স্টাফ রিপোর্টার ॥ মঞ্চ থেকে ভেসে আসছে লালনগীতি ‘গুরু আমারে কি রাখবেন করে চরণ দাসী’, ‘সাঁই আমার কখন খেলে কোন খেলা’সহ কালজয়ী সব গান। দেশের স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী গাইছেন মিলনায়তন ভর্তি দর্শক-শ্রোতা পিনপতন নীরবতায় শুনছে সেসব গান। সঙ্গীতপ্রেমীদের জন্য সন্ধ্যাটি ছিল মনোরম। শিল্পী চন্দনা মজুমদারের সুকণ্ঠের গায়কীতে মুগ্ধ শ্রোতা। তিনি লালন, রাধারমন, বিজয় সরকার, শাহ আবদুল করি, পাগলা কানাই’সহ কয়েকজন গুণীজনের গান পরিবেশন করেন।
যানজট উপেক্ষা করে বিকেল থেকেই রাজধানীর ছায়ানট বিদ্যায়তনে হাজির হয়েছে বহু শ্রোতা। শুক্রবার ছায়ানট আয়োজিত নিয়মিত শ্রোতার আসরে এবারের শিল্পী ছিলেন চন্দনা মজুমদার। শিল্পী চন্দনা মজুমদারের পূর্বে কয়েকটি গান পরিবেশন করেন ছায়ানট সঙ্গীত বিদ্যায়তনে শিক্ষক সহযোগী মোহাম্মদ মানিক জালাল উদ্দিন খাঁ। তিনি পরিবেশন করেন ‘প্রাণনাথ ছাড়িয়া যাইওনা মোরে’ ও ‘ভাবতরঙ্গে এসো আমার সঙ্গে’ শিরোনামের পর পর দুটি লোকসঙ্গীত।
শুরুতে চন্দনা মজুমদারের কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনগীতি ‘জগৎ মুক্তিতে ভুলালেন সাঁই’। এরপর একে একে পরিবেশন করেন লালনের ‘গুরু আমারে কি রাখবেন করে চরণ দাসী’, নিগুম বিচারে সত্য’, ‘সাঁই আমার কখন খেলে কোন খেলা’, ‘হক নাম বল রসনা’সহ কয়েকটি কালজয়ী গান। এরপর শুরু করেন রাধারমনের গান। এরমধ্যে ছিল ‘যাওরে ভ্রমর উড়িয়া রাধার বন্ধুরে কইও গিয়া’, ‘আমার কৃষ্ণ কোথায় পাইগো কৃষ্ণ কোথায় পাই’সহ আরও অনেক গান। তার পরিবেশনায় ছিল চারণ কবি বিজয় সরকারের ‘আমার প্রাণ বন্ধুয়ার দেশে রে’, শাহ আবদুল করিমের ‘আমার মাটির পিঞ্জিরার সোনার ময়না রে।’