ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০১ মে ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

নিরাপদ সড়ক দাবি

প্রকাশিত: ০৭:০২, ৫ আগস্ট ২০১৮

নিরাপদ সড়ক দাবি

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রী সাধারণ। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতাদের পাঠানোÑ চট্টগ্রাম নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে সারাদেশের মতো চট্টগ্রামেও ছাত্রদের বিক্ষোভ অব্যাহত রয়েছে। এ বিক্ষোভে স্কুল, কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশ নিচ্ছে। তবে অভিযোগ রয়েছে, স্বার্থান্বেষী মহল এদের ইন্ধন যোগাচ্ছে। সরকার পক্ষে খোদ প্রধানমন্ত্রী তাদের ৯ দফা দাবি মেনে নেয়ার সুস্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন এর পরও আন্দোলন অব্যাহত রেখে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। শনিবার নগরীর অক্সিজেন, ষোলশহর ২নং গেট, ওয়াসা, জিইসি, কাজির দেউড়ি, জামালখানসহ বিভিন্ন এলাকায় ছাত্ররা আগের মতো যানবাহনের তল্লাশি চালায়। তবে বিভিন্ন স্থানে পুলিশী অবস্থান থাকায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। চট্টগ্রামে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে ওয়াসা মোড়ে। বিভিন্ন কলেজের ছাত্রছাত্রীরা সেখানে অবস্থান নেয়। অপরদিকে, চট্টগ্রামের সবকটি রুটে গণপরিবহন চলাচলও বন্ধ রয়েছে। এতে যাত্রীদের মাঝে চরম দুর্ভোগ নেমে এসেছে। রাজশাহী শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ছাত্ররা কর্মসূচী পালন করছে। শনিবার দুপুর পর্যন্ত কর্মসূচী পালন শেষে শিক্ষার্থীরা পুলিশকে ফুল দিয়ে তাদের কর্মসূচী শেষ করেছে। সকাল ১০টা থেকে নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নগরীর সাহেববাজার এলাকায় বড় মসজিদের সামনে জিরোপয়েন্ট এলাকায় জড়ো হতে থাকে। এ সময় নিরাপদ সড়কের দাবিতে তারা নানা স্লোগান দিতে থাকে। পরে তারা সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গায়। এ সময় পুলিশ তাদের চারপাশ থেকে ঘিরে রেখে নিরাপত্তা দেয়। বেলা সাড়ে ১১টার পর নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আমাদেরও সন্তান আছে। তাদের ভালবাসি। তাই আমরাও তোমাদের দাবির সঙ্গে একমত। তোমরা নিরাপত্তা চেয়েছ, আমরা দিয়েছি। তোমাদের কর্মসূচী সবাই দেখেছে, জেনেছে। এখন তোমরা ঘরে ফিরে যাও। পড়ার টেবিলে বসো। শিক্ষার্থীরা তখন ওসির কাছে আরও ১৫ মিনিট সময় চায়। ওসি রাজি হন। এরপর দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা কর্মসূচী শেষ করে ঘরে ফিরে যায়। সহযোগিতা করায় তারা ওসি আমান উল্লাহসহ দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ফুল উপহার দেয়। বরিশাল ৯ দফা দাবির বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে ঘোষণার দাবিতে বরিশালের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। শনিবার সকাল নয়টা থেকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের নগরীর কাশিপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ইনফ্রা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। অপরদিকে সকাল থেকে নগরীর মহাসড়কের হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় জড়ো হয় শিক্ষার্থীরা। এ সময় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করলে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। বিক্ষোভের কারণে ভোগান্তি পড়েছে যাত্রীরা। কক্সবাজার বিভিন্ন কলেজ ও বিদ্যালয়ের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী হঠাৎ রাস্তায় নেমে এসে যানবাহনের লাইসেন্স তল্লাশি শুরু করে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় লাইসেন্স না থাকায় অনেক গাড়িও আটকে রাখে তারা। তবে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কলেজ-বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সহায়তায় পুলিশ ও জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগণ এসে দাবি মানার আশ্বাস দিয়ে শিক্ষার্থীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার সরকারী কলেজ, কক্সবাজার সিটি কলেজ, কক্সবাজার সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, কক্সবাজার সরকারী বালিকা বিদ্যালয়, বায়তুশ শরফ জব্বারিয়া একাডেমি, কক্সবাজার মডেল হাইস্কুল, সাহিত্যিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অন্তত সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থী শহরের প্রধান সড়কের ঝাউতলা ও সার্কিট হাউস সড়কের শহীদ মিনার পয়েন্টে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা গণপরিহন ও সরকারী- বেসরকারীসহ সব ধরনের গাড়ির ও চালকের লাইসেন্স তল্লাশি করে। সাতক্ষীরা আমরা স্কুল, কলেজ ও বাড়ি ফিরে যাব, আমাদের বিচারটা দেন, ফেস্টুন নিয়ে আর নিরাপদ সড়ক চাই এই স্লোগান নিয়ে সাতক্ষীরায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে। এ সময় প্রত্যেক সড়কের দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকায় স্পিড ব্রেকার নির্মাণ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি রাস্তায় চলাচল বন্ধ করাসহ অতিরিক্ত যাত্রী নেয়া বন্ধের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেয় । এ সময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোঃ ইফতেখার হোসেন ও পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন দাবি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের স্কুলে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন জেলা প্রশাসক এই তথ্য জানানোর পর শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফিরে যায়। গাইবান্ধা নিরাপদ সড়কসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে শনিবার সকাল থেকেই গাইবান্ধা জেলা শহরের টার্মিনাল এলাকায় এবং গাইবান্ধা-পলাশবাড়ি সড়কের বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীরা অবরোধ সৃষ্টি করে। এছাড়া ঢাকা-রংপুর মহাসড়কেরও বিভিন্ন স্থানে অবরোধ করে রাখে। এছাড়া জেলা শহরের অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতেও শিক্ষার্থীরা অবরোধ করে। ফলে গাইবান্ধা জেলা শহর থেকে দূরপাল্লা এবং ৭ উপজেলার অভ্যন্তরীণ সব সড়কে বাস-ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শুধু ব্যাটারি চালিত অটোবাইক, অটোরিক্সা ও সিএনজি চলাচল করতে দেখা যায়। তবে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের এ্যাম্বুলেন্সে যাতাযাতের সুযোগ করে দেয় অবরোধকারীরা। সকাল থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত টার্মিনাল এলাকায় অবরোধ করে রাখার পর শিক্ষার্থীরা নিরাপদসহ ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের সেøাগান নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়কে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পটুয়াখালী শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেয়। এ সময় তারা পত্রিকা বহনকারী গাড়ির কাগজপত্র না থাকায় ভাংচুর চালায়। মারধর করে চালককে। পটুয়াখালী জুবীলি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ কয়েকটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শনিবার সকাল থেকে রাস্তায় আন্দোলনের নামে। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র চেক করে। বগুড়া বেপরোয়া বাস চালকদের শাস্তি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শনিবার বগুড়ায় শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে। বেলা ১১টার দিকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা শহরের কেন্দ্রস্থল সাতমাথায় সমবেত হয়ে মানববন্ধন ও পরে বিক্ষোভ করে। এ সময় তারা পুলিশের গাড়িসহ বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষা করে। এ ছাড়া বনানী মোড় এলাকাতেও শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়ে যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করে। শিক্ষার্থীদের এই বিক্ষোভ সমাবেশ চলে দুপুর ১২টা পর্যন্ত। শহরের কেন্দ্রস্থলে শিক্ষার্থীদের অবস্থানের কারণে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। দিনাজপুর নিরাপদ সড়কের দাবিতে শনিবার দিনাজপুরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জেলা প্রশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। রাতে দুরপাল্লার কোচ চলাচল করলেও দিনের বেলায় সকল রুটে নিরাপত্তার অভাব দেখিয়ে পরিবহন বন্ধ রয়েছে। শনিবার দিনাজপুর শহরে নিরাপদ সড়ক ও ৯ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তারা অবিলম্বে নিরাপদ সড়কের জন্য দাবি সমূহ বাস্তবায়নে প্রশাসনের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান। দুপুর দেড়টায় প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জেলা প্রশাসক ড. আ ন ম আবদুছ ছবুর দেখা করে তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানান। তিনি শিক্ষার্থীদের ঘরে ও ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরে যাওয়ার অঙ্গীকার করে জেলা প্রশাসককে লাইসেন্সবিহীন বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেল, কার, অটোরিক্সাসহ অন্যান্য যানবাহন চেক করে চালকদের ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। রংপুর বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের বিচার ও নিরাপদ সড়কসহ নয় দফা দাবি আদায়ে সড়কে নেমেছে রংপুরের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পুলিশের অবস্থান ও মোড়ে মোড়ে তল্লাশি অভিযান থাকলেও সব বাধা উপেক্ষা করে মানববন্ধন ও সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে তারা। বেলা সাড়ে ১০টার দিকে জিলা স্কুল মোড় থেকে মিছিল বের হয়ে মেডিক্যাল কলেজ মোড়ের দিকে যেতে চেষ্টা করলে পুলিশী বাধার মুখে সড়ক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় পুলিশের সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান শিক্ষার্থীদের হাতে চকোলেট তুলে দিয়ে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। প্রায় দেড়ঘণ্টা সেখানে অবস্থানের পর ১২টার দিকে পুলিশী বাধা উপেক্ষা করে মেডিক্যাল মোড়ে গিয়ে বিভিন্ন যানবাহনের কাগজ পরীক্ষাসহ মোটরসাইকেল আরোহীদের হেলমেট মাথায় দিয়ে চলাচলের নির্দেশনা দিয়ে কর্মসূচী অব্যাহত রাখেন শিক্ষার্থীরা। শত শত শিক্ষার্থীর উত্তাল স্লোগানে আশপাশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এসে তাতে যোগ দেয়। পঞ্চগড় নিরাপদ সড়কের দাবিতে পঞ্চগড়ের সাকোয়ায় মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুরে সাকোয়া ডিগ্রী কলেজের সামনে পঞ্চগড়-দেবীগঞ্জ মহাসড়কের দু পাশে দাঁড়িয়ে ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন সেøাগান সংবলিত প্ল্যা-কার্ড প্রদর্শন করে। মানববন্ধনে বেপরোয়া চালকদের কারণে শিক্ষার্থীসহ যাদের মৃত্যু হয়েছে সেই সকল চালকদের বিচার দাবি করার পাশাপাশি অবিলম্বে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের দেয়া ৯ দফা দাবি গেজেট আকারে প্রকাশে সরকারের প্রতি অনুরোধ করা হয়। নাটোর ঢাকায় ২ ছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে নাটোরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ মিছিল ও বিভিন্ন যানবাহনের গাড়ির লাইসেন্স চেক করে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে নাটোর শহরের মাদ্রাসা মোড় গোল চত্বরে তারা অবস্থান নিয়ে দাবির সপক্ষে নানা স্লোগান দেয়। এ সময় ছাত্রদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজ্জাকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও নাটোর সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত, ছাত্র রাকিবুল ইসলাম, নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয় স্টুডেন্ট ক্যাবিনেটের সভাপতি কাওছার আহম্মেদ। এ সময় বক্তারা ছাত্রদের ন্যায় সঙ্গত দাবি দাওয়ার সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ছাত্রদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান। অপরদিকে, ছাত্ররা তাদের দাবিতে অনড় থেকে বিক্ষোভ করতে থাকে এবং সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা করে। পরে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্থানীয় সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুল তাদের দাবি মেনে নেয়া হবে আশ্বাসের প্রেক্ষিতে বেলা ১২টার দিকে ছাত্ররা ফিরে যায়। কুড়িগ্রাম নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন ও যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষা করেন বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল থেকে কুড়িগ্রামের জিরো পয়েন্ট শহীদ মিনার চত্বর এলাকায় শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে মানববন্ধন করে। এ সময় তারা ট্রাফিক পুলিশের সহায়তায় বিভিন্ন যানবাহনের লাইসেন্স পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অবৈধ ত্রুটিপূর্ণ যানবাহনের বিরুদ্ধে পুলিশের মাধ্যমে মামলা দেয়। ঢাকাসহ দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের সমর্থনে শিক্ষার্থীরা পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে নিয়ে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে স্লোগান দেয়। চাঁপাইনবাবগঞ্জ নিরাপদ সড়কের দাবিতে শহরের বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে তারা। এ সময় শিক্ষার্থীরা মহাসড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন যানবহনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হয়। নবাবগঞ্জ সরকারী কলেজ, শাহনেয়ামতুল্লাহ কলেজ, সরকারী মহিলা কলেজ, সিটি কলেজ, ফুলকুঁড়ি উচ্চ বিদ্যালয়, হরিমোহন সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, গ্রীনভিউ উচ্চ বিদ্যালয়সহ শহরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। মাদারীপুর নিরাপদ সড়কের দাবিতে চলমান ছাত্র আন্দোলন নিরুৎসাহিত করা ও সড়ক ব্যবস্থা স্থিতিশীল রাখা করণীয় বিষয়ে শনিবার সকালে রাজৈর উপজেলা পরিষদ লাইসিয়াম ভবনে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উপজেলা পর্যায়ের সরকারী কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। রাজৈর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সোহানা নাসরিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাজৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান। বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেব মিয়া, ভাইস-চেয়ারম্যান শান্তি রঞ্জন দাস, রাজৈর কলেজের অধ্যক্ষ মরিয়ম মুজাহিদা, রাজৈর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌর চন্দ্র বালা, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব শিকদার প্রমুখ। মাগুরা শনিবার মহম্মদপুর উপজেলা সদরে নিরাপদ সড়কের দাবিতে ছাত্ররা বিক্ষোভ করেছে। মহম্মদপুর আমিনুর রহমান ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীরা ঢাকায় বাস চাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের প্রতিবাদে ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। নীলফামারী শনিবার বেলা ১১টার দিকে নীলফামারী জেলা শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের আয়োজনে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচীতে নীলফামারী সরকারী কলেজ, সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়, কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এ্যান্ড কলেজ, ছমিউদ্দিন স্কুল এ্যান্ড কলেজের সহ¯্রাধিক শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচীতে একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তৃতা দেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ সরকার, জাতীয় ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক অয়ন মাহমুদ প্রমুখ। ফরিদপুর নয় দফা দাবিতে ফরিদপুরে রাজপথে নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার সকাল থেকেই বিভিন্নস্থানে শিক্ষিার্থীরা জড়ো হয়ে খ- খ- আকারে মিছিল বের করে। এর আগে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ সদস্যরা তাদের বাধা দেয়ার চেষ্টা করলেও মিছিল থেকে নিবৃত্ত করতে পারেনি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকাল ৯টার আগে থেকেই বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা মোড়ে মোড়ে সমবেত হতে থাকে।
×