ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদে গৃহায়নমন্ত্রী

শহীদ ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিত্যক্ত বাড়ি এখনও বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে

প্রকাশিত: ১০:৩১, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

 শহীদ ও যুদ্ধাহত  মুক্তিযোদ্ধাদের  পরিত্যক্ত বাড়ি  এখনও বরাদ্দ  দেয়া হচ্ছে

সংসদ রিপোর্টার ॥ সারাদেশেই শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য এবং যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, বর্তমানেও বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের সদস্যদের বাড়ি বরাদ্দ একটি চলমান প্রক্রিয়া। যুদ্ধাহত অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধারা নির্দিষ্ট কোন পরিত্যক্ত বাড়ি বরাদ্দের জন্য আবেদন করলে প্রচলিত বিধি বিধান অনুযায়ী বিবেচনা করা হবে। স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রবিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এ তথ্য জানান। সরকারী দলের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, সকল উপজেলাকে মাস্টার প্ল্যানের আওতায় এনে যত্রতত্র যাতে বাড়িঘর না হয়, সেজন্য পরিকল্পিত আবাসনের পরিকল্পনা বাস্তাবায়নের জন্য ইতোমধ্যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য আবাসনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে সকল উপজেলায় আবাসনের পরিকল্পনা এক সঙ্গে নেয়ার সুযোগ নেই। একটা আবাসনের প্রকল্প গ্রহণের পর চিন্তায় রাখতে হয় সেখানকার প্লটগুলো যারা আগ্রহী তারা নেবেন কি না। তিনি বলেন, আমাদের ১০টি প্রকল্প আছে। কিন্তু প্লট নেয়ার জন্য আবেদনকারীকে পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের লক্ষ্য আছে সকল জেলা-উপজেলায় পরিকল্পিত আবাসন, কিন্তু সেটা হতে হবে নিষ্কণ্টক জমিতে। সরকারী দলের আরেক সংসদ সদস্য মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেউ গৃহহীন থাকবে না। ঘোষণার আলোকে নিম্ন আয়ের অসহায় মানুষের গৃহায়নের জন্য জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে ১১ নং সেকশনে বস্তিবাসীদের জন্য ভাড়াভিত্তিক ৫৩৩টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালের ২৬ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তুর স্থাপন করেছেন। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কাজ চলমান আছে। আগামী ২০২০ সালে প্রকল্পটি শেষ হবে। মন্ত্রী আরও জানান, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় অসহায় মানুষের জন্য বাসস্থান/ফ্ল্যাট তৈরির লক্ষ্যে দেশের চিহ্নিত তিনটি পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশন (কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ) এলাকায় বাসস্থান উন্নয়নের একটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন কাজ চলমান রয়েছে। বিশ্ব ব্যাংকের সহায়তায় প্রকল্পটিতে ৫ হাজার ৭০০ ইউনিট বাসস্থান নির্মাণ/সংস্কার/ সম্প্রসারণের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি আগামী ২০২০ সালের ৩১ মার্চ শেষ হবে। গৃহায়ন মন্ত্রী জানান, সরকারী অর্থায়নে ঢাকার মিরপুরে আলাদা দুটি প্রকল্পে বস্তিবাসী ও স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য ভাড়াভিত্তিক আরও ১০ হাজার ৫৩০টি এবং চট্টগ্রাম জেলার বাকুলিয়ায় ২ হাজার ৬৮৮টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল জেলার গৃহহীন মানুষের মাঝে স্বল্প খরচে ফ্ল্যাট ও প্লট বরাদ্দের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×