ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

কাল রবিবার থেকে কমে আসতে পারে, তবে এখনই শীত নামছে না

লঘুচাপের প্রভাবে তিন দিন ধরে ঝরছে বৃষ্টি, ভোগান্তির অন্ত নেই

প্রকাশিত: ১০:৫০, ২৬ অক্টোবর ২০১৯

 লঘুচাপের প্রভাবে তিন দিন ধরে ঝরছে বৃষ্টি, ভোগান্তির অন্ত নেই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশের ওপর তিনদিন ধরে ঝরছে বৃষ্টি। কখনও হাল্কা, কখনও মাঝারি, আবার কখনও তা ঝিরিঝিরি। সূর্যের দেখা নেই। তবে ঝমঝমিয়ে বা ঝিরিঝিরি যাই হোক না কেন বৃষ্টিতে ভোগান্তির অন্ত নেই। আবহাওয়া অফিস বলছে, আজ শনিবারও সারাদেশে বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার থেকে তা কমে আসতে পারে। এরপর বৃষ্টি আবার বেড়ে যাবে, বিশেষ করে প্রকৃতিতে শীত নামাতে আরও বৃষ্টির আভাস দেন তারা। এ সময়ে সাগরে লঘুচাপ থেকে নিম্নচাপ, এমনকি ঘূর্ণিঝড়ও সৃষ্টি হতে পারে। জানা গেছে, অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন আগাম শাকসবজি ও ফসল ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। বৃষ্টির মধ্যে কৃষকরা ক্ষেতে যেতে পারছে না। পাকা ধান কাটতে পারছে না। কৃষকরা জানিয়েছেন অসময়ের বৃষ্টি তাদের কোন কল্যাণ বয়ে আনছে না। তবে ক্ষতি হচ্ছে বেশি। এই বৃষ্টিতে ঋতুজনিত নানা ধরনের অসুখ বিসুখও বেড়ে গেছে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা অসুখে পড়ছেন বেশি। ঠান্ডাজনিত রোগবালাই বাড়ছে। কৃষকরা জানিয়েছেন, শীতকালীন শাকসবজিতে রোগবালাই হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে যারা নতুন ধান রোপণ করেছেন এই বৃষ্টিতে তাদের উপকার হচ্ছে। বৃষ্টির কারণে ইতোমধ্যে কাঁচামরিচের দাম বেড়ে গেছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে রাজধানীর বাইরে অনেক এলাকায় রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। ঘরের বাইরে মানুষের আনাগোনাও কমেছে। তিনদিনে একবারের জন্য সূর্যের দেখা মেলেনি। সারাদিনই ঝরছে টিপটিপ বৃষ্টি। পেশার তাগিদে বা জরুরী কাজে যারা বের হচ্ছেন তারাও নানা ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন। শুধু দুর্ভোগ নয়, এই বৃষ্টি এনে দিয়েছে গ্রামীণ জীবনের শীতের অনুভূতিও। ঠান্ডা শীতল ভাব রাজধানী ঢাকাতে। গত দুই দিনে বাসাবাড়িতে বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন শীতের পোশাক কেনাকাটায়। লোকজনের ধারণা এবারের মতো গরমে পাঠ চুকিয়ে শীত বুঝি এসে গেল! কিন্তু আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে এই বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কমে গিয়ে শীত শীত ভাব অনুভূত হলেও এখনই শীত আসছে না। লঘুচাপের ভাব কেটে গেলে তাপমাত্রা আবার বাড়বে। তখন এই শীতল ভাবটাও থাকবে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন বাংলায় শীতের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও এক মাসের বেশি। পৌষ মাসে এখানে জাকিয়ে শীত নামে। কিন্তু মাস হিসেবে এখান চলছে কার্তিক মাসের ১০। অঘ্রাণ পেরিয়েই তবে নামবে শীত। অবশ্য ঋতু বৈচিত্র্যের ধরন অনুযায়ী পৌষ শুরু হওয়ার আগেই যেহেতু শীত শুরু হয়, এ কারণে শীতের জন্য আরও এক মাসের বেশি সময় অপেক্ষা করতে হবে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে শীত শীত ভাব বাড়বে। তার আগ থেকেই শীতে হিমেল ভাব থাকবে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে দেশের সর্ব উত্তরের জেলাগুলোয় রাতের বেলায় শীতের অনুভূতি বাড়তে শুরু করেছে। তবে দিনের বেলায় আবার আবহাওয়া এর উল্টো আচরণ করছে। অর্থাৎ দিনের বেলায় এখনও বেশ গরম অনুভূত হচ্ছে। আবহাওয়া অফিসের মতে শীত ঋতু আসার আগে আরও বৃষ্টির আভাস রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে সাগরে আরও একাধিক লঘুচাপ, নিম্নচাপ সৃষ্টির আভাস রয়েছে। এমনকি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে নবেম্বরের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে। আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আব্দুল মান্নান বলেন, বর্তমানে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। এর প্রভাবে আজ শনিবারও বৃষ্টি হবে। তবে রবিবার থেকে কমে আসবে। দুদিন বিরতি পর সাগরে লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। লঘুচাপ সৃষ্টি হলে বৃষ্টি আরও বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, বৃষ্টির কারণে এখন কিছুটা শীত শীত অনুভূতি সৃষ্টি হলেও তা কেটে যাবে। কারণ শীত নামার আগে আরও বৃষ্টিপাতের আভাস রয়েছে। এ সময়ে সাগরে একাধিক লঘুচাপ, নিম্নচাপ, এমনকি ঘূর্ণিঝড়ও হতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে সাগরে লঘুচাপের প্রভাবে সাগরে সঞ্চারণশীল মেঘমালার সৃষ্টি হচ্ছে। তা উঠে আসছে দেশের ওপর। ফলে বৃষ্টির মাত্রা কোথাও বেড়ে যাচ্ছে, আবার কোথাও ঝিরিঝিরি ঝরছে। রাজধানীতে তিনদিন ধরেই গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। লঘুচাপের প্রভাবে শুরু হওয়া এই বৃষ্টি অনেকটা দুর্যোগে রূপ নিয়েছে। ঢাকা বাইরে অনেক জেলায় বৃষ্টির কারণে মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারছে না। কৃষকরা মাঠে যেতে পারছে না। অসময়ের বৃষ্টিতে শীতকালীন ফসল রোপণেরও অনেকটা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। বিশেষ করে এ সময়ে পেঁয়াজ রসুনসহ শীতকালীন ফসল যেমন গম মশুর ডাল জাতীয় ফসল জমিতে রোপণ করা হয়ে থাকে, তা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, উত্তরের কৃষকরা জানিয়েছে এই বৃষ্টিতে ভিজে ক্ষেতে কাজ করা কঠিন হয়ে পড়ছে। এখনও শীত না এলেও প্রকৃতি আস্তে আস্তে শীতের দিকে ধাবিত হচ্ছে। উত্তরাঞ্চলের অনেক এলাকায় রাতে শীত শীত ভাব থাকে। বৃষ্টির কারণে তা আরও প্রবল হয়েছে। হালকা বৃষ্টিতে তাপমাত্রা কম থাকায় কিছুটা হিমেল ভাব অনুভূত হচ্ছে। নীলফামারী ॥ স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, উত্তরাঞ্চল জুড়ে টিপটিপ বৃষ্টির জেরে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ঋতু পরিক্রমায় হেমন্ত ও বাংলা মাস কার্তিক চলছে। এই বৃষ্টি শীতের আগমনী জানান দিচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গেই উত্তরে ঠা-া হাওয়ার জেরে কাবু আবালবৃদ্ধবনিতা। রাত থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে রাস্তায় পানি জমেছে। স্যাঁতসেঁতে অবস্থা কর্দমাক্তে পরিণত। দিনভর সূর্যের দেখা মেলেনি। এই বৃষ্টিতে জনজীবন যেমন বিপর্যস্ত, তেমনি বৃষ্টি হওয়ায় সবার মাথায় ছাতা ও গায়ে উঠেছে হাল্কা গরম পোশাক। আবার গরম পোশাক পরেই শুক্রবারের জুমার নামাজ আদায়ে মসজিদে উপস্থিত হন মুসল্লিরা। আকাশে ঘনঘোর মেঘ। সূর্য গেছে পাটে। ঝিরিঝিরি গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি, বইছে হিমেল হাওয়া। বৃষ্টির জেরে চাষের জমিসহ শাকসবজির ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। শীতের যেসব ফসল অর্থাৎ সর্ষেফুল থেকে শুরু করে ধান ও আলু এই বৃষ্টিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে। আবহাওয়া অফিসের রেকর্ড অনুযায়ী এবারে মৌসুমি বায়ুর তিন মাস ২০ দিনে দেশে অবস্থানকালে পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা পাওয়া যায়নি। এর বিপরীতে এ সময়ে স্বাভাবিকের চেয়ে তাপমাত্রা ছিল অনেক বেশি। এমনকি বর্ষাকাল জুড়ে কয়েক দফায় তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। জুলাইয়ে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি বৃষ্টি হলেও জুন-আগস্ট-সেপ্টেম্বরের বৃষ্টির পরিমাণ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কম। জানা গেছে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি পর্যাপ্ত না হলে পশ্চিমা লঘুচাপ বেশ সক্রিয় অবস্থায় রয়েছে। এ কারণে সাগরে লঘুচাপ, নিম্নচাপের আশঙ্কা বেড়েছে। নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়া অফিস সূত্র মতে, দেশ থেকে মৌসুমি বায়ু বিদায় নিয়েছে মধ্য অক্টোবরে। বর্ষা বিদায় নেয়ার পর বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়াও অতীতে কমই দেখা মিলেছে। আবহাওয়া অফিস জানান, পশ্চিম মধ্য বঙ্গোপসাগরের অদূরে ভারতের অন্ধ্র প্রদেশে সুস্পষ্ট লঘুচাপ অবস্থান করছে। লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগরে রয়েছে। এ লঘুচাপের প্রভাবে জলীয় বাষ্প সৃষ্টি হচ্ছে। মেঘ সারাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। এ কারণে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। আজও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি থাকবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, সিলেট এবং চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অফিসের নবেম্বর-ডিসেম্বরের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে বলা হয়, নবেম্বরে দিন-রাতের তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে। বঙ্গোপসাগরে দুয়েকটি নিম্নচাপও সৃষ্টি হবে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। ডিসেম্বরের শেষার্ধে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে মৃদু (৮ থেকে ১০ ডিগ্রী সেলসিয়াস) থেকে মাঝারি ধরনের (৬ থেকে ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস) শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকায় বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৮ মিলিমিটার। এর বাইরে তাড়াশে ৩৪ মিলিমিটার সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে। তবে সারাদেশে কম বেশি বৃষ্টি হলে দেশে দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল বিশেষ করে কক্সবাজার এলাকায় বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ ॥ শিমুলিয়া ঘাট স্থবির! বৈরী আবহাওয়ার কারণে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই প্রবেশদ্বারে তেমন প্রাণ নেই। মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার এই শিমুলিয়া ঘাটেরে লঞ্চ, ফেরি ও স্পিডবোট ঘাটের চিরচেনা রূপ পাল্টে গেছে। বুধ ও বৃহস্পতিবার টানা দুদিন ধরে বৃষ্টির কারণে ঘাটের যাত্রীদের পারাপারের ব্যাস্ততা অপেক্ষাকৃত কম। এছাড়া ঘাটের অবৈধ দোকানপাট উচ্ছেদের কারণে পরিবেশ ভিন্ন। খোলামেলা আগের মতো গিঞ্জি অবস্থা নেই। আর বৈরী আবহাওয়ার কারণে মানুষজন বের হচ্ছে কম। মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির টুআইসি এসআই জহিরুল ইসলাম জানান, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী নৌ-রুটটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী পারাপার হয়। আর এসব যাত্রীদের পদচারণায় ঘাট এলাকা মুখরিত থাকে সর্বদা। কিন্তু দুদিন ধরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে অবিরাম বৃষ্টি হওয়ার ফলে একেবারেই কমে এসেছে যাত্রী পারাপারের সংখ্যা। বর্তমানে এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ প্রায় ২৫০টি স্পিডবোট, রো রো, ড্রাম, কেটাইপ, মিডিয়াম ও ছোটসহ মোট ১৩টি ফেরি চলাচল করলেও তাতেও যানবাহন ও যাত্রী সংখ্যা খুবিই নগন্য। তবে ট্রাক পারাপার বেশি হচ্ছে। তারপরও শিমুলিয়া ও কাঁঠালবাড়ী ঘাট এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাক ও কভ্যাটভ্যানসহ প্রায় ৫শ’ যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। নাব্য সঙ্কটের কারণে এই নৌ রুটে ফেরি পারাপার কিছুদিন ধরে ব্যাহত হচ্ছে। এখন আগের চেয়ে কিছুটা উন্নতি হলেও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। এছাড়া ফেরিগুলো পুরনো চ্যানেলে গন্তব্যে পৌঁছতে অপেক্ষাকৃত সময় বেশি লাগছে। কলাপাড়া ॥ নিজস্ব সংবাদদাতা কলাপাড়া থেকে জানান, হঠাৎ করে শুক্রবার দুপুর থেকে মাঝারি ধরনের বিরামহীন বৃষ্টিতে কলাপাড়ার গোটা উপকূলে শীত অনুভূত হচ্ছে। মানুষ কিছুটা হলেও বিপাকে পড়েছেন। বৃষ্টিতে বেশি সমস্যায় পড়েছেন শীতকালীন সবজি চাষীরা। পানি জমে গেছে ক্ষেতে। তাদের তৈরি ক্ষেত নষ্ট হয়ে গেছে। নীলগঞ্জের চাষীরা এমন দুর্ভোগের কথা বলেছেন। এছাড়া বৃষ্টি এবং শীতে শ্রমজীবী মানুষ পড়েছেন চরম বিপাকে। দুদিন ধরে মেঘে ঢাকা ছিল উপকূলের আকাশ। এরপরে শুক্রবার দুপুর থেকে শুরু হয় বৃষ্টিপাত। বেড়িবাঁধের বাইরের ঝুপড়িতে বসবাস করা পাঁচ সহস্রধিক দরিদ্র মানুষ বেশি বিপাকে পড়েছেন। এদের অধিকাংশই জেলে পরিবার। কুয়াকাটায় পর্যটকের উপস্থিতি কমে গেছে।
×