঘরোয়া গণতন্ত্র নেই। তাদের জেলা-উপজেলা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যায়ের কোন কমিটির বেশির ভাগ জায়গায় কমিটির অস্তিত্ব নেই। কবে কমিটি হয়েছে কেউ জানে না। কাজেই একটি পরিবারের ইয়েস ম্যানের মুখে এই বক্তব্য শোভা পায় কিনা তা ভেবে দেখা দরকার। এবার প্রতিরোধ স্টাফ রিপোর্টার ॥ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বরাবরই বলতে চান দেশের সব মানুষই তাদের পক্ষে। তিনি আওয়ামী লীগে থাকতে যেভাবে বক্তব্য দিতেন ঐক্যফ্রন্টে গিয়েও একই বক্তব্য দিচ্ছেন। তার সঙ্গে সব লোক যে ঐক্যফ্রন্টে যোগ দিয়েছেন এমন চিন্তা কেন তাকে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সেটাই বোঝা মুশকিল। মান্না বলেছেন, এই নির্বাচন সরকার কেড়ে নেয়া ছাড়া কোনভাবে জিততে পারবে না। এবার যদি তারা কেড়ে নিতে চায় তাহলে প্রতিরোধ করতে হবে। মান্না বলেন, এ নির্বাচন শুধু আক্ষরিক অর্থে নয় সর্বাগ্রে আমরা ঐক্যফ্রন্ট থেকে জোরালো সমর্থন দিচ্ছি। আমাদের ঐক্যফ্রন্টের সব কেন্দ্রীয় নেতা দুই প্রার্থীর প্রচারে অংশ নেবেন। কিন্তু ঐক্যফ্রন্টের এত এত সমর্থনে যে কি হয় তাতো গত নির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। আবারও নিশ্চয়ই তাই হবে এ ছাড়া আর নতুন কি হবে!
×